গত ১০ বছরে ফোর্ড ইন্ডিয়া প্রায় ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি লোকসান করেছে। ২০১৯ সালেই সেই লোকসানের পরিমাণ ছিল ০.৮ বিলিয়ন ডলার। তাই, এই বিপুল লোকসানের পরে ফোর্ড ইন্ডিয়া ঘোষণা করেছিল যে ভারত থেকে তারা তাদের ব্যবসা এক প্রকার উঠিয়েই নেবে। তাৎক্ষণিকভাবে দেশে বিক্রির জন্য আর বিদেশে রপ্তানির জন্য ২০২১-এর শেষ পর্যন্ত যানবাহন উৎপাদন করা হবে। ২০২২ সালের মাঝামাঝি সময়ে চেন্নাই ইঞ্জিন এবং যানবাহন তৈরির কারখানা বন্ধ হয়ে যাবে বলে জানানো হয়। যদিও, কোম্পানি ঘোষণা করেছে যে ভারতীয় গ্রাহকরা তাদের নতুন এসইউভি তৈরির কারণে দীর্ঘমেয়াদে উপকৃত হবেন। কারণ এই নতুন হাইব্রিড এবং সম্পূর্ণ বৈদ্যুতিক মুস্তং ম্যাক-ই এসইউভি তৈরি করার জন্য তারা বিশ্বব্যাপী ৩০ বিলিয়ন ডলারের বেশি বিনিয়োগ করার পরিকল্পনা করছে।
Ford Mustang Mach-E বৈদ্যুতিক SUV আমেরিকান গাড়ি প্রস্তুতকারকের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা গাড়ি হতে চলেছে। তার প্রধান কারণ হল এটি তাদের প্রথম ইলেকট্রিক ভেহিকল। Ford Mustang Mach-E একটি মসৃণ SUV যা উন্নত রাইড এবং হ্যান্ডলিং এর পাশাপাশি লেটেস্ট প্রযুক্তি সরবরাহ করে। Mustang Mach-E স্ট্যান্ডার্ড এবং এক্সটেন্ডেড-রেঞ্জ ব্যাটারি অপশন সহ রিয়ার-হুইল ড্রাইভ আর অল-হুইল ড্রাইভের ভ্যরিয়েশনে আসবে। এটি পার্মানেন্ট ম্যাগনেট মোটর দ্বারা চালিত হবে। একটি এক্সটেন্ডেড-রেঞ্জ ব্যাটারি এবং রিয়ার-হুইল ড্রাইভ দিয়ে সজ্জিত, Mach-E কমপক্ষে ৪৮২ কিমি এর আনুমানিক রেঞ্জ সরবরাহ করতে পারবে। এক্সটেন্ডেড-রেঞ্জ অল-হুইল-ড্রাইভ কনফিগারেশনে, Mach-E ৩৪৬ বিএইচপি এবং ৫৮০ এনএম টর্ক টার্গেট করছে। স্ট্যান্ডার্ড অল-হুইল-ড্রাইভ ভ্যারিয়েশন টার্গেট করে পোর্শ ম্যাকান সিরিজের তুলনায় এই ফোর্ড এসইউভি অনেক কম সময়ে ১০০ কিমি গতিবেগ পাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
ব্লিস্টার এক্সিলারেশন ছাড়াও Mustang Mach-E ব্রেম্বোর পারফরম্যান্স ফ্লেক্সিরা অ্যালুমিনিয়াম ক্যালিপার্সের সঙ্গে পাওয়া যাবে। এই গাড়ির একটা জিটি পারফরমেন্স সংস্করণও রয়েছে, যা ম্যাগনরাইড ড্যাম্পিং সিস্টেম, ফোর্ড পারফরম্যান্স সিট এবং ২০ ইঞ্চি মেশিনড-ফেস এবোনি ব্ল্যাক চাকার সঙ্গে আসবে। যা ২৪৫/৪৫আর২০ পিরেলি সামার হুইলের সঙ্গে যোগ করা হবে। Mustang Mach-E তিনটি ড্রাইভিং অভিজ্ঞতা প্রদান করতে পারবে। হুইসপার, এনগেজ এবং লিমিটলেস। প্রতিটি অফার টিউনড ড্রাইভিং ডাইনামিক্স একটি স্বতন্ত্র সেন্সরি এক্সপিরিয়েন্সের সঙ্গে প্যাকেজ করা থাকবে। এই সেন্সরি এক্সপিরিয়েন্সের মধ্যে থাকবে স্পোর্টিয়ার স্টিয়ারিং কন্ট্রোল, পরিবেষ্টিত আলো, সত্যিকারের ইলেক্ট্রিক্যাল অভিজ্ঞতার জন্য এক বিশেষ ধরনের শব্দ এবং গতিশীল ক্লাস্টার অ্যানিমেশন।
Ford Mach-E-তে অল-হুইল ড্রাইভ সিস্টেম পাওয়া যাবে যা রিয়ার-হুইল ড্রাইভ মডেলের উপর আপগ্রেডেড হ্যান্ডলিংয়ের পাশাপাশি সামনের এবং পিছনের অ্যাক্সিসগুলিতে স্বাধীনভাবে টর্ক পেতে সাহায্য করবে। রাস্তায় ভাল মানের ট্র্যাকশন পাওয়ার জন্য ফোর্ড এই সিস্টেমকে বিশেষভাবে টিউন করেছে। পিচ্ছিল অবস্থায় নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করার জন্য ভেজা এবং তুষারযুক্ত অঞ্চলে গাড়ি কঠোরভাবে পরীক্ষা করা হয়েছে। Mach-E-তে রাখা হচ্ছে পরবর্তী প্রজন্মের SYNC যোগাযোগ ও বিনোদন ব্যবস্থা। পরবর্তী প্রজন্মের SYNC 4A-এর ১৫.৫-ইঞ্চি টাচস্ক্রিনে সোয়াইপ থেকে শুরু করে পিঞ্চ কন্ট্রোলের ব্যবস্থা থাকবে।
আরও পড়ুন: ভারতে লঞ্চ হয়েছে ডুকাটির নতুন বাইক, দাম কত?
আরও পড়ুন: বিএমডব্লিউয়ের নতুন বিদ্যুৎচালিত সাইকেলের টপ স্পিড জানলে অবাক হবেন!