মেটাভার্সে (Metaverse) পদার্পণ করল রিলায়েন্স জিও (Reliance Jio)। সিলিকন ভ্যালির ডিপ টেক স্টার্ট-আপ ‘টু প্ল্যাটফর্ম’(Two Platforms)-এ ১৫ মার্কিন ডলার বা ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১১২ কোটি টাকা বিনিয়োগ করল মুকেশ আম্বানির সংস্থাটি, তাদের ইক্যুয়িটি স্টেক ২৫ শতাংশ। এই ‘টু প্ল্যাটফর্ম’-এর প্রতিষ্ঠাতা প্রণব মিস্ত্রি। জেনে রাখা ভাল যে, এই ‘টু’ হল একটি আর্টিফিশিয়াল রিয়্যালিটি বা এআর কোম্পানি, যা তৈরি করা হয়েছিল ইন্টার্যাক্টিভ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম মেধার অভিজ্ঞতা দেওয়ার জন্য। এর আগে প্রণব মিস্ত্রি কাজ করেছিলেন স্যামসাং গ্যালাস্কি গিয়ার, সিক্সথ সেন্স ইত্যাদি স্মার্ট গ্যাজেটস নিয়ে। রিলায়েন্স জিও-র এই বিপুল অর্থ বিনিয়োগকে সংস্থার মেটাভার্সে এন্ট্রি হিসেবে ধরা যেতে পারে।
টু-এর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ভিত্তিক প্ল্যাটফর্ম রিয়্যাল টাইম এআই ভয়েস, ভিডিয়ো কল, ডিজিটাল মানব, ইমারসিভ স্পেস এবং প্রাণবন্ত গেমিং তৈরি করে। একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে টু প্ল্যাটফর্ম সম্পর্কে দাবি করা হচ্ছে, “টু-এর ইন্টার্যাক্টিভ এআই প্রযুক্তি প্রথমে কনজ়িউমার অ্যাপ্লিকেশনে নিয়ে আসার পরিকল্পনা করেছে এবং পরবর্তীতে বিনোদন, গেমিং-সহ বিভিন্ন এন্টারপ্রাইজ় সলিউশন যেমন, রিটেল, পরিষেবা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সম্পদ প্রতিটি সেক্টরেই এক এক করে যেতে চায় সংস্থাটি।”
গত মাসেই রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ়-এর চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর মুকেশ আম্বানি বলেছিলেন, আগামী দশকে ভার্চুয়াল দুনিয়ার জনপ্রিয়তা ব্যাপক ভাবে বাড়বে এবং তার অসাধারণ মূল্যও সৃষ্টি হবে। ইনফিনিটি ফোরামের সময় তিনি উদাহরণ দিয়েই বিষয়টি পরিষ্কার করে বলেছিলেন, “একটা সময় মানুষ ভার্চুয়াল দুনিয়ায় জায়গা কিনবেন, বিক্রি করবেন এবং ভার্চুয়াল রিয়্যাল এস্টেট ব্যবহার করবেন।” এই বিপুল বিনিয়োগের পরে এই ‘টু’ নামক ভার্চুয়াল রিয়্যালিটি প্ল্যাটফর্মটি নতুন প্রযুক্তির সঙ্গে দ্রুত ট্র্যাক ও অ্যাডাপ্ট করতে জিও-কে সাহায্য করবে। পাশাপাশি জিও-র জন্য এআই, মেটাভার্স ও মিক্সড রিয়্যালিটি-সহ একাধিক প্রযুক্তিও তৈরি করবে।
বিগত বেশ কিছু বছর ধরে রিসার্চ, ডিজাইন এবং অপারেশনের দিক থেকে একাধিক নামজাদা টেক সংস্থার সঙ্গে কাজ করেছে ‘টু’। এই বিষয়ে রিলায়েন্স জিও-র ডিরেক্টর আকাশ আম্বানি বললেন, “আমরা এআই/এমএল, এআর, মেটাভার্স এবং ওয়েব থ্রি-র ক্ষেত্রে টু-এর প্রতিষ্ঠাতা দলের দৃঢ় অভিজ্ঞতা এবং সক্ষমতা দেখে একপ্রকার মুগ্ধ হয়ে গিয়েছি। ইন্টার্যাক্টিভ এআই, ইমারসিভ গেমিং এবং মেটাভার্সের ক্ষেত্রে নতুন পণ্যের বিকাশ ত্বরান্বিত করতে আমরা টু-এর সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করব।”
এদিকে ‘টু’-এর সিইও প্রণব মিস্ত্রি বলছেন, “ভারতের ডিজিটাল রূপান্তরের ভিত্তি হল জিও। আমা টু-এর মেম্বাররা জিও-র সঙ্গে পার্টনারশিপে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সীমানা আরও প্রসারিত করতে পারব। সেই সঙ্গেই আবার কনজ়িউমার ও বিজ়নেস স্কেলে আর্টিফিশিয়াল রিয়্যালিটি বা কৃত্রিম বাস্তবের বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশনও একটি স্কেলে নিয়ে আসতে পারব।”
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
আরও পড়ুন: কৃত্রিম মেধা নির্ভর কোডিং সিস্টেম তৈরি করল গুগল, কেড়ে নিতে পারে বহু মানুষের চাকরি
আরও পড়ুন: সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ঘ্রাণশক্তি কমেছে মানুষের, নতুন গবেষণায় দাবি বিজ্ঞানীদের
মেটাভার্সে (Metaverse) পদার্পণ করল রিলায়েন্স জিও (Reliance Jio)। সিলিকন ভ্যালির ডিপ টেক স্টার্ট-আপ ‘টু প্ল্যাটফর্ম’(Two Platforms)-এ ১৫ মার্কিন ডলার বা ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১১২ কোটি টাকা বিনিয়োগ করল মুকেশ আম্বানির সংস্থাটি, তাদের ইক্যুয়িটি স্টেক ২৫ শতাংশ। এই ‘টু প্ল্যাটফর্ম’-এর প্রতিষ্ঠাতা প্রণব মিস্ত্রি। জেনে রাখা ভাল যে, এই ‘টু’ হল একটি আর্টিফিশিয়াল রিয়্যালিটি বা এআর কোম্পানি, যা তৈরি করা হয়েছিল ইন্টার্যাক্টিভ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম মেধার অভিজ্ঞতা দেওয়ার জন্য। এর আগে প্রণব মিস্ত্রি কাজ করেছিলেন স্যামসাং গ্যালাস্কি গিয়ার, সিক্সথ সেন্স ইত্যাদি স্মার্ট গ্যাজেটস নিয়ে। রিলায়েন্স জিও-র এই বিপুল অর্থ বিনিয়োগকে সংস্থার মেটাভার্সে এন্ট্রি হিসেবে ধরা যেতে পারে।
টু-এর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ভিত্তিক প্ল্যাটফর্ম রিয়্যাল টাইম এআই ভয়েস, ভিডিয়ো কল, ডিজিটাল মানব, ইমারসিভ স্পেস এবং প্রাণবন্ত গেমিং তৈরি করে। একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে টু প্ল্যাটফর্ম সম্পর্কে দাবি করা হচ্ছে, “টু-এর ইন্টার্যাক্টিভ এআই প্রযুক্তি প্রথমে কনজ়িউমার অ্যাপ্লিকেশনে নিয়ে আসার পরিকল্পনা করেছে এবং পরবর্তীতে বিনোদন, গেমিং-সহ বিভিন্ন এন্টারপ্রাইজ় সলিউশন যেমন, রিটেল, পরিষেবা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সম্পদ প্রতিটি সেক্টরেই এক এক করে যেতে চায় সংস্থাটি।”
গত মাসেই রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ়-এর চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর মুকেশ আম্বানি বলেছিলেন, আগামী দশকে ভার্চুয়াল দুনিয়ার জনপ্রিয়তা ব্যাপক ভাবে বাড়বে এবং তার অসাধারণ মূল্যও সৃষ্টি হবে। ইনফিনিটি ফোরামের সময় তিনি উদাহরণ দিয়েই বিষয়টি পরিষ্কার করে বলেছিলেন, “একটা সময় মানুষ ভার্চুয়াল দুনিয়ায় জায়গা কিনবেন, বিক্রি করবেন এবং ভার্চুয়াল রিয়্যাল এস্টেট ব্যবহার করবেন।” এই বিপুল বিনিয়োগের পরে এই ‘টু’ নামক ভার্চুয়াল রিয়্যালিটি প্ল্যাটফর্মটি নতুন প্রযুক্তির সঙ্গে দ্রুত ট্র্যাক ও অ্যাডাপ্ট করতে জিও-কে সাহায্য করবে। পাশাপাশি জিও-র জন্য এআই, মেটাভার্স ও মিক্সড রিয়্যালিটি-সহ একাধিক প্রযুক্তিও তৈরি করবে।
বিগত বেশ কিছু বছর ধরে রিসার্চ, ডিজাইন এবং অপারেশনের দিক থেকে একাধিক নামজাদা টেক সংস্থার সঙ্গে কাজ করেছে ‘টু’। এই বিষয়ে রিলায়েন্স জিও-র ডিরেক্টর আকাশ আম্বানি বললেন, “আমরা এআই/এমএল, এআর, মেটাভার্স এবং ওয়েব থ্রি-র ক্ষেত্রে টু-এর প্রতিষ্ঠাতা দলের দৃঢ় অভিজ্ঞতা এবং সক্ষমতা দেখে একপ্রকার মুগ্ধ হয়ে গিয়েছি। ইন্টার্যাক্টিভ এআই, ইমারসিভ গেমিং এবং মেটাভার্সের ক্ষেত্রে নতুন পণ্যের বিকাশ ত্বরান্বিত করতে আমরা টু-এর সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করব।”
এদিকে ‘টু’-এর সিইও প্রণব মিস্ত্রি বলছেন, “ভারতের ডিজিটাল রূপান্তরের ভিত্তি হল জিও। আমা টু-এর মেম্বাররা জিও-র সঙ্গে পার্টনারশিপে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সীমানা আরও প্রসারিত করতে পারব। সেই সঙ্গেই আবার কনজ়িউমার ও বিজ়নেস স্কেলে আর্টিফিশিয়াল রিয়্যালিটি বা কৃত্রিম বাস্তবের বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশনও একটি স্কেলে নিয়ে আসতে পারব।”
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
আরও পড়ুন: কৃত্রিম মেধা নির্ভর কোডিং সিস্টেম তৈরি করল গুগল, কেড়ে নিতে পারে বহু মানুষের চাকরি
আরও পড়ুন: সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ঘ্রাণশক্তি কমেছে মানুষের, নতুন গবেষণায় দাবি বিজ্ঞানীদের