ডাইভিং হেডে গোল স্ত্রী নাজিয়াকে উপহার কৃষ্ণার
এটিকে মোহনবাগানের পরের ম্যাচ মুম্বই সিটি এফসি-র বিরুদ্ধে
বছর শুরুর প্রথম ম্যাচে গোল পেয়ে অনেকটাই চাপমুক্ত ফিজির স্ট্রাইকার। রয় কৃষ্ণা বলছেন, “এটা ভেবে ভাল লাগছে যে, গোলের খরাটা বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। স্কোরারের কাজই তো গোল করা।” নর্থ ইস্টের বিরুদ্ধে ডাইভিং হেডারে করা গোল স্ত্রী নাজিয়াকে উপহার হিসাবে দিচ্ছেন রয় কৃষ্ণা। সবুজ-মেরুনের তারকা স্ট্রাইকার বলছেন, “নাজিয়া আমার সব থেকে বড় সমর্থক ও সমালোচক। গোল যখন পাই না, তখন নানা ভাবে আমাকে উদ্বুদ্ধ করে। ক্রিসমাস পালনের জন্য আমাকে চমকে দিয়ে ফিজি থেকে এখানে চলে এসেছে।”
এটিকে মোহনবাগানের পরের ম্যাচ মুম্বই সিটি এফসি-র বিরুদ্ধে। হাবাসের দলের সঙ্গে সেয়ানে সেয়ানে টক্কর দিচ্ছে লোবেরোর দল। রয়ও মানছেন, “মুম্বই এ বার দারুণ খেলছে। শুরু থেকেই লিগ টেবলে আমাদের সঙ্গে টক্কর দিচ্ছে। দারুণ উত্তেজক ম্যাচ হতে চলেছে বোমাসদের সঙ্গে।”
আরও পড়ুন:সৌরভের জন্য বিশেষ লাউঞ্জ উডল্যান্ডসে
এটিকে মোহনবাগানের ফিজির স্ট্রাইকারের প্রশংসায় পঞ্চমুখ প্রাক্তন জাতীয় ডিফেন্ডার দেবজিৎ ঘোষও। তার মতে, “অনেকদিন পর রয় কৃষ্ণার মতো স্ট্রাইকার ভারতের মাটিতে খেলছে। মোহনবাগানের আপফ্রন্টকে প্রায় প্রতিদিন একাই টানছে। গত বছরের মতো এ বারও সর্বোচ্চ গোলদাতার দাবিদার ফিজির স্ট্রাইকার।”
দেবজিতের কাছে রয় কৃষ্ণার উপস্থিতির সঙ্গে মোহনবাগানের দ্বিতীয় পজিটিভ পয়েন্ট জমাট ডিফেন্স। তিন প্রধানে খেলা প্রাক্তন ডিফেন্ডার বলছেন, “ডিফেন্সে সন্দেশ আর তিরিকে এনেই মাস্টারস্ট্রোক দিয়েছেন হাবাস।”
রয় কৃষ্ণাও মনে করেন, “গতবারের চেয়ে আমাদের দল শক্তিশালী। কেন না, রক্ষণের শক্তি আগের থেকে অনেক বেড়েছে। এই ছন্দটাই ধরে রাখতে চাই।”