Maruti Suzuki: বড় ঘোষণা মারুতির তরফ থেকে! বহাল হবে ২০২৩ সালেই, কী এই ঘোষণা? সবিস্তারে জেনে নিন…
২০২০ সাল থেকেই অনেক গাড়ি কোম্পানি ভারতে ডিজেল গাড়ি থেকে মুখ ফেরাতে শুরু করেছে। বর্তমানে প্রত্যেকটি গাড়ি কোম্পানির পাখির চোখ ইলেকট্রিক গাড়ি।
দেশের বিভিন্ন শহরে প্রায় ১ মাস ধরে অপরিবর্তি রয়েছে জ্বালানির দাম। তবে সেঞ্চুরির ঘর থেকে দাম না নামায় খুব একটা স্বস্তিতে নেই সাধারণ মানুষ। জ্বালানির দাম প্রতিনিয়ত এভাবে বেড়ে যাওয়ার কারণে প্রভাব পড়ছে দৈনন্দিন জীবনেও। এবার পেট্রল-ডিজেলের দামের গ্রাফ উর্ধ্বমুখী দেখে একটা বড় সিদ্ধান্ত নিল গাড়ি নির্মাতা সংস্থা মারুতি সুজুকি। এই গাড়ি কোম্পানির তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে তারা আগামী ২০২৩ সাল থেকে ডিজেল গাড়ি বানানো বন্ধ করতে চলেছে।
ভারতের গাড়ির বাজারে সব থেকে বড় কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে পেট্রোল ও ডিজেলের বর্ধিত দাম। এর ফলে ধ্বস নেমেছে এই ধরনের গাড়ি বিক্রির বাজারে। স্বভাবতই পেট্রল ও ডিজেল গাড়ির চাহিদা প্রায় তলানিতে এসে ঠেকেছে। তাই গাড়ি নির্মান সংস্থা মারুতি সুজুকি মনে করছে, আগামী দিনে পেট্রল ও ডিজেল গাড়ি তৈরি বন্ধ করতে হতে পারে। বলা বাহুল্য, জ্বালানির দর বাড়ায় বিভিন্ন সংস্থার তরফে নিয়ে আসা আসা হচ্ছে ইলেকট্রিক গাড়ি। তবে সেক্ষেত্রে দু-চাকার ইলেকট্রিক গাড়ি বা ই-স্কুটার লঞ্চের পরিমানই বেশি।
মারুতি সুজুকি কোম্পানির সিনিয়ার এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর সিবি রমণ জানিয়েছেন যে, ২০২৩ সালের পর থেকেই ভারতে কমে যেতে পারে ডিজেল গাড়ির বিক্রি। বিগত কয়েক বছর ধরেই ডিজেল গাড়ির বদলে গ্রাহকদের ইন্টারেস্ট বেড়েছে পেট্রোল গাড়ির দিকে। এর ফলে আগামী দিনে কোম্পানির তরফে ডিজেল গাড়ির তৈরির ওপর থেকে মনোবনিবেশ কিছুটা বিচ্ছিন্ন করা হবে।
তিনি জানিয়েছেন, ধীরে ধীরে এই সংস্থা থেকে একেবারেই বিলুপ্ত হয়ে যাবে ডিজেল গাড়ি। বন্ধ করে দেওয়া হবে মারুতি সুজুকি কোম্পানির ডিজেল গাড়ি তৈরি। এই বিষয় বিশেষজ্ঞদের অনুমান, বর্তমানে ভারতে প্যাসেঞ্জার গাড়ির বিক্রি প্রায় ১৭ শতাংশ কমে গিয়েছে। ২০১৩-১৪ সালের তুলনায় যা প্রায় অনেকটাই কম। সেই সময় মোট বিক্রির ৬০ শতাংশই ছিল ডিজেল গাড়ির দখলে।
২০২০ সাল থেকেই অনেক গাড়ি কোম্পানি ভারতে ডিজেল গাড়ি থেকে মুখ ফেরাতে শুরু করেছে। বর্তমানে প্রত্যেকটি গাড়ি কোম্পানির পাখির চোখ ইলেকট্রিক গাড়ি। কয়েকটি গাড়ি কোম্পানি পেট্রোল ও ডিজেলের বদলে সিএনজি গাড়ি তৈরি করলেও, ভারতের বাজারে এখনও সেভাবে প্রভাব ফেলতে পারেনি। এর ফলে প্রত্যেকটি গাড়ি কোম্পানি নিজেদের ব্যবসার উন্নতির জন্য অন্য পথে হাঁটা শুরু করেছে। বলা বাহুল্য, ধীরে ধীরে গাড়ি বাজার দখল করে নিচ্ছে ইলেকট্রিক গাড়ি।