Heart Attack Detection By Eye Test: হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকির কথা বলবে চোখ! কৃত্রিম বুদ্ধিমতা নির্ভর পদ্ধতির সন্ধান দিলেন গবেষকরা
এবার কৃত্রিম মেধা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (Artificial Intelligence) নির্ভর একটি সিস্টেম ডেভেলপ করলেন বিজ্ঞানীরা, যার মাধ্যমে কোনও ব্যক্তির হৃদরোগের সম্ভাবনা রয়েছে কি না, তা জানা যাবে। আর তা সম্ভব চোখের স্ক্যান করে।
হুট করেই হার্ট অ্যাটাক (Heart Attack) হয়ে হাসপাতালে ছুটতে হয় অনেককে। যুঝতে হয় মৃত্যুর সঙ্গেও। হৃদরোগ এমনই এক রোগ যার কোনও আভাস আগে থেকে পাওয়া সম্ভব নয়। সেই সমস্যার সমাধানেই এবার কৃত্রিম মেধা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (Artificial Intelligence) নির্ভর একটি সিস্টেম ডেভেলপ করলেন বিজ্ঞানীরা, যার মাধ্যমে কোনও ব্যক্তির হৃদরোগের সম্ভাবনা রয়েছে কি না, তা জানা যাবে। আর তা সম্ভব চোখের স্ক্যান (Eye Scanning) করে। চিকিৎসকরা আবিষ্কার করেছেন যে, রেটিনায় ক্ষুদ্র রক্তনালীগুলির পরিবর্তনগুলি ভাস্কুলার রোগের সূচক যা হৃৎপিণ্ডকেও প্রভাবিত করে। বিজ্ঞানীমহল মনে করছে, এই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স নির্ভর হার্ট অ্যাটাক ডিটেক্ট করার সিস্টেমের আবিষ্কার যুগান্তকারী হতে চলেছে।
ব্রিটেনের লিডস বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক এই অ্য়াডভান্সড সিস্টেম সম্পর্কে একটি গবেষণাপত্র প্রকাশ করেছেন। গবেষকরা একটি এআই সিস্টেমকে বেশ কিছু কৌশল ব্যবহার করে প্রশিক্ষিত করেছেন, যাতে সিস্টেমটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে রেটিনাল স্ক্যান পড়তে পারে, নিয়মিত অপটিশিয়ানের কাছে সংগ্রহ করা হয় এবং যাঁদের হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা রয়েছে, তাঁদেরও সনাক্ত করা যায়। গবেষকরা দাবি করেছেন যে, এই এআই সিস্টেম ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ নির্ভুলতা দিতে পারে এবং গভীর ভাবে কার্ডিওভাস্কুলার ডিটেকশনের জন্য দ্বিতীয় রেফারেল প্রক্রিয়া হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে।
কী ভাবে পরীক্ষাটি করা হয়েছে?
খুঁটিয়ে গবেষণা করা যায় এমন ডেটার কালেশনে, গবেষকরা ৫০০০ জনেরও বেশি মানুষের রেটিনাল এবং কার্ডিয়াক স্ক্যান ব্যবহার করেছেন। ইউনাইটেড কিংডমের বায়োব্যাঙ্ক থেকে এই স্যাম্পেলগুলি সংগ্রহ করা হয়েছিল। এই এআই বা আর্টিফিশিয়াল সিস্টেম রেটিনার প্যাথোলজি এবং রোগীর হৃৎপিণ্ডের পরিবর্তনের মধ্যে সম্পর্ক চিহ্নিত করতে সক্ষম হয়েছে। প্যাটার্নটি বোঝার পরে, এআই সিস্টেমটি সহজেই রেটিনাল স্ক্যান থেকে হার্টের বাম ভেন্ট্রিকলের আকার এবং পাম্পিং দক্ষতা অনুমান করতে পেরেছিল। এখনও পর্যন্ত কেবল মাত্র হার্টের ইকোকার্ডিওগ্রাফি বা এমআরআই-এর মতো টেস্টই সেটি নির্ধারণ করতে পারে।
গবেষকরা কী বলছেন?
লিডস বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর অ্যালেক্স ফ্রাঙ্গি, যিনি অ্যালান টুরিং ইনস্টিটিউটের টুরিং ফেলো (তথ্য বিজ্ঞান ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স গবেষণায় শ্রেষ্ঠ প্রমাণিত পণ্ডিত), তিনিই এই রিসার্চে নেতৃত্ব দিয়েছেন। অ্যালেক্স ফ্রাঙ্গি বলছেন, “এই কৌশলটি কার্ডিয়াক রোগের স্ক্রিনিংয়ে বিপ্লব ঘটানোর সম্ভাবনা উন্মুক্ত করে। রেটিনাল স্ক্যান তুলনামূলক ভাবে সস্তা এবং নিয়মিতভাবে অনেক চক্ষু বিশেষজ্ঞের অনুশীলনে ব্যবহৃত হয়। স্বয়ংক্রিয় স্ক্রিনিংয়ের ফলে, হার্ট অ্যাটাকের উচ্চ ঝুঁকি সম্পন্ন রোগীদের বিশেষজ্ঞ, কার্ডিয়াক পরিষেবার জন্য রেফার করতে পারেন। এই ধরনের স্ক্যান হৃদরোগের প্রাথমিক লক্ষণগুলিও ট্র্যাক করতেও ব্যবহার করা যেতে পারে।”
আরও পড়ুন: রুম সার্ভিস থেকে খাবার ডেলিভারি, শীতকালীন অলিম্পিক্সে অতিথি আপ্যায়নের দায়িত্বে রোবট-বাহিনী
আরও পড়ুন: ব্যাঙের বাদ যাওয়া পায়ের ‘পুনর্জন্ম’ দিলেন বিজ্ঞানীরা, এবার মানুষের পালা!