Tata Nano-র সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে উল্টে গেল Mahindra Thar, ইয়ার্কি নয়! সত্যি…
TMahindra Thar vs Tata Nano: সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, Tata Nano-র সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে উল্টে গেল একটি Mahindra Thar। অবাক কাণ্ড মনে হলেও সত্যি ঘটনা। ইন্টারনেটে এই ঘটনা দুই গাড়ি প্রস্তুতকারক সংস্থার প্রডাক্ট নিয়ে রীতিমতো তর্কাতর্কি শুরু করে দিয়েছেন নেটিজ়েনরা।
Mahindra Thar-এর কথা শুনলে কোন কোন বিষয়গুলো আমাদের মাথায় আসে? অফরোডিং ক্ষমতা সম্পন্ন , রাগড্ ডিজ়াইনের শক্তপোক্ত একটা গাড়ি। কী, তাই তো? আর একদিকে যখন Tata Nano-কে রাস্তায় ছুটতে দেখেন, তখন কী মনে হয় আপনার? সস্তার গাড়ি, কম্প্যাক্ট ডিজ়াইন, একটু দুর্বল ভেবে অনেকেই পরিহাস করে থাকেন! তাই না? কিন্তু আপনার পরিহাসের পাত্র Tata Nano-ই এমন কাণ্ড করে দেখাল, যা দেখলে আপনি অবাক হয়ে যাবেন। সম্প্রতি একটি ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় খুব ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখা গিয়েছে, Tata Nano-র সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে উল্টে গেল একটি Mahindra Thar। অবাক কাণ্ড মনে হলেও সত্যি ঘটনা। ইন্টারনেটে এই ঘটনা দুই গাড়ি প্রস্তুতকারক সংস্থার প্রডাক্ট নিয়ে রীতিমতো তর্কাতর্কি শুরু করে দিয়েছেন নেটিজ়েনরা।
জানা গিয়েছে, ভিডিয়োটি ছত্তীসগঢ়ের দুর্গ এলাকার। ছোট্ট ক্লিপটিতে দেখা গিয়েছে, একটি Tata Nano গাড়ির সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে রীতিমতো উল্টে গেল Mahindra Thar গাড়িটি। Cartoq-র একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, মাহিন্দ্রা থার খুব দ্রুত গতিতে জাংশন ক্রস করছিল। সেই সময়ই টাটা ন্যানো গাড়িটি ধাক্কা মারে ওই বেপরোয়া গতির SUVটিকে। তারপর দুটো গাড়ির অবস্থাই খারাপ হয়। তবে, মাহিন্দ্রা থার গাড়িটি এক্কেবারে উল্টে যায়।
তবে, যেমনটা আপনি ভাবছেন, তা কিন্তু নয়। Mahindra Thar উল্টে যাওয়ার পিছনে কেবল Tata Nano-র ধাক্কার প্রভাব রয়েছে, এর থেকে বেশি আর কিছু নয়। তার কারণ, হাই সেন্টার অফ গ্র্যাভিটির জন্যই ন্যানো-র থেকে অপেক্ষাকৃত বড় গাড়িটি উল্টে যায়। উচ্চ মাধ্যাকর্ষণের কারণে SUV-র বডি রোল করতে থাকে এবং সেটি পাল্টি খায়। এখানে Tata Nano গাড়িটি Mahindra Thar-কে একপাশ থেকে আঘাত করে। সৌভাগ্যক্রমে, এই দুর্ঘটনায় কেউ আহত হননি এবং Mahindra Thar-এর পিলারগুলি অক্ষত অবস্থায় ছিল।
অন্য দিকে Tata Nano গাড়িটির সামনের একটা প্রান্ত বেশ কিছুটা তুবড়ে গিয়েছে। তবে প্রভাব সেরকম ছিল না বলেই সেই ডেন্টকে গৌণ বলে মনে হচ্ছে। প্রসঙ্গত, Tata Nano-র ইঞ্জিনটি গাড়ির পিছনের দিকে দেওয়া হয়েছে। তাই, গাড়িটি সামনের দিক থেকে আঘাতপ্রাপ্ত হওয়ার ফলে সেভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। এখন এই ভিডিয়ো ভাইরাল হওয়ার পর বহু মানুষ নানাবিধ মন্তব্য করেছেন।
একজন লিখছেন, “অ্যান্ট অ্যান্ড এলিফ্যান্টের সেরা উদাহরণ”। আর একজন জুড়লেন, “দুটো গাড়িউই আমাদের দেশের বাঘ।” কেউ আবার এ-ও যোগ করলেন, “মাহিন্দ্রা থারের জন্য একে একপ্রকার বেজ্জতি ছাড়া আর কী-ই বা বলব!”