AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Omegle Shuts Down: বাড়ছিল অপরাধমূলক কার্যকলাপ, 14 বছর পর Omegle বন্ধ

Omegle Shut Down News: 2009 সালে Omegle লঞ্চ হয়েছিল। সে সময় এই অনলাইন ওয়েবসাইটের স্রষ্টা লেইফ কে-ব্রুকসের বয়স ছিল মাত্র 18 বছর। ওমেগল্ ছিল এমনই একটা প্ল্যাটফর্ম, যেখান থেকে সারা দুনিয়ার মানুষের সঙ্গে চ্যাট করা যেত কোনও রেজিস্ট্রেশন, লগইন ছাড়াই। সেই প্ল্যাটফর্মেরই পথচলা বন্ধ হল এবার।

Omegle Shuts Down: বাড়ছিল অপরাধমূলক কার্যকলাপ, 14 বছর পর Omegle বন্ধ
ওমেগল্ আর ব্যবহার করতে পারবেন না!
| Edited By: | Updated on: Nov 10, 2023 | 3:23 PM
Share

Omegle বন্ধ হয়ে গেল। ফ্রি অনলাইন চ্যাট ওয়েবসাইটটি এক সময় ব্যাপক জনপ্রিয় হয়েছিল। 8 নভেম্বর, 2023 থেকে তার পথচলা শেষ হল। প্ল্যাটফর্মটিকে কাজে লাগিয়ে অপরাধমূলক কাজকর্ম বাড়ছিল, সেই কারণেই ওমেগল্ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে কর্তৃপক্ষের তরফে। অনলাইন চ্যাট ওয়েবসাইটের সিইও জানালেন, আমি চাই না আমার সৃষ্টি করা প্ল্যাটফর্মের কারণে আমারই হার্ট অ্যাটাক হয়ে যাক! এটি এমনই একটি ওয়েবসাইট, যার জন্য ব্যবহারকারীদের রেজিস্টার করারও প্রয়োজন হত না। 2009 সালে Omegle লঞ্চ হয়েছিল। সে সময় এই অনলাইন ওয়েবসাইটের স্রষ্টা লেইফ কে-ব্রুকসের বয়স ছিল মাত্র 18 বছর।

ওমেগল্ ছিল এমনই একটা প্ল্যাটফর্ম, যেখান থেকে সারা দুনিয়ার মানুষের সঙ্গে চ্যাট করা যেত কোনও রেজিস্ট্রেশন, লগইন ছাড়াই। Omegle ব্যবহারকারীদের কাছে একটি আবেগঘন চিঠিতে লেইফ কে-ব্রুকস লিখছেন, “দুর্ভাগ্যক্রমে যা সঠিক, তা সবসময় আমাদের নজরে আসে না। আমি যা চেয়েছিলাম, তা হয়নি। পরিস্থিতি ভিন্ন ছিল, এই বাজারে টিকে থাকাও কঠিন ছিল। অপারেট করার খরচ যে ভাবে বাড়ছিল, তার থেকেও বেশি প্ল্যাটফর্মের অপব্যবহারের বিরুদ্ধে আমাকে লড়াই করে যেতে হচ্ছিল। আর্থিক ভাবে এবং মানসিক ভাবেও এই প্ল্যাটফর্ম আমি আর চালাতে পারছি না। সত্যি কথা বলতে গেলে, আমার এই 30 বছর বয়সে হার্ট অ্যাটাক করতে চাই না।”

কে-ব্রুকস আরও লিখছেন, “Omegleকে যাঁরা ইতিবাচক উপায়ে কাজে লাগাতে পেরেছেন, তাঁদের সকলকে আমি ধন্যবাদ জানাই। ধন্যবাদ জানাই সেই সব মানুষকে, যাঁরা সাইটের সাফল্যের জন্য সবসময় কাজ করে গিয়েছেন। আপনাদের জন্য লড়াইটা চালিয়ে যেতে পারলাম না, ক্ষমা করবেন আমাকে।” 2009 সালে কেন ওমেগল লঞ্চ করেছিল, তার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে কে-ব্রুকস বললেন, “ইন্টারনেট যদি একটি গ্লোবাল ভিলেজ হয়, তাহলে ওমেগল্ সেই গ্রামের রাস্তায় ঘুরে বেড়াতো। আর যে লোকেদের সঙ্গে সেই রাস্তায় ঘুরে বেড়াবেন, তাঁদের সঙ্গেই এখানে কথোপকথন করতে পারবেন।”

প্ল্যাটফর্মের প্রাথমিক সাফল্যের কথা বলতে গিয়ে প্রতিষ্ঠাতা দাবি করলেন, “আপনি যদি একটা ভাল মাউসস্ট্র্যাপ তৈরি করতে পারেন, তাহলে এই দুনিয়া আপনার দুয়ারো প্রবেশ করবেই।” Omegle বন্ধ হওয়ার খবর ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়তেই নেটিজ়েনরা নিজেদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। কেউ স্মৃতির গলিপথে হেঁটে এক দশকেরও বেশি সময় ধরে ওমেগল্ ব্যবহারের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন, কেউ আবার বলেছেন, ‘একটা যুগের অবসান!’