Mohun Bagan: সামনেই মোহনবাগানে নির্বাচন, হঠাৎই প্রেসিডেন্ট পদ থেকে ইস্তফা টুটু বসুর!
Mohun Bagan Club-Election: শুধু তাই নয়, তাঁর উদ্যোগ এবং সৃঞ্জয় বসুর সৌজন্যেই সঞ্জীব গোয়েঙ্কার সঙ্গে হাত মিলিয়েছিল মোহনবাগান। যার সুফল এখন মোহনবাগান সমর্থকদের সামনে। এ মরসুমে ইতিমধ্যেই ইন্ডিয়ান সুপার লিগে শিল্ড এবং নকআউট ট্রফি দুই-ই জিতেছে মোহনবাগান।

কলকাতা: মোহনবাগান ক্লাবের প্রেসিডেন্ট পদ থেকে ইস্তফা দিলেন টুটু বসু। দীর্ঘদিন ধরে এই শতাব্দী প্রাচীন ক্লাবের সঙ্গে যুক্ত স্বপন সাধন বসু অর্থাৎ টুটু বসু। মোহনবাগান ক্লাবের বহুদিনের সদস্য। তিনি এবং তাঁর পুত্র সৃঞ্জয় বসু বহু বছর ধরে মোহনবাগানকে একাধিক সাফল্য এনে দিয়েছেন। মোহনবাগান অতীতে বহুবার ইনভেস্টর সমস্যায় ভুগেছে। তখন নিজের টাকায় চালিয়েছেন ক্লাব। প্লেয়ারদের খরচ থেকে ক্লাবের পরিকাঠামো। সব নিজে থেকে বহন করেছেন। শুধু তাই নয়, তাঁর উদ্যোগ এবং সৃঞ্জয় বসুর সৌজন্যেই সঞ্জীব গোয়েঙ্কার সঙ্গে হাত মিলিয়েছিল মোহনবাগান। যার সুফল এখন মোহনবাগান সমর্থকদের সামনে। এ মরসুমে ইতিমধ্যেই ইন্ডিয়ান সুপার লিগে শিল্ড এবং নকআউট ট্রফি দুই-ই জিতেছে মোহনবাগান। সোমবার দুপুরে এক বিবৃতিতে হঠাৎই ক্লাবের সভাপতি পদ থেকে ইস্তফার কথা ঘোষণা করেন টুটু বসু।
গতকাল কাশিপুর বরাহনগর মেম্বার্স ফোরামের পক্ষ থেকে সবুজ-মেরুন বিজয় উৎসবের আয়োজন করা হয়। মূল উদ্যোক্তা ছিলেন কার্যকরী কমিটির সদস্য দেবাশিস রায়। একই মঞ্চে দেখা যায় বর্তমান সচিব দেবাশিস দত্ত আর টুটু বসুর ছোট ছেলে সৌমিক বসুকে (টুবলাই)। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, নির্বাচনকে কাজে লাগাতেই এই প্রচারে চমক দেয় বাগানের শাসক গোষ্ঠী। যা ভালোভাবে নেননি বাগান সভাপতি টুটু বসু। আসন্ন নির্বাচনে বড় ছেলে সৃঞ্জয় বসুর (টুম্পাই) হাত শক্ত করতেই তাই সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা টুটু বসুর।
ইস্তফাপত্রে তিনি লিখেছেন, “আমরা সবাই জানি যে, মোহনবাগান ক্লাবে নির্বাচন আসন্ন। অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অসীম রানার নেতৃত্বে নির্বাচনী বোর্ড ইতিমধ্যে গঠন হয়ে গিয়েছে। কিন্তু আসন্ন নির্বাচনের আগে আমি একটা সিদ্ধান্ত নিতে চাই। আর সেই কারণেই আপনাদের উদ্দেশ্যে আমার এই চিঠি লেখা। বহু বছর ধরে আমি মোহনবাগান ক্লাবের সঙ্গে জড়িয়ে। মোহনবাগান ক্লাব আমার কাছে মাতৃসম। মোহনবাগান চিরকাল আমার হৃদয়ের বাঁদিকে ছিল, আছে, থাকবে। আমি এত দিন একনিষ্ঠ সেবায়েতের মতো ক্লাবের নিত্যপুজো করেছি। নিজের সাধ্যমতো, মোহনবাগানের সেবা-যত্ন করার চেষ্টা করেছি। কতটা করতে পেরেছি, সবচেয়ে ভালো জানেন আমার প্রিয় সদস্য-সমর্থকরা। যাঁদের কাছে আমি টুটুদা কিংবা শুধুই টুটু।’
মোহনবাগান ক্লাবের নির্বাচন সম্পর্কে তিনি লেখেন, ‘ক্লাবের নির্বাচন যেহেতু দোড়গোড়ায়, তাই সদস্যদের উদ্দেশ্যে আমারও কিছু বলা দরকার। কারণ, কোন কমিটি আসবে, তাতে থাকবেন কারা, তা ঠিক করবেন সদস্যরা। কিন্তু সভাপতির চেয়ারে বসে থেকে সেই কাজ আমার পক্ষে করা সম্ভব নয়। আসলে সভাপতির চেয়ার থেকে কোনও এক পক্ষের প্রচার করা উচিত নয়। চেয়ার কিংবা পদের অপব্যবহার করে কখনও কিছু আমি করিনি, এবারও করব না। তাই ঠিক করেছি, মোহনবাগান ক্লাবের সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দেব। আপনাদের কাছে অনুরোধ, দয়া করে আমার ইস্তফাপত্র গ্রহণ করবেন। যাতে আমার মন যা বলছে, তা নির্দ্বিধায় আমি আমার প্রিয় সদস্যদের বলতে পারি।”
মনে করা হচ্ছে, এ বার খোলা মনে নির্বাচনী প্রচারে নামবেন টুটু বসু। তাঁর বড় ছেলে সৃঞ্জয় বসু মোহনবাগানের সচিব থাকাকালীন ক্লাবের অনেক উন্নতি হয়েছে। আবারও যাতে সৃঞ্জয় বসুর হাতেই দায়িত্ব আসে, নির্বাচনী প্রচারে তেমনই হয়তো চেষ্টা করবেন।





