WhatsApp Scam: ক্যাস্পারস্কাইয়ের তরফ থেকে জানানো হল কীভাবে হোয়াটসঅ্যাপে আপনার টাকা চুরি যেতে পারে
ক্যাসপারস্কাইয়ের একটি নতুন প্রতিবেদনে প্রকাশিত হয়েছে যে এই স্ক্যামের কারণে হোয়াটসঅ্যাপ ইউজারদের টাকা পয়সা লোপাট যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
হোয়াটসঅ্যাপ পৃথিবীর অন্যতম জনপ্রিয় মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম। এখানে বিশ্ব জুড়ে ২ বিলিয়নেরও বেশি ইউজাররা প্রতি মাসে প্রায় ১০০ বিলিয়ন বার্তা পাঠিয়ে থাকেন। দুর্ভাগ্যবশত, ইউজারদের মধ্যে থেকেই কিছু স্ক্যাম মাস্টার জন্ম নিয়েছে। যারা আমার, আপনার সকলের মধ্যেই প্রতারণার জাল বিন্যস্ত করেছে। এখন, ক্যাসপারস্কাইয়ের একটি নতুন প্রতিবেদনে প্রকাশিত হয়েছে যে এই স্ক্যামের কারণে হোয়াটসঅ্যাপ ইউজারদের টাকা পয়সা লোপাট যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
সাইবার সিকিউরিটি ফার্ম ক্যাসপারস্কআইয়ের গবেষকরা ‘স্প্যাম এন্ড ফিশিং ইন Q2 ২০২১’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছেন। তাতে তাঁরা বিশদভাবে বর্ণনা করেছেন যে কীভাবে স্ক্যামাররা গত তিন মাসে তাঁদের প্রতারণার জাল চালিয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, ভিকটিমদের হোয়াটসঅ্যাপ সম্পর্কে একটি ছোট সমীক্ষা নিতে বলে এই স্ক্যামাররা এবং সেটিকে পরিচিতদের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে বলে তারা। আরেকটি বহুল প্রচলিত স্ক্যামের দৃষ্টান্ত হল ইউজারকে বোঝানো যে তারা একটা বড়সড় সংখ্যার টাকার বিজয়ী। এই দুটি ঘটনারই শেষটা একরকমের হয়: স্ক্যামাররা একটি বড় মাপের টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়, খুব ছোট অঙ্কের একটা কমিশন পাওয়ার পর।
আরেকটি পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়, সেটা হল ইমেল। একটি ভুয়ো হোয়াটসঅ্যাপ ভয়েস মেসেজ আসে যা একইশ্রেণির বেশ কিছু ইমেল পাঠায়। এই ইমেলগুলির মাধ্যমে স্ক্যামাররা শুধু ইউজারের পার্সোনাল ডিটেলসই নয়, এমনকি তাঁদের ফোনে বা কম্পিউটারে ম্যালওয়ার ইন্সটল করে দেয়।
উল্লেখযোগ্যভাবে, হোয়াটসঅ্যাপে এগুলো ছাড়াও আরও অনেক উপায়েই ইউজারদের সাথে প্রতারণা করা হয়েছে। আরেকটি পদ্ধতি যা তারা মানুষকে ঠকানোর জন্য ব্যবহার করত তাকে পার্সেল কেলেঙ্কারী বলা হয়। যা বিগত দিনগুলিতে তাদের ব্যবহার করা কৌশলগুলির মধ্যে সবচেয়ে সাধারণ কৌশল। তারা বিভিন্ন মেল কোম্পানি, শিপমেন্ট কোম্পানি থেকে ইনভয়েস জমা করত এবং ইন্টারনেট ইউজারদের সেই বিলগুলি পাঠিয়ে দিত। ফলে, তাদের নিজেদের অর্ডার করা সামগ্রী পাওয়ার জন্য সেই টাকাটা পেমেন্ট করতে হত।
From ‘get rich quick’ schemes (usually involving crypto-scams), to fake #MSteams invites and COVID-19 compensation fraud, 2021 has been an interesting year for spam and phishing.
Get the full low-down with @securelist‘s Q2 2021 report ? https://t.co/iro8pThHsS
— Kaspersky (@kaspersky) August 8, 2021
এছাড়া অনেকসময় ডোনেশনের নামেও জালিয়াতি হয়েছে। যে পরিমাণ টাকা দেওয়ার কথা ইউজারদের তার চেয়ে অনেক বেশি টাকা চলে গেছে। এমনকি তার সঙ্গে তাঁদের ব্যাঙ্কের ডিটেলসও স্ক্যামারদের কাছে পৌঁছে গেছে।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবসে জেনে নিন কীভাবে হোয়াটসঅ্যাপে প্রিয়জনদের পছন্দের স্টিকার পাঠাবেন