Asteroid Bigger Than Burj Khalifa: বুর্জ খলিফার তুলনায় বড় আকারের গ্রহাণু ধাবিত হবে পৃথিবীর পাশ দিয়ে!
শুধুমাত্র এই একটি গ্রহাণুই নয়, একইদিনে পৃথিবীর পাশ দিয়ে ধাবিত হবে আরও তিনটি গ্রহাণু। অর্থাৎ মোট চারটি গ্রহাণু পৃথিবীর পাশ কাটিয়ে বেরিয়ে যাবে।
মার্কিন স্পেস এজেন্সি নাসা (NASA) জানিয়েছে, দুবাইয়ের বুর্জ খলিফার (Burj Khalifa) থেকেও আকার-আয়তনে বড় একটি অ্যাস্টেরয়েড (Asteroid) বা গ্রহাণু পৃথিবীর পাশ দিয়ে যাবে ১৮ জানুয়ারি, মঙ্গলবার। ঘণ্টায় প্রায় ৪৩ হাজার মাইল বেগে ছুটে যাবে এই গ্রহাণু। দৈত্যাকার এই গ্রহাণু (Giant Asteroid) সম্পর্কে আর কী কী জানিয়েছে নাসা, সেটাই এবার জেনে নেওয়া যাক। জানা গিয়েছে এই স্পেস রক ডেব্রিস বা মহাকাশের পাথরের ধ্বংসাবশেষ অর্থাৎ ওই অ্যাস্টেরয়েড বা গ্রহাণুর নাম 7482 (1994 PC1)। এই গ্রহাণু এক কিলোমিটারের বেশি, বলা হচ্ছে এটি প্রায় ১০৫২ মিটার (৩.৪৫১ ফুট) চওড়া। দুবাইয়ের বুর্জ খলফার থেকেই এই আকার-আয়তন বড়।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বিশ্বের সর্বোচ্চ বহুতল বুর্জ খলিফার ৮৩০ মিটার (২৭২৩ ফুট) লম্বা। পৃথিবী থেকে চাঁদের দূরত্ব যতটা, তার থেকে অন্তত পাঁচগুণ বেশি দূরে রয়েছে এই গ্রহাণু। শোনা গিয়েছে, এই সুবিশাল গ্রহাণু পৃথিবী থেকে ১.৯৩ মিলিয়ন মাইল দূর দিয়ে ধাবিত হবে। ১৯৯৪ সালে রবার্ট ম্যাকনট প্রথম এই গ্রহাণু আবিষ্কার করেছিলেন। অস্ট্রেলিয়ার সাইডিং স্প্রিং অবজারভেটরি থেকে এই গ্রহাণু আবিষ্কার করা হয়েছিল। নাসার তরফে জানানো হয়েছে তাদের প্ল্যানেটরি ডিফেন্সের সাহায্যে দশকের পর দশক ধরে এই গ্রহাণু নিয়ে গবেষণা, পরীক্ষা নিরীক্ষা চলছে। এই গ্রহাণু একটি ‘নিয়ার আর্থ অবজেক্ট’ নামেও সুপরিচিত।
তবে শুধুমাত্র এই একটি গ্রহাণুই নয়, একইদিনে পৃথিবীর পাশ দিয়ে ধাবিত হবে আরও তিনটি গ্রহাণু। অর্থাৎ মোট চারটি গ্রহাণু পৃথিবীর পাশ কাটিয়ে বেরিয়ে যাবে। তবে বাকি তিনটি গ্রহাণু নিয়ে বিজ্ঞানীদের তেমন উৎকণ্ঠা নেই। কিন্তু বুর্জ খলিফার থেকেও আকার-আয়তনে বড় দৈত্যাকার গ্রহাণু 7482 (1994 PC1) সম্পর্কে নাসার বিজ্ঞানীরা বলেছেন এটি একটি potentially hazardous অর্থাৎ ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা যুক্ত অ্যাস্টেরয়েড বা গ্রহাণু। যে চারটি গ্রহাণু পৃথিবীর পাশ দিয়ে ধাবিত হবে, তাদের অরবিট বা কক্ষপথের সন্ধান দিয়েছে Jet Propulsion Laboratory (JPL)।
এই অ্যাস্টেরয়েড বা গ্রহাণু হল আসলে পাথুরে উপাদান, যারা সূর্যের চারদিকে প্রদক্ষিণ করে। তবে শুধুমাত্র সূর্য নয়, সূর্যের মতো অন্যান্য নক্ষত্রদেরও প্রদক্ষিণ করে এইসব গ্রহাণুরা। অন্যান্য গ্রহের তুলনায় সাধারণত এদের আকার-আয়তন ছোট হয়। তবে সব ক্ষেত্রে একথা সত্যি নয়। যেসব গ্রহাণু পৃথিবীর বেশ কাছাকাছি চলে আসে তাদের বলা হয় নিয়ার আর্থ অবজেক্ট। বিজ্ঞানীদের বিশ্বাস ধূমকেতু এবং গ্রহাণু সম্ভবত পৃথিবীতে জল এবং অন্যান্য উপকরণ সরাবরাহ করেছিল। আর তার সাহায্যে জীবনের জটিল রসায়ন শুরু হয়েছিল পৃথিবীতে।
এবার সবচেয়ে বড় যে গ্রহাণুটি পৃথিবীর পাশ দিয়ে ধাবিত হবে তার দ্বারা ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা নেই। তবে ওই গ্রহাণু কিন্তু ক্ষয়ক্ষতির করার ক্ষমতা রাখে। কিন্তু এবার কোনও সমস্যা হবে না। তবে এই গ্রহাণু পৃথিবীর উপর প্রভাব না ফেললেও এই আকার-আয়তনের অ্যাস্টেরয়েড পৃথিবীর ক্ষয়ক্ষতির কারণ হতে পারে।