Jio-Airtelকে বাইপাস করে OTP-র জন্য WhatsApp! জাতীয় নিরাপত্তা লঙ্ঘনের বিস্ফোরক অভিযোগ
Jio ও Airtel একপ্রকার যুক্তি দিয়েই দাবি করেছে, হোয়াটসঅ্যাপ, টেলিগ্রাম, মাইক্রোসফট, অ্যামাজ়নের মতো ফিনটেক ও সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলি দেশের টেলিকম আইন লঙ্ঘন করেছে। তারা স্পষ্ট দাবি করেছে, টেলিকম নিয়ম লঙ্ঘন করার মধ্যে দিয়ে এরা ভারতের নিরাপত্তা নিয়ে খেলছে। আর এমনই একটা পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের টেলিকমিউনিকেশন দফতরকে এ বিষয়ে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি করেছে।

বিদেশি ফিনটেক ও সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে বেজায় ক্ষুব্ধ Jio ও Airtel-এর মতো টেলিকম জায়ান্ট। সেই সব কোম্পানিগুলির তালিকায় রয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ, টেলিগ্রাম, মাইক্রোসফট, অ্যামাজ়নের মতো সংস্থা। ইতিমধ্যেই Jio ও Airtel বিদেশি ফিনটেক সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে। কিন্তু অভিযোগটা কী নিয়ে?
Jio ও Airtel একপ্রকার যুক্তি দিয়েই দাবি করেছে, হোয়াটসঅ্যাপ, টেলিগ্রাম, মাইক্রোসফট, অ্যামাজ়নের মতো ফিনটেক ও সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলি দেশের টেলিকম আইন লঙ্ঘন করেছে। তারা স্পষ্ট দাবি করেছে, টেলিকম নিয়ম লঙ্ঘন করার মধ্যে দিয়ে এরা ভারতের নিরাপত্তা নিয়ে খেলছে। আর এমনই একটা পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের টেলিকমিউনিকেশন দফতরকে এ বিষয়ে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি করেছে। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানিয়ে টেলিকম সচিবকে এ বিষয়ে চিঠিও লিখেছে দেশের দুই বেসরকারি টেলিকম সংস্থা।
পুরো ব্যাপারটা ঠিক কী?
সিএনবিসির রিপোর্ট অনুযায়ী, অ্যামাজ়ন ও মাইক্রোসফটের মতো ফিনটেক কোম্পানিগুলি OTP পাঠানোর জন্য হোয়াটসঅ্যাপ এবং টেলিগ্রামের সাহায্য নিচ্ছে। ওটিপি পাঠানোর ক্ষেত্রে যেখানে টেলিকম সংস্থার ভূমিকা থাকা জরুরি, সেখানে Jio ও Airtelকে বাইপাস করে OTP পাঠানোর জন্য টেলিগ্রাম ও হোয়াটসঅ্যাপের মতো মেসেজিং প্ল্যাটফর্মের সাহায্য নেওয়া হচ্ছে। টেলিকম জায়ান্ট দুটির অভিযোগ, এই কাজ সম্পূর্ণ ভাবে বেআইনি।
শুধু তাই নয়। Jio ও Airtel আরও অভিযোগ করে বলছে, এর ফলে সরকারের প্রায় 3000 কোটি টাকার ক্ষতি হতে পারে। প্রায়শই আমরা দেখতে পাই যে, মোবাইলে মেসেজ ভেরিফিকেশনের কাজে যেখানে টেলিকম কোম্পানিকে কাজে লাগানোর কথা। তার পরিবর্তে মেসেজিং অ্যাপকে কাজে লাগিয়ে টেলিকম কোম্পানিগুলিকে উপেক্ষা করা হচ্ছে।
Jio ও Airtel এ বিষয়ে কী বলছে
Jio ও Airtel বলছে, এটা এক্কেবারেই ঠিক নয়, দেশের টেলিকম বিষয় আইন এর দ্বারা লঙ্ঘিত হচ্ছে। তার থেকেও বড় কথা হল, দেশের নিরাপত্তার জন্যও বিপজ্জনক হয়ে উঠছে। কারণ, হোয়াটসঅ্যাপ এবং টেলিগ্রামের মাধ্যমে ওটিপি-র নামে মেসেজ পাঠিয়ে যে কাউকে বিভ্রান্ত করা যেতে পারে, যা প্রতারণা ছাড়া আর কিস্সু নয়। রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, টেলিকম লাইসেন্সিং নিয়ম হোয়াটসঅ্যাপ এবং টেলিগ্রামের জন্য মোটেই প্রযোজ্য নয়।
