AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Online games: লকডাউনের জেরে বৃদ্ধি পেয়েছে জনপ্রিয়তা! অনলাইন গেমিং নিয়ে কেরিয়ার গড়তে চান?

গেমপ্লে চলাকালীন মানুষের কার্টিসল বা স্ট্রেস হরমোনের মাত্রা ১৭ শতাংশ হ্রাস পায়। মানসিক চামকে শিথিল করতে সাহায়্য করে ও গেমপ্লে উপভোগ করার জন্য উত্সাহ জোগায়।

Online games: লকডাউনের জেরে বৃদ্ধি পেয়েছে জনপ্রিয়তা! অনলাইন গেমিং নিয়ে কেরিয়ার গড়তে চান?
অনলাইন গেমিং নিয়ে কেরিয়ার গড়তে চান?
| Edited By: | Updated on: Jul 19, 2021 | 5:15 PM
Share

অনলাইন গেমিং নতুন প্রজন্মের মানসিক স্বাস্থ্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে, এমন স্টিরিওটাইপ ভাবনা চিন্তা ভারতীয় বাবা-মায়েরা করে থাকেন। তাঁদের একটাই উদ্দেশ্য, অনলাইন বা চিরাচরিত জনপ্রিয় গেমিংয়ে পরিবর্তে লেখাপড়ার জন্য মন দিক ছাত্রছাত্রীরা।বর্তমানে এই চিন্তাভাবনায় বদল আনা প্রয়োজন। করোনার জেরে লকডাউন যেমন জীবনের সবচেয়ে খারাপ সময় অতিবাহিত হয়েছে, তেমনি এই সময়েই অন্তরালে তৈরি হয়ে গিয়েছে আসন্ন প্রজন্মের ভবিষ্যত। গেমিংকে কেরিয়ার হিসেবে অন্যতম আকর্ষণীয় বিকল্প হয়ে উঠেছে। গেমিংয়ের জন্য ব্যয় করা সময় এবার কাজে লাগাবার সময় এসেছে।

নতুন গবেষণায় জানা গিয়েছে, অনলাইন গেমিংয়ের নতুন প্রতিভা, দক্ষতা, প্রশিক্ষণ, হাতের কৌশল, প্রতিযোগিতা, মনযোগ, এমনকি মানসিক সুস্থতা ও চূড়ান্ত বিকাশের উন্নতি করতে সক্ষম। অনলাইন গেম স্ট্রেস উপশমের জন্য মোক্ষম দাওয়াই। গেমপ্লে চলাকালীন মানুষের কার্টিসল বা স্ট্রেস হরমোনের মাত্রা ১৭ শতাংশ হ্রাস পায়। মানসিক চামকে শিথিল করতে সাহায়্য করে ও গেমপ্লে উপভোগ করার জন্য উত্সাহ জোগায়। লকডাউনের কারণে নয়া প্রজন্ম এখন পুরোপুরি ঘরবন্দি। খোলা খেলার মাঠ, পার্কে কোনও কিশোর-কিশোরী বা বয়ঃসন্ধিতে আসা ছেলেমেয়েদের ভিড় নেই।ফলে গেমিংর মাধ্যমে একসঙ্গে খেলা, বন্ধন ও সামাজিক সংযোগ স্থাপনের পারফেক্ট সময়।

অনলাইন গেমিংয়ের কারণে নয়া প্রজন্মের আত্মবিশ্বাস ফিরে পাচ্ছে,। গেমের মিশন হিসেবে দলবদ্ধ হয়ে কাজ করার সুবাদে বাহবা ও পজিটিভ ভাইবস মনের মধ্যে প্রবাব ফেলছে। লিডারশিপ, আত্মবিশ্বাসের প্রভাব পড়ে বাস্তব জীবনের উপরও। অন্যান্য খেলার দুনিয়ায় ব্যয়ের তালিকা দেখলে চমকে যেতে হয়। সেক্ষেত্রে অনলাইনে গেমিংয়ের খরচ তুলনামূলকভাবে অনেক কম।

লকডাউনের জেরেই নয়, অনলাইন মাল্টিপ্লেয়ার গেমিং যে সকলের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে তা বলাই বাহুল্য। একটি সত্যিকারের স্পোর্টসের স্বচ্ছ্ব ও সুস্থ প্রতিযোগিতা ও রোমাঞ্চকর অনুভূতি ঘিরে রয়েছে এই অনলাইন গেমিং নিয়ে। অনলাইন গেমিং বিশেষত মোবাইল গেমিং, ভারতীয় পরিবারের কাছে বিনোদনের ওয়ান-স্টপ-শপ হিসেবে প্রমামিত হয়েছে। ইন্টারঅ্যাক্টিভ বিনোদনের জন্য বাচ্চা থেকে প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য উপযুক্ত।

দক্ষতা ভিত্তিক গেমিং লাভজনক বিনোদন দেয়, যা সব বয়সের ক্ষেত্রেই বেশ জনপ্রিয়তা লাভকরেছে। এই দক্ষতা ও প্রতিভার জোরে অনলাইন গেমিং থেকে নতুন প্রজন্ম বছরের শেষে মোটা টাকার পুরস্কার জিতছেন। ২০২০ সালের প্রথম দিকে ভারতে ৭০ লক্ষ মোবাইলে গেম ইনস্টল হয়েছে, যা বিশ্বব্যাপী মোট ১৭ শতাংশ মাত্র।