Musk vs Mark: চুরি করছে মার্ক জ়ুকেরবার্গ, Threads অ্যাপ নিয়ে এবার বিস্ফোরক এলন মাস্ক
Elon Musk VS Mark Zuckerberg: ভারত-সহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে এই অ্যাপটি লঞ্চ করা হয়েছে। আপনি ইতিমধ্যেই তা গুগল প্লে স্টোর এবং অ্যাপল অ্যাপ স্টোর থেকে ডাউনলোড করতে পারবে। টুইটারের মতোই টেক্সট ভিত্তিক অ্যাপ থ্রেডস।

Twitter Vs Threads: চলতি মাসের 6 তারিখ মেটা টুইটারকে টেক্কা দেওয়ার জন্য Threads অ্যাপ চালু করেছে। এবার প্রশ্ন হল এত সোশ্য়াল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম থাকলে এটিকে টুইটারের সঙ্গেই কেন তুলনা করা হচ্ছে? কারণ এটি চালু হওয়ার টুইটারের মতোই অনেক সেলিব্রিটি, রাজনীতিবিদ এবং সাধারণ মানুষ এটি ব্যবহার করতে শুরু করেছেন। ভারত-সহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে এই অ্যাপটি লঞ্চ করা হয়েছে। আপনি ইতিমধ্যেই তা গুগল প্লে স্টোর এবং অ্যাপল অ্যাপ স্টোর থেকে ডাউনলোড করতে পারবে। টুইটারের মতোই টেক্সট ভিত্তিক অ্যাপ থ্রেডস। টেক্সট ছাড়াও এখানে আপনি ছবি ও ভিডিয়ো শেয়ার করতে পারবেন। সেই ভিডিয়োর সীমা 5 মিনিট। এই অ্যাপের ডাউনলোড শুরু হতেই একপ্রকার ঝড় উঠেছে বিশ্বজুড়ে। থ্রেডস অ্যাপটি লঞ্চের মাত্র 7 ঘণ্টার মধ্যেই 1 কোটি ডাউনলোড হয়ে গিয়েছে।
কেন এটি চালু করার পরই সবাই এতে যুক্ত হল? কারণ টুইটারে সাম্প্রতিক অনেক পরিবর্তন হয়েছে। তার কারণে এই প্ল্যাটফর্মের ব্যবহারকারীরা অনেকদিন ধরেই বেশ ক্ষুব্ধ। এই নতুন Threads অ্যাপ চালু হওয়ার 24 ঘন্টার মধ্যেই ইলন মাস্ক মেটার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। এবার আপনার মনে প্রশ্ন আসতেই পারে কেন ইলন মাস্ক মেটার বিরুদ্ধে এমন পদক্ষেপ নিলেন?
অনেকেই জানেন না, এই নতুন সোশ্যাল মিডিয়ায় অ্যাপটি দেখতে অনেকটা টুইটারের মতো। কাজও করে কিছুটা টুইটারের মতোই। তার সেই ডিজাইনকে কেন্দ্র করেই টুইটারের সিইও এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সম্প্রতি, ইলন মাস্কের একটি টুইট বেশ ভাইরাল হয়েছে যেখানে মাস্ক মার্ক জুকারবার্গকে ‘প্রতারক’ বলেছেন। ইলন মাস্ক তাঁর টুইটে লিখেছেন, “প্রতিযোগিতা শ্রেয়, প্রতারণা নয়।” আর তারপর থেকেই এই টুইটকে ঘিরে শোরগোল শুরু হয়। এদিকে জুকারবার্গের মতে, লঞ্চের পর প্রথম সাত ঘণ্টার মধ্যে এক কোটিরও বেশি ইউজ়ার প্ল্যাটফর্মে সাইন ইন করেছে। মনে করা হচ্ছে এই সফলতাকে কেন্দ্র করেই ইলন মাস্ক মেটার বিরুদ্ধে এই আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছে। ইলন মাস্কের দাবি, তাঁদের ডিজাইন চুরি করেছে মেটা। যদিও এই ধরনের মামলা কতটা সাফল্য পাবে তা দেখার।
এদিকে ধীরে ধীরে বেড়েই চলেছে থ্রেডস অ্যাপের জনপ্রিয়তা। এখনও পর্যন্ত 3 কোটির বেশি মানুষ এই প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে জুড়েছেন। অথচ এই পরিমাণ ইউজার পেতে টুইটারের 4 বছর সময় লেগেছিল।
