Shaili Singh: নতুন ‘ঝাঁসির রানি’ শৈলীর পাশে সব সময় ছিলেন মা
ছেলেবেলা থেকেই বরাবর খেলাধূলার প্রতি শৈলীর আগ্রহ থাকায় সবার কথা উপেক্ষা করেই এক প্রকার বেঙ্গালুরুতে মেয়েকে ট্রেনিংয়ের জন্য পাঠিয়েছিলেন তিনি। যার ফল এখন পাচ্ছেন।
ঝাঁসি: নাইরোবিতে (Nairobi) অনূর্ধ্ব ২০ বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে (World Athletics U20 Championships) রুপো (Silver) পেয়েছেন ঝাঁসির মেয়ে শৈলী সিং (Shaili Singh)। তাঁর সাফল্যের পিছনে কোচ রবার্ট ববি জর্জের অবদান থাকলেও শৈলীকে শক্তিশালী ও দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ করে তোলার দায়িত্ব প্রথম থেকেই নিয়েছিলেন তাঁর মা বিনীতা সিং (Vinita Singh)। ছেলেবেলা থেকেই বরাবর খেলাধূলার প্রতি শৈলীর আগ্রহ থাকায় সবার কথা উপেক্ষা করেই এক প্রকার বেঙ্গালুরুতে মেয়েকে ট্রেনিংয়ের জন্য পাঠিয়েছিলেন তিনি। যার ফল এখন পাচ্ছেন। ১৭ বছরের শৈলীর সামনে এখন রয়েছে আরও নানা প্রতিযোগিতা ও অভিজ্ঞতা অর্জন করার সুযোগ।
শৈলীর মা সেলাইয়ের কাজ করে তিন সন্তানের ভরণপোষণ করেন। তাঁর মেয়ে বেঙ্গালুরুতে (Bengaluru) একা যাবেন সেকথা শোনার পর পাড়া-প্রতিবেশী থেকে শুনতে হয়েছিল নানা কথা। সেই প্রসঙ্গে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে শৈলী বলেন, “আমি অ্যাথলেটিক্সে আসার পর শুরুর দিকে ডায়েট ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে ভীষণ সমস্যায় পড়েছিলাম। যখন আমাকে অঞ্জু ম্যাডাম বেঙ্গালুরুতে ডেকেছিলেন তখন আমার বাড়ির ওখানে অনেকেই মাকে বলেছিল মেয়েকে একা শহরে পাঠিও না। কিন্তু আমার মা সকলকে বলেছিল, ‘ও আমার মেয়ে, ও ভালো করেই জানে কেন আমি ওকে ওখানে পাঠাচ্ছি।'”
Hon'ble Union Minister of Sports Sh. @ianuragthakur interacted with #WorldAthleticsU20 Championships winners at Shastri Bhawan, New Delhi today.He congratulated them on their win and wished them good luck for future competitions.#IndianSports #Athletics pic.twitter.com/RMIHY1nWE0
— SAI Media (@Media_SAI) August 25, 2021
শৈলী আরও বলেন, “আমার মা শক্তিশালী ও দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। আমি তাঁর কাছে বড় হওয়ার জন্য একই সাহস পেয়েছি। আমি ভীষণ লড়াই করে এগিয়ে এসেছি। যখন বেঙ্গালুরুতে আসি তার পর আমার জীবনে অনেক কিছু পাল্টে গিয়েছে। আমি যেন একটা নতুন জীবন পেয়েছিলাম।”
১৭ বছরের শৈলী বেঙ্গালুরুর সেন্ট প্যাট্রিক স্কুলের দশম শ্রেনীর ছাত্রী। অনূর্ধ্ব ২০ বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নেওয়ার ফলে পরীক্ষায় বসতে পারেননি তিনি। তাঁর কথায়, “ক্লাস টেনের পরীক্ষায় আমার বসার কথা ছিল। কিন্তু প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার জন্য আমি পরীক্ষায় বসতে পারিনি।” শৈলীর বড় দিদি বি.কমের তৃতীয় বর্ষে পড়েন। আর ছোট ভাই পড়ে ক্লাস সিক্সে। সেলাই করে স্বল্প রোজকারে সংসার চালালেও শৈলীর মা ছেলেমেয়েদের পড়াশোনায় কোনও ত্রুটি রাখেননি। পাশাপাশি সব সময় সমর্থন করেছেন ছোট মেয়ে শৈলীর খেলাধূলার প্রতি ভালোবাসাকেও। যার ফলেই আজ বিশ্বমঞ্চে দেশকে রুপো এনে দিয়ে গর্বিত করেছেন লং জাম্পার (Long Jump) শৈলী সিং।
আরও পড়ুন: World Athletics U20 Championships: অল্পের জন্য সোনা হাতছাড়া, শৈলী সিংয়ের ঝুলিতে রুপো