Manyaa Kapoor: মনুকে হারিয়ে ১৪ বছরে শুটিং থেকে সোনা জিতে চমক নাম্যর

১৪ বছরেই যে চমকে দিতে শুরু করেছে, তার স্বপ্ন যে অনেক বড় হবে কোনও সন্দেহ নেই। মনুকে হারিয়ে প্যারিস অলিম্পিক (Olympic) নিয়ে হয়তো এখন থেকেই স্বপ্ন দেখা শুরু করে দিয়েছে নাম্য (Namyaa Kapoor)।

Manyaa Kapoor: মনুকে হারিয়ে ১৪ বছরে শুটিং থেকে সোনা জিতে চমক নাম্যর
ভারতীয় শুটিংয়ের নতুন তারকা। সৌ: টুইটার
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 05, 2021 | 5:04 PM

লিমা: মাত্র ১৪ বছর বয়স (14 year old) তার। বছর চারেক আগেও পিস্তল কী বস্তু, জানা ছিল তার। ১০ বছরের মেয়েটি অবশ্য একটু চুপচাপই থাকত। কিন্তু এক মনে সব কিছু খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখত। তা-ই সাবির খানের নজর কেড়ে নিয়েছিল। দিদি খুশির খেলার প্রতি যদি এত মনোযোগী হতে পারে, নিজে খেললে কী করবে! কী করতে পারে সে, জুনিয়র (junior) শুটিং বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে (shooting world championship) দেখিয়ে দিল ১৪ বছরের কিশোরী। ২৫ মিটার পিস্তলে সোনা জিতে ফেলল নাম্য কাপুর (Namyaa Kapoor)। নাম্যকে নিয়ে যখন তোলপাড়, তখন আবার বিশ্বরেকর্ড করে সোনা জিতলেন ঐশ্বর্যপ্রতাপ সিং টোমার (Aishwary Pratap Singh Tomar)। ৫০ মিটার থ্রি পজিশনে। পুরনো বিশ্বরেকর্ড (World Record) ছুঁলেন ১১৮৫ পয়েন্ট তুলে।

দিল্লির পঞ্জাবি বাগে বাড়ি নাম্যর। গুরু হরকিষাণ পাবলিক স্কুলে পড়ে। অলিম্পিয়ান শুটার সঞ্জীব রাজপুতের ভাইঝিও। এত কিছুর পরেও ১৪ বছরের নাম্যকে নিয়ে রীতিমতো হইচই পড়ে গিয়েছে শুটিংমহলে। কোয়ালিফাইং রাউন্ডে ৫৮০ পয়েন্ট তুলে ফাইনালে উঠেছিল। ফাইনালে তারপর সোনা পেতে আর অসুবিধা হয়নি তার। ওই ইভেন্ট থেকে টোকিও অলিম্পিকে অংশ নেওয়া মনু ভাকের (Manu Bhaker) ব্রোঞ্জে থেমেছেন।

ছোটখাটো গোলগাল চেহারা। চোখে চশমা। ক্লাস সিক্সের ছাত্রী। সেই নাম্যই এখন ভারতের শুটিং ইতিহাসে সর্বকনিষ্ঠ শুটার, যে আন্তর্জাতিক পদক নিয়ে এল। নাম্যকে যিনি দর্শক আসন থেকে রেঞ্জে নিয়ে এসেছিলেন, সেই কোচ সাবির বলেছেন, ‘ও বলত, মনুর সঙ্গে ফাইনাল খেলতে চাই। ওর সঙ্গেই খেলল, চ্যাম্পিয়নও হল। ২০১৯ সালে দিল্লি শুটিং চ্যাম্পিয়নশিপে সোনা জিতে যাত্রা শুরু তার। ওই বছরই উত্তরাঞ্চল চ্যাম্পিয়নশিপেও সোনা জেতে। জাতীয় টিমেও ঢুকে পড়ে দ্রুত। হাঁটতে হাঁটতে জুনিয়র বিশ্বকাপের পদকের মঞ্চে। নাম্য বলেছেন, ‘প্রথম আন্তর্জাতিক পদক পেয়ে খুব ভালো লাগছে।’

সোনা জেতার পর পেরু থেকে বাবা প্রবীণ কাপুরকে ফোন করে নাম্য বলেছে, ‘এ বার তো আইফোন দাও!’ প্রবীণ হাসতে হাসতে বলেছেন, ‘বাচ্চারা যখন কঠিন পরিশ্রমের ফল পায়, তখন আমাদের মতো অভিভাবকরা নিজেদের দায়িত্বটা পালন করার চেষ্টা করি।’

প্রথম কোচ সাবির বলছেন, ‘শুটারদের জন্য যে মাসল লাগে, সেটা নাম্যর ছিল। সেই কারণেই আমি ওর বাবা-মাকে বলি, শুটিংয়ে দাও মেয়েকে। ওকে খুব বেশি হতাশ হতে দেখিনি। ভয়ডরহীন খেলতে ভালোবাসে। ওর বাবা-মাকে বলেছিলেন, এ বার দেখো তোমাদের মেয়ে কোথায় পৌঁছয়।’

১৪ বছরেই যে চমকে দিতে শুরু করেছে, তার স্বপ্ন যে অনেক বড় হবে কোনও সন্দেহ নেই। মনুকে হারিয়ে প্যারিস অলিম্পিক নিয়ে হয়তো এখন থেকেই স্বপ্ন দেখা শুরু করে দিয়েছে নাম্য।

আরও পড়ুন: দেশের ফুটবল ম্যাচে গ্যালারিতে থাকবেন ইরানি মেয়েরা