পয়লা নভেম্বর থেকে একগুচ্ছ স্মার্টফোনে আর কাজ করবে না হোয়াটসঅ্যাপ। এই আপডেটের ফলে অনেক ইউজারই তাঁদের হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট হারিয়ে ফেলবেন। বলা ভাল বড়সড় প্রভাবে পড়বে চ্যাটিংয়ের ক্ষেত্রে। যদি ব্যাকআপ না রাখেন তাহলে ইউজাররা তাঁদের সমস্ত চ্যাট হিস্ট্রি হারিয়ে ফেলবেন। এমনকি হোয়াটসঅ্যাপের তরফে ইউজারদের বলা হয়েছে, তাঁরা যেন অন্য একটি ডিভাইসে স্থানান্তরিত হয়ে যান যেখানে এই সমস্যা হবে না। অর্থাৎ যেসব ডিভাইসে হোয়াটসঅ্যাপ কাজ করবে। তেমন ফোনে নিজেদের মেসেজিং অ্যাকাউন্ট চালাতে পারবেন ইউজাররা।
জানা গিয়েছে, যেসমস্ত স্মার্টফোনে অ্যানড্রয়েড ৪.১ ডিভাইস রয়েছে কিংবা তা পরবর্তী ভার্সানের অ্যানড্রয়েড সাপোর্ট রয়েছে সেখানে সাবলীল ভাবে কাজ করবে হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজিং অ্যাপ। এছাড়াও নতুন আইওএস এবং KaiOS- এই ধরনের অপারেটিং সিস্টেমের ক্ষেত্রেও হোয়াটসঅ্যাপ সাপোর্ট বজায় থাকবে। ইতিমধ্যেই হোয়াটসঅ্যাপের তরফে জানানো হয়েছে যে সেই সমস্ত ফোনে হোয়াটসঅ্যাপ আর কাজ করবে না যেখানে অ্যানড্রয়েড ৪.০.৪ বা তার চেয়ে পুরনো ভার্সান চালু রয়েছে। ১ নভেম্বর সোমবার থেকে চালু হবে নতুন নিয়ম। তাঁর আগেই ইউজারদের সতর্ক করেছে এই মেসেজিং অ্যাপ কর্তৃপক্ষ।
আপনার ফোন এই তালিকায় রয়েছে কি না বুঝবেন কীভাবে?
আপনার ফোনে পয়লা নভেম্বর থেকে হোয়াটসঅ্যাপ কাজ করবে নাকি বন্ধ হয়ে যাবে, সেটা বুঝে নেওয়ার জন্য কয়েকটি সহজ নিয়ম রয়েছে। আসলে হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষ এখনও কোনও তালিকা প্রকাশ করে বলেনি যে কোন কোন ডিভাইসে আর হোয়াটসঅ্যাপ করবে না। তাই কিছু সহজ পদ্ধতিতে জেনে নিন আপনার ফোন ‘নিরাপদ’ রয়েছে কিনা।
যদি কোনও কারণে দেখেন যে আপনার অ্যানড্রয়েড ফোন হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট চালু রাখার উপযুক্ত নয়, তাহলে চ্যাট ব্যাকআপ নিয়ে কিংবা আলাদা আলাদা করে সমস্ত পার্সোনাল এবং গ্রুপ চ্যাট অন্য উপযুক্ত ডিভাইসে স্থানান্তর করতে হবে। অ্যান্ড্রয়েড ওএস ৪.১ এবং তার থেকে বেশি ভার্সানের ক্ষেত্রে এবং আইওএস ১০ বা তার উপরের ভার্সানের ক্ষেত্রে এই মেসেজিং অ্যাপ ব্যবহার ঠিকভাবে করা যাবে।
আরও পড়ুন- Apple Vs Microsoft: অ্যাপেলের হার! বিশ্বের সবচেয়ে মূল্যবান কোম্পানি এখন মাইক্রোসফট