East Bengal: ‘শতবর্ষে ইস্টবেঙ্গল’ তথ্যচিত্র প্রকাশ মুখ্যমন্ত্রীর, লাল-হলুদ ক্লাবকে বড় পুরস্কার মমতার
ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের মহিলা টিম সম্প্রতি ভারতসেরা হয়েছে। মহিলা টিমের প্লেয়াররা মুখ্যমন্ত্রীর হাতে ট্রফি তুলে দিতে এসেছিলেন। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী পাল্টা ট্রফি তাঁদের হাতেই তুলে দেন।

রবীন্দ্র সদনে ‘শতবর্ষে ইস্টবেঙ্গল’ তথ্যচিত্র প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই তথ্যচিত্র প্রকাশের মঞ্চে হাজির ছিলেন ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের প্রেসিডেন্ট মুরারিলাল লোহিয়া, ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, স্নেহাশিস চক্রবর্তী, স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়, শ্রীজিত , ইন্দ্রনীল সেন, তথ্যচিত্রের পরিচালক গৌতম ঘোষ। এই অনুষ্ঠানের প্রথমেই কাশ্মীর হামলায় নিহতের উদ্দেশ্যে নীরবতা পালন হয় ১ মিনিট। সেখান থেকে নানা বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের মহিলা টিম সম্প্রতি ভারতসেরা হয়েছে। মহিলা টিমের প্লেয়াররা মুখ্যমন্ত্রীর হাতে ট্রফি তুলে দিতে এসেছিলেন। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী পাল্টা ট্রফি তাঁদের হাতেই তুলে দেন। এবং ইস্টবেঙ্গল ক্লাবকে ৫০ লক্ষ টাকা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
‘শতবর্ষে ইস্টবেঙ্গল’ তথ্যচিত্র প্রকাশ অনুষ্ঠানে তিন প্রধানকে একসঙ্গে দেখে খুশি মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘মাঠে নামলে তিনটি ক্লাবই একে অপরের প্রতিপক্ষ। কিন্তু এখানে তিনটি ক্লাব এসেছে দেখে ভাল লাগছে। ১০০ বছর কম নয়। আমরা যখন ছোট ছিলাম, ব্রিটিশদের সঙ্গে খালি পায়ে খেলেছিল মোহনবাগান। সন্তোষ ট্রফিতে বাংলা জিতেছিল। দলের প্লেয়ারদের আমি নিজের হাতে চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দিয়েছিলাম।’
এরপরই মমতা বলেন, ‘মোহনবাগানের তো টাকার অভাব নেই। সঞ্জীব গোয়েঙ্কা আছেন। প্রতিযোগিতা মানে প্রতিযোগিতা। একটা সুস্থ প্রতিযোগিতা হওয়া উচিত। আইএসএল জয়ের জন্য মোহনবাগান টিমের প্লেয়ার ও কোচকে আমি অভিনন্দন জানাচ্ছি। আগামীদিনে এএফসি তে আপনারাই জিতে আসবেন। আগাম শুভেচ্ছা।’
মমতা আরও বলেন, ‘আমি সামান্য মানুষ। আমি যতটা পারি ক্লাবগুলিকে টাকা দিতে। অ্যাকাডেমিগুলো তৈরি হয়েছে। আমি ক্রীড়ামন্ত্রী থাকাকালীন সরকারি-বেসরকারিকে যুক্ত করে খেলাকে অন্য মাত্রায় পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলাম। ভাল খেলোয়াড় তৈরি করতে হবে। তাঁকে ভাল করে গ্রুম না করলে চলবে কী করে? খেলাধুলা দেশ গড়ার কাজে সব ধর্মের মানুষ অংশ নেয়। ভারতীয় ক্যাপ্টেন মানে ভারতীয়। ধর্মের ভিত্তিতে আমরা কী জিজ্ঞাসা করি?’
ফুটবলের প্রতি মুখ্যমন্ত্রীর ভালোবাসা বার বার ফুটে উঠেছে। তিনি বলেন, ‘১৪ অগস্ট রাজ্যে খেলা দিবস পালন করি। এখন রাজ্যর বাজেটে খেলার জন্য ৮৪০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছি। আর্মি ডুরান্ড ক্লাব করে, সেটা বাংলায় হয়। খেলাশ্রীতে আমরা সহায়তা করি। আমি স্নেহাশিসকে বলব ডুমুরজোলাতে ক্রিকেট অ্যকাডেমি করতে। সৌরভের সঙ্গে কথা হয়েছে। আরেকটা ক্রিকেট স্টেডিয়াম করে নাও। জমির ব্যবস্থা করে দেব। ১৫৫৫ জন অবসরপ্রাপ্ত ক্রীড়াবিদকে পেনশন দিই। শুধু সরকার একা করতে পারে না। সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে।’
ইমামির উদ্দেশ্যেও বার্তা দেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘মোহনবাগানকে সঞ্জীব গোযেঙ্কারা নিয়ে নিল। টুম্পাই ভালই ম্যানেজ করেছে। আমি দেখলাম ইমামি ভাল ব্যবসা করছে। তাই বললাম ইস্টবেঙ্গলকে নিতে বললাম। কিন্তু কিছু মনে করবেন না, খেলোয়াড় বাছার সময় ভাল করে বাছাই করুন। বাংলার কোনও দল জিতলে আমার ভাল লাগে। ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের কর্তারাও দোষী। আজ ১০০ বছর হল আপনাদের ক্লাবের। গৌতম ঘোষ এবং শ্রীজিতের মতো আন্তর্জাতিক মানের চিত্র পরিচালক আপনাদের তথ্যচিত্র তৈরি করেছেন। ভাল ভাল খেলোয়াড় বাছাই করুন। এখন থেকে ভাল খেলোয়াড় বাছাই করুন। আমি মনে করি ইমামি গ্রুপ আপনাদের সাহায্য করবে। বোল্ড করতে হলে এখন থেকে স্ট্র্যাটেজি তৈরি করুন। আমি চাইব আপনারা এগিয়ে যান।’





