ভারতের রাস্তায় চলবে টেসলার গাড়ি। আড্ডা আলোচনায় এটাই বেশ কিছুটা জায়গা করে নিয়েছিল একটা সময়ে। মনে করা হত, এসব ভাবনা চিন্তা দূরস্ত। কিন্তু বাস্তবে ঠিক তা নয়, সত্যিই ভারতের রাস্তায় আসতে চলেছে টেসলার গাড়ি। এবার শুধুই তা সময়ের অপেক্ষা।
চলতি বছর অগাস্টেই টেসলার ৪টি মডেলকে ইতিবাচক ভঙ্গি দেখানো হয়েছিল কেন্দ্রের বিশেষজ্ঞ কমিটির তরফ থেকে। হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, এবার আরও ৩টি মডেলকে সমর্থন জানিয়েছে তাঁরা। অর্থাৎ টেসলার মোট ৭টি মডেল আসতে চলেছে ভারতের রাস্তায়। এবার খালি টেসলার বিক্রি শুরু হওয়ার অপেক্ষা। এর মাঝেই ভারতের রাস্তাঘাটে টেসলার মডেল ৩এস এবং মডেল ওয়াইএস টেস্ট করতে দেখা গিয়েছে।
এর আগে, টেসলার সিইও এলন মাস্ক টুইট করেছিলেন যে তিনি বৈদ্যুতিক যানবাহনের জন্য ভারতে সাময়িক আমদানি শুল্ক ছাড়ের আশা করছেন। তিনি বলেন যে, ‘টেসলা খুব তাড়াতাড়িই ভারতে গাড়ি লঞ্চ করতে চায়, কিন্তু ভারতের আমদানি শুল্ক বিশ্বের যে কোনও বড় দেশের থেকে বেশি।’
মার্কিন মুলুক থেকে ভারতে গাড়ি আমদানি করলে সেক্ষেত্রে মোটা টাকা শুল্ক দিতে হবে। এমনিতেই টেসলার গাড়ির দাম অনেক। চড়া শুল্কের ফলে দাম আরও বেড়ে যাবে। সেক্ষেত্রে এই মুহূর্তে বিএমডব্লিউ, মার্সিডিজ, অডি, ভলভোর মতো নামী বিলাসবহুল গাড়ির সেগমেন্টে পড়ে যাবে টেসলা। এমনিতেই এত দামি গাড়ির বিক্রি তুলনামূলকভাবে কম। তার উপর নতুন ইলেকট্রিক গাড়ি হিসাবে সেই বাজার ধরা কঠিন হতে পারে টেসলার পক্ষে।
এই কারণেই পরিবহন ও শিল্প মন্ত্রককে শুল্কে ছাড় দেওয়ার অনুরোধ করেছিল সংস্থা। সেখানে ইলেকট্রিক গাড়ির ক্ষেত্রে আমদানি শুল্ক বর্তমানের ৬০%-১০০% থেকে কমিয়ে ৪০% করার অনুরোধ জানানো হয়। এদিকে ভারতে কারখানা করার ও পরিকল্পনা নেই টেসলার। ইলন জানিয়েছেন, বাইরে থেকে আমদানিকৃত গাড়িগুলি ভারতে জনপ্রিয় হলে তবেই কারখানার বিষয়ে ভাবা হবে।
তবে কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ ও হাইওয়ে মন্ত্রী নীতিন গডক কোনওরকম সমঝোতায় যেতে নারাজ। তিনি পাল্টা অফার দেন টেসলাকে। তিনি জানান, ‘ভারতেই কারখানা করুন। আমরা সবরকম সাহায্য করতে তৈরি। এখানে বানিয়ে এখানে বিক্রি করুন। খরচও কমবে, দামও কমবে, বিক্রিও বেশি হবে।’ এছাড়া টেসলার মতো বড় সংস্থা ভারতে উত্পাদন করলে কর্মসংস্থানও যে বাড়বে, তা বলাই বাহুল্য।