TOKYO OLYMPICS 2020 : একজনের বাবা মেরেছিলেন চড়, একজনের বাবা বিক্রি করেন গরু
সাফল্য কত গল্প বদলে দিতে পারে মুহূর্তে। কত ভুল ধরে ঠিকের রাস্তা। তেমনি গল্প ব্রোঞ্জজয়ী হকি দলের সদস্য বিবেক সাগরের। মধ্যপ্রদেশের এই ২১ বছরের বিবেক খেলেন মনপ্রীতদের দলে মিডফিল্ডারের ভূমিকায়।
মধ্যপ্রদেশ ও কেরলঃ : ছোটবেলা থেকে ধ্যানজ্ঞান ছিল হকি। মন বসত না পড়াশুনোয়। ছেলে পড়াশুনো ছেড়ে হকি খেলছে। এই রাগে একদিন তাঁকে কষিয়ে চড় মেরেছিলেন বাবা। হকির স্টিক রেখেছিলেন সরিয়ে। আজ যখন অলিম্পিকের মঞ্চে ছেলের গলায় ব্রোঞ্জ পদক ঝুলছে, তখন বিবেক সাগরের বাবার স্বীকারোক্তি, “সেদিন হকি খেলার জন্য চড় মেরে ভুল করেছিলাম। আমি দুঃখিত।”
সাফল্য কত গল্প বদলে দিতে পারে মুহূর্তে। কত ভুল ধরে ঠিকের রাস্তা। তেমনি গল্প ব্রোঞ্জজয়ী হকি দলের সদস্য বিবেক সাগরের। মধ্যপ্রদেশের এই ২১ বছরের বিবেক খেলেন মনপ্রীতদের দলে মিডফিল্ডারের ভূমিকায়। ছেলের গর্বের মুহুর্ত দেখে চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি বাবা। আর প্রকাশ্যে বলেছেনে, ছোটবেলার মারা চড়ের জন্য তিনি বিবেক দংশনে ভুগছেন।
এক হকি তারকার বাবার যখন এই উপলব্ধি, তখন ভারতীয় হকির আরেক তারকা শ্রীজেশের গল্প খানিকটা আলাদা। তবে তাঁর গল্পেও রয়েছে বাবা। ছোটবেলায় শ্রীজেশ ভলিবল ও দৌড় নিয়ে ব্যস্ত থাকতেন। অবশেষে ক্লাস সেভেনের পর মনোনিবেশ করেন হকিতে। ছোট্ট শ্রীজেশকে কিনে দিতে হবে হকি কিট। প্রয়োজন ১০ হাজার টাকা। সেইসময় মধ্যবিত্তর পরিবারের কাছে এই অর্থ ছিল অনেক। বাড়িতে ৫টি গরু ছিল। বেচে দিলেন শ্রীজেশের বাবা। জোগাড় হল ৭ হাজার টাকা। বাকি ৩ হাজার টাকা জোগাড় করে কিনে দিলেন শ্রীজেশের জন্য কিট। সেই শুরু। তারপর আজ অলিম্পিকের পদক ঝুলল ছেলের গলায়। তাই অলিম্পিকে ৪১ বছর পর ইতিহাস গড়ার পর এদিন শ্রীজেশ জানিয়ে দিলেন, “এই পদক আমি আমার বাবাকেই উৎসর্গ করছি। উনি আমার জন্য যা করেছেন, ভোলার নয়।”
একটা চ্যাম্পিয়ন তৈরির পেছনে থাকে অনেক কাহিনী। তেমনি কাহিনী বিবেক সাগর ও শ্রীজেশের। হতে পারে দুই বাবার গল্প একেবারেই আলাদা। শ্রীজেশের বাবার হকি স্টিক কিনে দেওয়া যদি অনুপ্রেরণা হয়, তবে বিবেক বাবার চড়টাই হয়ত বদলে দিয়েছিল বিবেককে। আরও কঠিন করে তুলেছিল মধ্যপ্রদেশের নতুন নায়ককে। কে বলতে পারে?
অলিম্পিকের আরও খবর দেখতে ক্লিক করুনঃ টোকিও অলিম্পিক ২০২০