Alien Tech: এলিয়েন প্রযুক্তি বিধ্বস্ত হয়েছিল প্রশান্ত মহাসাগরে, চুম্বক দিয়ে টেনে বের করা হবে, হার্ভাড অধ্যাপকের চাঞ্চল্যকর দাবি
Alien On Earth: হার্ভার্ডের অধ্যাপক অ্যাভি লোয়েব, যিনি আইভি লিগ স্কুলের জ্যোতির্বিদ্যা বিভাগের সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ধরে অধ্যাপনা করে চলেছেন, জানালেন যে 2014 সালে প্রশান্ত মহাসাগরে বিধ্বস্ত হওয়া উল্কাটি আসলে একটি এলিয়েন প্রযুক্তি হতে পারে।
সত্যিই কি এলিয়েন নামে কিছু আছে? নাকি তার সীমাবদ্ধতা শুধুই লেখকের গল্পে, ইটি বা জাদুর মতো ছবিতে। অনন্তকাল ধরেই এই প্রশ্ন চলে আসছে, ভেসে আসছে বিভিন্ন জল্পনাও। গবেষকরা এ নিয়ে দিনের পর দিন ধরে অনর্গল পরিশ্রম করে চলেছেন, শুধু তার সদুত্তর বের করার জন্য- এলিয়েন আছে? এবার আমেরিকার এক নামজাদা জ্যোতির্বিজ্ঞানী দাবি করে বসলেন, পৃথিবীতে এলিয়েন প্রযুক্তি থাকতে পারে। সেই প্রযুক্তি খুঁজে বের করার ইচ্ছেও প্রকাশ করেছেন তিনি। হার্ভার্ডের অধ্যাপক অ্যাভি লোয়েব, যিনি আইভি লিগ স্কুলের জ্যোতির্বিদ্যা বিভাগের সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ধরে অধ্যাপনা করে চলেছেন, জানালেন যে 2014 সালে প্রশান্ত মহাসাগরে বিধ্বস্ত হওয়া উল্কাটি আসলে একটি এলিয়েন প্রযুক্তি হতে পারে।
তিনি ও তাঁর গবেষণা দল বিশ্বাস করে যে, সত্য খুঁজে বের করতে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হবে এবং তার জন্য মিলিয়ন ডলার খরচ হবে। তিনি বলেছেন যে, যদি সত্যিই এটি ঘটে থাকে তাহলে এই প্রথম মানুষ অন্য গ্রহ থেকে আসা কোনও বস্তুতে হাত দেবে। এখন এই বিষয়টাও নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে যে, 2014 সালে প্রশান্ত মহাসাগরে পতিত উল্কাটি সৌরজগতের বাইরের। লোয়েব বলছেন, ‘সম্প্রতি আমি একটি সরকারি ক্যাটালগ পেয়েছি, যেখানে উল্কাপিণ্ড সংকলিত হয়েছে। এগুলো সরকারি সেন্সর দ্বারা সনাক্ত করা হয়েছে। বিশেষ করে, আমাদের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা সতর্কতা ব্যবস্থা দ্বারা তার সনাক্তকরণ চলেছে। আমি আমার এক ছাত্রকে সৌরজগতের বাইরে থেকে কোনও উল্কাপিন্ড পৃথিবীতে আসতে পারে কি না, তার পরীক্ষা করতে বলেছিলাম?’
দেখা গিয়েছিল, ওই উল্কাপিণ্ডের অধিকাংশই লোহা। লোয়েব বলেছেন, এটি একটি সাধারণ উল্কা নয়। এটি একটি বাহ্যিক জিনিস। এর সৃষ্টিও তার সাক্ষী। এছাড়া এর গতিবেগ সূর্যের চারদিকে ঘুরতে পারে এমন তারাদের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ। মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের স্পেস কমান্ডের একটি সাম্প্রতিক মেমো নিশ্চিত করেছে যে, উল্কাটি আমাদের সৌরজগতের বাইরে থেকে এসেছে। এনবিসি বোস্টনের তরফে এই মর্মে একটি রিপোর্টও প্রকাশ করা হয়েছে। আর সেই কারণেই লোয়েব বলছেন যে, এটি সম্ভবত এলিয়েন প্রযুক্তি হতে পারে।
লোয়েব এই উল্কাটিকে সমুদ্র থেকে টেনে বের করার পরিকল্পনা করেছেন। তাঁর কথায়, “আমরা একটি জাহাজে চুম্বক সংযুক্ত করে এটি অপসারণের চেষ্টা করব। আমরা পাপুয়া নিউ গিনির কাছে প্রত্যাশিত ক্র্যাশ সাইটের 10 কিলোমিটার এলাকায় চুম্বকটিকে সামনে পিছনে সরিয়ে নেব, যাতে উল্কাপিণ্ডের ছোট ছোট টুকরো এটিতে লেগে থাকে। পরে এর গঠন পরীক্ষাগারে অধ্যয়ন করা হবে।” লোয়েব এই আবিষ্কারের জন্য প্রায় এক তৃতীয়াংশ তহবিল ইতিমধ্যেই সংগ্রহ করে ফেলেছেন।