Animal With Most Legs: প্রাণীজগতে সবচেয়ে বেশি পা রয়েছে এই প্রজাতির কেন্নোর, গবেষণায় উঠে এসেছে তথ্য

Eumileps Persephone: কেন্নোদের নিয়ে বিজ্ঞানীদের গবেষণার শেষ নেই। ভার্জিনিয়ায় আবিষ্কার করেছেন এর নতুন প্রজাতি। এখানেই শেষ নয়, বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে জানিয়েছেন, বিশ্বের সবচেয়ে বেশি পায়ের প্রাণী এটিই। বিজ্ঞানীরা মিলিপিডের এই প্রজাতির নাম দিয়েছেন Eumileps Persephone।

Animal With Most Legs: প্রাণীজগতে সবচেয়ে বেশি পা রয়েছে এই প্রজাতির কেন্নোর, গবেষণায় উঠে এসেছে তথ্য
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 16, 2023 | 12:05 PM

New Species Of Millipedes: মিলিপিড (Millipede) যার বাংলা নাম কেন্নো। কেন্নো নামটির সঙ্গে বহু মানুষই পরিচিত। বর্ষাকালে তাদের উৎপাত অনেক মানুষকেই সহ্য় করতে হয়। এই কেন্নোদের নিয়ে বিজ্ঞানীদেরও গবেষণার শেষ নেই। ভার্জিনিয়ায় আবিষ্কার করেছেন এর নতুন প্রজাতি (Species)। এখানেই শেষ নয়, বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে জানিয়েছেন, বিশ্বের সবচেয়ে বেশি পায়ের প্রাণী এটিই। বিজ্ঞানীরা মিলিপিডের এই প্রজাতির নাম দিয়েছেন Eumileps Persephone। এই প্রাণীটির শরীরে মোট 1306টি পা রয়েছে। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এই প্রজাতির প্রাণীগুলি পৃথিবী পৃষ্ঠের অনেক নীচে বাস করে এবং কেবল মাঝে মাঝেই এরা উপরে উঠে আসে আর তখন তাদের পৃথিবী পৃষ্ঠে দেখা যায়। বিজ্ঞানীরা (Scientists) একে জীবের বিবর্তনের একটি অলৌকিক ঘটনা হিসেবে বিবেচনা করছেন। তারা এটিকে প্রাণীবিজ্ঞানের ইতিহাসে একটি বড় আবিষ্কার বলছেন। পল জানান, এর পা-এর গণনা সহজ ছিল না। কারণ এটিকে ছোঁয়ার সঙ্গে সঙ্গে গুটিয়ে যায়। পায়ের মাধ্যমে এর বয়সেরও আন্দাজ করা যায়। এই জীব অনেকদিন বাঁচে।

Millipedee

ভার্জিনিয়া টেক ইউনিভার্সিটির একজন কীটতত্ত্ববিদ (Entomologist) পল মেরেক বলেছেন, “পৃথিবীতে এদের এমন অনেক প্রজাতি আছে যাদের পায়ের সংখ্যা একশর কম। এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি পা রয়েছে এমন প্রাণীর রেকর্ডে ছিল কেন্নো প্রজাতির একটি প্রাণী এলাকমে প্লানিপস (Elacme Planips)। এই প্রাণীটির শরীরে মোট 750টি পা রয়েছে। বর্তমানে সেই তালিকার প্রথমে যুক্ত হয়েছে, ইফনিলেপস Eumileps Persephone নামে প্রজাতির কেন্নোটি। যার 1306টি পা পাওয়া গিয়েছে।”

পল জানান, জিউসের কন্যা পার্সেফোনের নামানুসারে এই প্রজাতির নামকরণ করা হয়েছে। Eumilipes Persephone-এর রং হালকা হলুদ। এদের চোখ নেই। এরা লম্বা সুতোর মতো। এই প্রাণীটির দৈর্ঘ্য এর প্রস্থের চেয়ে প্রায় 100 গুণ বেশি। এই প্রাণীটি মাটির ভিতরে থাকা ছত্রাক খায়। মারেক এই প্রজাতির কেন্নোর চারটি নমুনা বিশ্লেষণ করেছেন। যার মধ্যে দুটি পুরুষ এবং দুটি মহিলা। তাদের বিভিন্ন দৈর্ঘ্য এবং বয়স ছিল। বিজ্ঞানীরা জানান, ক্ষুদ্রতম কেন্নোটির 198টি রিং এবং 778টি পা ছিল। যেখানে দীর্ঘতমটির 330টি রিং এবং 1,306টি পা ছিল। গোল্ডফিল্ডস নামে পরিচিত পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার একটি এলাকায় প্রাণীটিকে প্রথম দেখা গিয়েছিল। সেখানে খনিজ পদার্থের জন্য খনন করা হয়। তারপর আর সেখানেই পরীক্ষা চালান কীটতত্ত্ববিদেরা।