Perseverance Rover: মঙ্গলগ্রহের Jezero crater আসলে একটি হ্রদ, জানিয়েছে মার্স রোভার পারসিভের্যান্স
রোভার পারসিভের্যান্সে দু'টি ক্যামেরা রয়েছে। Mastcam-Z এবং SuperCam Remote Micro-Imager (RMI)। মঙ্গলগ্রহের ছবি তুলতে এই দু'টি ক্যামেরাই সাহায্যে।
মঙ্গলগ্রহে নাসার পাঠানো রোভার পারসিভের্যান্স যে ছবি পাঠিয়েছিল, তা পর্যবেক্ষণ করে লালগ্রহের Jezero crater সম্পর্কে নতুন দিয়েছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। তাঁরা জানিয়েছেন যে, একসময় মঙ্গলগ্রহের এই Jezero crater আসলে একটি হ্রদ অর্থাৎ লেক ছিল। কিন্তু বর্তমানে এই এই Jezero crater শুকিয়ে গিয়েছে। এখানে বায়ুপ্রবাহের ফলে অবক্ষয়ও হয়েছে। কিন্তু এই ক্ষয়প্রাপ্ত অঞ্চলে ৩.৭ বিলিয়ন বছর আগে ছোট একটা নদী বহমান ছিল। এই প্রাচীন হ্রদে ফ্ল্যাশ ফ্লাড বা হড়পা বানের নিদর্শনও খুঁজে পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
MIT- র আর্থ, অ্যাটমোস্ফেরিক অ্যান্ড প্ল্যানেটরি সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক বেঞ্জামিন ওয়েইস জানিয়েছেন, এইসব ছবি দেখলে সকলেরই মনে হবে যেন এই অদ্ভুত মরুভূমি এলাকার দিয়ে তাকিয়েই থাকবেন। তিনি আরও বলেছেন যে এটি অন্যতম নির্জন জায়গা যেখানে আপনিও কখনও যেতে পারেন। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন যে, একফোঁটা জলও এখন মঙ্গলগ্রহের Jezero crater- এ নেই। কিন্তু একসময় এমন কিছু ঘটেছিল যা যথেষ্ট জোরালো। আর সেইসবেরই নমুনা এখন খুঁজে পাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা।
বিজ্ঞানীরা পরিকল্পনা করেছেন যে আগামী দিনে মঙ্গলগ্রহে আবহাওয়া এবং জলবায়ু সংক্রান্ত আরও বিবর্তন ভাল করে বোঝার জন্য গবেষণা করবেন। এর জন্য আরও অনেক নমুনা সংগ্রহ করা হবে। রোভার পারসিভের্যান্স মঙ্গলগ্রহ থেকে যেসব নমুনা সংগ্রহ করবে তা পৃথিবীতে পাঠানো হবে। আর সেইসব নমুনা পর্যবেক্ষণ করে বিজ্ঞানীরা মঙ্গলগ্রহ সম্পর্কে বিশ্ববাসীকে আরও নতুন নতুন তথ্য দেবেন। ২০২০ সালের ৩০ জুলাই লঞ্চ হয়েছিল রোভার পারসিভের্যান্স। ২০২১ সাল অর্থাৎ চলতি বছর ১৮ ফেব্রুয়ারি Jezero crater- এ অবতরণ করেছিল এই রোভার। আপাতত মঙ্গলের বুকে জীবাশ্মের খোঁজ চালাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। তাঁরা জানিয়েছেন, যে ধরনের পাথরের তাঁরা খোঁজ করছেন সেইরকম পাথর খুঁজে বের করতে বেশ কিছুদিন সময় লাগে।
রোভার পারসিভের্যান্সে দু’টি ক্যামেরা রয়েছে। Mastcam-Z এবং SuperCam Remote Micro-Imager (RMI)। মঙ্গলগ্রহের ছবি তুলতে এই দু’টি ক্যামেরাই সাহায্যে। একবার ছবি তোলার পর তা পৃথিবীতে পাঠিয়ে দেয় রোভার। এরপর নাসার রিসার্চ টিম এইসব ছবি প্রসেস এবং কম্বাইন করে। Jezero crater- এর ছবির ক্ষেত্রেও তেমনটাই হয়েছে। আর ওই ছবি দেখেই বিজ্ঞানীরা বুঝেছেন যে Jezero crater- এ থাকা সেডিমেন্ট বা পলি কোনও বহমান জলের ধারার ফলেই সৃষ্টি হয়েছে। সম্ভবত সেটি একটি নদী বলেই ধরে নিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
আরও পড়ুন- NASA’s Video on Saturn: শনির চারটি উপগ্রহের প্যারেডের ভিডিয়ো ছাড়ল নাসা, নেটিজেনরা হতবাক!
আরও পড়ুন- Didymos Asteroid: পৃথিবীর দিকে ধাবমান গ্রহাণুকে ধ্বংসের চেষ্টা করবে নাসা