Google AI Coding System AlphaCode: কৃত্রিম মেধা নির্ভর কোডিং সিস্টেম তৈরি করল গুগল, কেড়ে নিতে পারে বহু মানুষের চাকরি
এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নির্ভর কোডিং সিস্টেমকে বলা হচ্ছে, "প্রতিযোগিতার স্তরে গিয়ে কম্পিউটার প্রোগ্রাম লিখতে পারে"। এই প্রথম কোনও এআই কোডিং সিস্টেম তৈরি হল যা অনায়াসে প্রতিযোগিতা মূলক পর্যায়ে পৌঁছে যেতে পারে।
মানুষের বুদ্ধিমত্তাকে চ্যালেঞ্জ জানাতে অ্যালফাবেট (গুগল-এর প্যারেন্ট সংস্থা)-এর সহযোগী প্রতিষ্ঠান ডিপমাইন্ড একটি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (Artificial Intelligence) বা কৃত্রিম মেধা নির্ভর সিস্টেম তৈরি করেছে যার নাম আলফাকোড (AlphaCode)। এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নির্ভর কোডিং সিস্টেমকে (AI Coding System) বলা হচ্ছে, “প্রতিযোগিতার স্তরে গিয়ে কম্পিউটার প্রোগ্রাম লিখতে পারে”। এই প্রথম কোনও এআই কোডিং সিস্টেম তৈরি হল যা অনায়াসে প্রতিযোগিতা মূলক পর্যায়ে পৌঁছে যেতে পারে। আলফাকোড একটি অভূতপূর্ব স্কেলে কোড তৈরি করতে ট্রান্সফরমার-ভিত্তিক ভাষা মডেল ব্যবহার করে এবং তারপর প্রতিশ্রুতিশীল প্রোগ্রামগুলির একটি ছোট সেটে স্মার্ট ভাবে ফিল্টার করে।
সংস্থার তরফ থেকে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলা হয়েছে, “আলফাকোড নতুন সমস্যা সমাধান করে প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে শীর্ষ ৫৪ শতাংশের মধ্যে একটি আনুমানিক র্যাঙ্ক অর্জন করেছে, যার জন্য সমালোচনামূলক চিন্তাভাবনা, যুক্তিবিদ্যা, অ্যালগরিদম, কোডিং এবং প্রাকৃতিক ভাষা বোঝার সমন্বয় প্রয়োজন।” অপ্রত্যাশিত সমস্যার সমাধান তৈরি করা মানুষের বুদ্ধিমত্তার দ্বিতীয় প্রকৃতি, অভিজ্ঞতার দ্বারা অবহিত সমালোচনামূলক চিন্তাভাবনার ফলাফল।
টেক্সচুয়াল ডেটা জেনারেট করা ও তা বোঝার জন্য অভূতপূর্ব উন্নতি করেছে মেশিন লার্নিং কমিউনিটি। কিন্তু সমস্যা সমাধানের অগ্রগতি তুলনামূলক ভাবে সহজ গণিত এবং প্রোগ্রামিং সমস্যার মধ্যেই কোথায় যেন সীমাবদ্ধ থেকে যাচ্ছিল। সেই সঙ্গেই বিদ্যমান সমাধানগুলির পুনরুদ্ধার এবং অনুলিপি করাও সমস্যার হয়ে যাচ্ছিল। গুগল-এর এই সহযোগী সংস্থাটি কোডফোর্সেস-এ হোস্ট করা প্রতিযোগিতা ব্যবহার করে আলফাকোড-এর কর্মক্ষমতা যাচাই করেছে। এই কোডফোর্সেস একটি জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম যা নিয়মিত প্রতিযোগিতার আয়োজন করে, সারা বিশ্ব থেকে হাজার হাজার প্রতিযোগীকে আকর্ষিত করে যাঁরা তাঁদের কোডিং দক্ষতা পরীক্ষা করতে পারেন।
ডিপমাইন্ড-এর তরফ থেকে বলা হচ্ছে, “মূল্যায়নের জন্য আমরা ১০টি সাম্প্রতিক প্রতিযোগিতা বেছে নিয়েছি, প্রতিটি আমাদের প্রশিক্ষণের ডেটা থেকে নতুন। তাদের মধ্যে আলফাকোড-কে মাঝখানের সারির প্রতিযোগীর স্তরে রাখা হয়েছে।” প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে ডিপমাইন্ড অধিগ্রহণ করেছিল গুগল। এই সংস্থাটি লন্ডনে অবস্থিত। কানাডা, ফ্রান্স এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও তাদের গবেষণাকেন্দ্র রয়েছে।
সংস্থার তরফ থেকে ওই প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হচ্ছে, “সামগ্রিকভাবে, আলফাকোড-কে আনুমানিক মাঝখানের সারির প্রতিযোগীর স্তরে রাখা হয়েছে। যদিও প্রতিযোগিতা জেতার থেকে আপাতত অনেক দূরে থাকলেও, এটি কৃত্রিম মেধা সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান ক্ষমতায় একটি উল্লেখযোগ্য অবদানের প্রতিনিধিত্ব করে। আমরা আশা করি যে, আমাদের ফলাফল প্রতিযোগিতামূলক প্রোগ্রামিং সম্প্রদায়কে অনুপ্রাণিত করবে।”
এদিকে আবার কোডফোর্সেস-এর প্রতিষ্ঠাতা মাইক মিরজ়ায়ানভ বলছেন, আলফাকোড-এর ফলাফল আমার প্রত্যাশাকেও ছাপিয়ে গিয়েছে। তাঁর কথায়, “আমি যথেষ্টই সন্দিহান ছিলাম। কারণ, সাধারণ প্রতিযোগিতামূলক সমস্যাগুলিতেও এটি প্রায়শই অ্যালগরিদম বাস্তবায়নের থেকেও বেশি উদ্ভাবনের জন্য (এবং এটি সবচেয়ে কঠিন অংশ) প্রয়োজন হয়। আলফাকোড একটি প্রতিশ্রুতিশীল নতুন প্রতিযোগীর স্তরে পারফর্ম করতে পেরেছে। ভবিষ্যৎে আলফাকোড আর কী কী দেখাতে চলেছে, তার অপেক্ষায় রয়েছি।”
ডিপমাইন্ড-এর তরফ থেকে বলা হচ্ছে যে, শীঘ্রই তারা ওপেন-সোর্স কোড রিপোজিটরি পরিষেবা গিটহাব-এ প্রতিযোগিতামূলক প্রোগ্রামিং সমস্যা এবং সমাধানগুলির ডেটাসেট প্রকাশ করতে চলেছে।
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
আরও পড়ুন: পুরনো ফোনই নতুন করে দেবে শাওমি-র নতুন অপারেটিং সিস্টেম, কোন কোন ফোনে আপডেট আসছে, জেনে নিন
আরও পড়ুন: সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ঘ্রাণশক্তি কমেছে মানুষের, নতুন গবেষণায় দাবি বিজ্ঞানীদের
আরও পড়ুন: ওয়ার্ডল্ খেলতে খসতে পারে গাঁটের কড়ি! ‘ডাউনলোড’ করে সারাজীবন অফলাইনে কী ভাবে খেলবেন?