জার্মানির বিলাসবহুল অটোমোবাইল সংস্থা মার্সিডিজ বেঞ্জ। সম্প্রতিই এই সংস্থা তাদের নতুন ইলেকট্রিক গাড়ি Vision EQXX প্রকাশ্যে এনেছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, লাস ভেগাসে চলছে মার্সিডিজ বেঞ্জের Consumer Electronics Show (CES)। সেখানেই এই নতুন ইলেকট্রিক গাড়ি প্রকাশ করেছে Vision EQXX। বলা হচ্ছে, একবার চার্জ দিলে এই ইলেকট্রিক গাড়ি ঘণ্টায় এক হাজার কিলোমিটারেরও বেশি সফর করতে পারবে। ইলেকট্রিক ভেহিকেলের দুনিয়ায় মার্সিডিজ বেঞ্জের এই গাড়ি এক যুগান্তকারী সৃষ্টি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
বলা হচ্ছে, মার্সিডিজ বেঞ্জ এ যাবৎ যত ইলেকট্রিক গাড়ি নির্মাণ করেছে, তার মধ্যে VISION EQXX অন্যতম সেরা মডেল। এই গাড়িতে প্রতি ১০০ কিলোমিটার সফরে ১০ কিলোওয়াট ঘণ্টা (kilowatt hours বা kWh) শক্তির প্রয়োজন হবে বলে শোনা গিয়েছে। এছাড়াও শোনা গিয়েছে, যে মার্সিডিজ বেঞ্জের এই ইলেকট্রিক গাড়ি তৈরি হয়েছে রিনিউয়েবেল বা পুনরায় সৃষ্টি হবে এ জাতীয় উপদান দিয়ে। ফলে এর সরাসরি কোনও খারাপ প্রভাব পৃথিবীতে পড়বে না। মার্সিডিজ বেঞ্জ সংস্থার সিইও Ola Kaellenius জানিয়েছেন, আগামী দিনে বা ভবিষ্যতের ইলেকট্রিক গাড়ি যেরকম ভাবে তাঁরা দেখতে চান, ঠিক সেভাবেই তৈরি করা হয়েছে VISION EQXX মডেল।
Digital World Premiere of the VISION EQXX https://t.co/jycbkv7OWr
— Mercedes-Benz (@MercedesBenz) January 3, 2022
মার্সিডিজ বেঞ্জের রিব্র্যান্ডেড ভার্সাব Daimler চলতি বছর অর্থাৎ ২০২২ সালের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যেই বিভিন্ন ধরনের টেরেন বা ভূ-প্রাকৃতিক গঠনে নতুন ইলেকট্রিক গাড়ি VISION EQXX- এর টেস্ট ড্রাইভ করা হবে। একথা ঘোষণা করেছেন চিফ টেকনোলজি অফিসার (সিটিও) মার্কাস শেফার। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই ইলেকট্রিক গাড়িই প্রথম, যা একবার ব্যাটারি চার্জ দিলে ১০০০ কিলোমিটার রেঞ্জ যেতে পারবে। ওজনে এই গাড়ি যথেষ্ট হাল্কা হবে। যেমন- ম্যাগনেসিয়াম হুইল এবং CFRP ডোর থাকবে এই গাড়িতে। গাড়ির ওজন হতে পারে ১৭৫০ কিলোগ্রাম। এই গাড়ির উপরে থাকবে আলট্রা থিন সোলার প্যানেল। এছাড়াও এই গাড়ির ব্যাটারিতে থাকছে ৯০০ভি টেকনোলজি। তবে এই ব্যাটারি EQS 450+ ব্যাটারির তুলনায় ৫০ শতাংশ ছোট এবং ৩০ শতাংশ হাল্কা। ব্যাটারির মোট ওজন ৪৯৫ কিলোগ্রাম।
মার্সিডিজ বেঞ্জের এই গাড়ির ভিতরে রয়েছে একটি সুবিশাল ৮কে টাচ স্ক্রিন। এই স্ক্রিনের আকার-আয়তন ৪৭.৫ ইঞ্চি। এর সঙ্গে যুক্ত রয়েছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স সিস্টেম। রিয়েল টাইম থ্রিডি নেভিগেশন সাপোর্ট রয়েছে এই গাড়িতে। এছাড়াও রয়েছে NAVIS অটোমোটিভ সিস্টেম। সঠিক নেভিগেশন পাওয়ার ফলে চালক দ্রুত এবং সহজে ঠিক জায়গায় পৌঁছতে পারেন।
আরও পড়ুন- Electric Cars: ২০২২ সালে লঞ্চ হতে চলেছে যে ১০টি সেরা ইলেকট্রিক গাড়ি… রইল সম্ভাব্য তালিকা