AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

ISL 2021: এগিয়ে থেকেও ড্র, আইএসএল অভিযান শুরু লাল হলুদের

প্রথম ম্যাচে কেমন খেলল ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)? খুব ভালো, এমনটা বলা যাবে না। একটা নতুন দল, গুছিয়ে ওঠার কিছুটা সময় নিশ্চয়ই প্রয়োজন। প্রথম ম্যাচের হিসেবে বলতে গেলে সাধারণ।

ISL 2021: এগিয়ে থেকেও ড্র, আইএসএল অভিযান শুরু লাল হলুদের
লাল-হলুদের হয়ে একমাত্র গোল পর্চের। সৌ: টুইটার
| Edited By: | Updated on: Nov 21, 2021 | 10:13 PM
Share

প্রান্তিক দেব

এসসি ইস্টবেঙ্গল-১ : জামশেদপুর এফসি-১ (পর্চে ১৮) (হার্টলি ৪৫)

১৭ মিনিটে ক্রোয়েশিয়ার পর্চের গোলে এগিয়ে গিয়েও আইএসএলের (ISL) প্রথম ম্যাচ থেকে তিন পয়েন্ট তুলতে পারল না এসসি ইস্টবেঙ্গল (SC East Bengal)। তিলক ময়দানে এসসি ইস্টবেঙ্গল ও জামশেদপুর এফসি (Jamshedpur FC) ম্যাচের খেলার ফল ১-১। নতুন মরসুম। নতুন উদ্যমে টিভির সামনে বসেছিলেন লাল-হলুদ সমর্থকরা। কিন্তু প্রথম ম্যাচে প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ ম্যানুয়েল দিয়াজের দল। খেলার এগিয়ে থেকেও কেন জিততে পারল না? ফুটবলের ভাষায় মোবিলিটির অভাব। স্পেনের কোচের অধীনে অনেক বেশি গোছানো ফুটবল আশা করা হয়েছিল। কিন্তু সেটা দেখা গেল না। উল্টে বেশ বিরক্তিকর ফুটবল। প্রথমার্ধের ইনজুরি টাইমে কর্নার থেকে গোল শোধ করে দিলেন জামশেদপুরের হার্টলি। গোল করার সময় লাল-হলুদের অভিজ্ঞ ফুটবলার রফিক কেন তাঁকে ফাঁকা ছেড়ে দিলেন সেটা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়।

প্রথম ম্যাচে কেমন খেলল ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)? খুব ভালো, এমনটা বলা যাবে না। একটা নতুন দল, গুছিয়ে ওঠার কিছুটা সময় নিশ্চয়ই প্রয়োজন। প্রথম ম্যাচের হিসেবে বলতে গেলে সাধারণ। সব থেকে বড় সমস্যা চোখে পড়ল মাঝমাঠে। বল ধরে খেলা এবং নিয়ন্ত্রণ করার মতো কাউকে প্রথম ম্যাচে অন্তত দেখা গেল না। বল পজেশন কখনওই বেশি ছিল না লাল-হলুদের। অনেকটা এগিয়ে জামশেদপুর এফসি। ডিফেন্সে বারবার চাপ বাড়ল। হীরা মণ্ডল, টমিস্লাভ মার্সেলাদের ডিফেন্স প্রথম ম্যাচের চ্যালেঞ্জটা মোটের ওপর সামলে দিলেন বটে, কিন্তু মাঝমাঠের উন্নতি না হলে পরের ম্যাচগুলোয় কতটা সামলানো যাবে, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই গেল। পরের ম্যাচেই আবার ডার্বি খেলতে হবে ইস্টবেঙ্গলকে। মোহনবাগান প্রথম ম্যাচে দুরন্ত ফুটবল উপহার দিয়েছে। হুগো বোমা- রয় কৃষ্ণাদের মতো আগ্রাসী টিমের বিরুদ্ধে মাঝমাঠ ও ডিফেন্স যদি গোছানো না যায়, তা হলে কিন্তু বিপদে পড়তে পারে দিয়াজের টিম। তা নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন স্প্যানিশ কোচ।

অ্যান্টোনিও পেরিসেভিচ ডান প্রান্ত দিয়ে বার কয়েক হানা দিলেন প্রতিপক্ষের বক্সে। চিমা চুকু খুব একটা দাগ কাটতে পারলেন না। বিকাশ জাইরু আগের মতো ধারালো নন। সাইডব্যাকে খেলা অনেকটা লোড নিতে হল মহম্মদ রফিককে। এখন লাল-হলুদের অনেকটাই ইউটিলিটি ফুটবলারের ভূমিকায় তিনি। যেমন ছিলেন রহিম নবি। হানতে-সৌরভদের আরও পরিণত হতে হবে। ৬০ মিনিটে মাঠে এলেন জ্য়াকি ও দেরভিসেভিচ। তাতে বলের দখল কিছুটা বাড়লেও, আক্রমণে ঝাঁঝ বাড়ল না। গোল লক্ষ্য করে শট বা পাস, কোনও দিক থেকেই জামশেদপুরকে টেক্কা দেওয়া যায়নি। ম্যাচের সেরা লাল হলুদের অ্যান্টোনিও পেরোসেভিচ। প্রথমার্ধ তাও চাপে থাকলে বিরতির পর অনেক গোছানো ফুটবল খেলল প্রতিপক্ষ। যে ছাপ একেবারেই রাখতে পারল না ইস্টবেঙ্গল।

শনিবার ডার্বি ম্যাচ। প্রথম ম্যাচে এটিকে মোহনবাগান (ATK Mohun Bagan) অনেক বেশি দাপট দেখিয়েছে। তাই সবুজ-মেরুনকে টেক্কা দিতে নতুন করে ঘুঁটি সাজাতে হবে লাল-হলুদ কোচ ম্যানুয়েল দিয়াজকে। কারণ, মোহনবাগান যে নিজেদের অনেকটা বেশি গুছিয়ে ফেলেছে, সন্দেহ নেই। তাই কঠিন চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে ইস্টবেঙ্গলের জন্য।

ইস্টবেঙ্গল : অরিন্দম, টমিস্লাভ, পর্চে, হীরা, রফিক, হানতে (জ্যাকি), সৌরভ (লরেন্সকো), লুয়াং (অমরজিত্‍), বিকাশ, পেরোসেভিচ, চিমা (ডেরভিসেভিচ)

আরও পড়ুন : Santosh Trophy: মহীতোষ, ফার্দিনের গোলে জয় দিয়ে সন্তোষ ট্রফি শুরু বাংলা