Artemis 1: চাঁদের চারপাশে চরকিপাক খেয়ে বাড়ি ফিরছে Orion, কখন, কোথায় ছিটকে পড়ে, নজর সে দিকেই
Artemis 1 Latest Update: পৃথিবীতে ফিরে আসতে চাঁদের কক্ষপথ ছেড়েছে নাসার এই আধুনিক প্রজন্মের নাসার আর্টেমিস মিশনের ওরিয়ন স্পেসক্রাফ্ট। এখন এই মিশন যদি সত্যিই সফল হয়, তাহলে ক্রু সমেত আর্টেমিস II ফ্লাইট চাঁদের উদ্দেশ্যে পাঠাবে নাসা।
Nasa Artemis 1 Orion: গত 16 নভেম্বর পৃথিবী থেকে চাঁদের উদ্দেশ্যে পাড়ি দিয়েছিল নাসার Artemis 1 ওরিয়ন স্পেসক্রাফ্ট। বৃহস্পতিবার পৃথিবীতে ফিরে আসতে চাঁদের কক্ষপথ ছেড়েছে নাসার এই আধুনিক প্রজন্মের মহাকাশযানটি। গত 25 নভেম্বর আর্টেমিস I চাঁদের চারপাশে দূরবর্তী বিপরীতমুখী অবস্থানে ছিল। ইতিমধ্যেই NASA তাদের পেসের মাধ্যমে এই ভেহিকলের বিভিন্ন সিস্টেম স্থাপন করেছে। কারণ, মহাকাশ সংস্থাটি এই মিশন সফল করতে উদগ্রীব, যার জন্য আরও অতিরিক্ত একাধিক পরীক্ষার প্রয়োজন রয়েছে বলে জানিয়েছে নাসা। আগামী 11 ডিসেম্বর ক্যাপসুলটি সমুদ্রে ছিটকে পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।
এখন এই মিশন যদি সত্যিই সফল হয়, তাহলে ক্রু সমেত আর্টেমিস II ফ্লাইট চাঁদের উদ্দেশ্যে পাঠাবে নাসা। 2024 সালের প্রথম দিকেই সেই ফ্লাইটটি পৃথিবীতে ফিরে আসবে বলে জানিয়েছে স্পেস সংস্থাটি। এই মিশনেই কয়েক বছর পর নাসা চাঁদে অবতরণের জন্য মহাকাশচারীদের পাঠাবে, যাঁদের মধ্যে একজন মহিলাও থাকবে বলে জানা গিয়েছে। সংবাদমাধ্যম রয়টার্সের একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, মঙ্গলে মহাকাশচারী পাঠাতে আরও অন্তত দেড় দশক সময় লাগবে বলে মনে করা হচ্ছে।
এই মিশনের সবথেকে বড় উদ্দেশ্য হল, ওরিয়নের হিট শিল্ডের ডিউরেবিলিটি টেস্ট করা। কারণ, এটি 24,500 মাইল (39,400 কিমি) প্রতি ঘণ্টায় পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে পুনরায় প্রবেশ করে, যা মহাকাশ স্টেশন থেকে পুনরায় প্রবেশের তুলনায় তুলনামূলকভাবে দ্রুত।
মহাকাশযানটি 10টি ক্ষুদ্র বিজ্ঞান-ভিত্তিক উপগ্রহও সেট করতে প্রস্তুত, যা চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে বরফ জমার রূপরেখা চিহ্নিত করতে মোতায়েন করা হবে। সেখানেই আর্টেমিস অবশেষে মহাকাশচারীদের নিয়ে অবতরণ করবে বলে জানা গিয়েছে।
আর্টেমিস I মিশনে ওরিয়ন ফ্লাইটের 25 দিনের জার্নি, চাঁদের বাইরে প্রায় 64,400 কিমি উড়ে যাওয়ার আগে ক্যাপসুলটিকে চন্দ্র পৃষ্ঠের 97 কিলোমিটারের মধ্যে নিয়ে আসার পরেই পৃথিবীতে ফিরে আসার পথ প্রশস্ত হয়েছে।