সনিয়া গান্ধী

সনিয়া গান্ধী

জাতীয় কংগ্রেস তথা জাতীয় রাজনীতির অন্যতম ব্যক্তিত্ব সনিয়া গান্ধী। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর স্ত্রী হয়ে তাঁর হাত ধরেই ভারতে আসেন ইতালির কন্যা সনিয়া গান্ধী। কিন্তু, সময়ের সঙ্গে তিনি নিজেকে সম্পূর্ণরূপে ভারতীয় হিসাবে প্রমাণ করেন। ১৯৯১ সালে আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণে রাজীব গান্ধীর মৃত্যু হয়। তারপর ধীরে ধীরে জাতীয় কংগ্রেস যখন খাদের কিনারায় চলে গিয়েছিল, তখন কাণ্ডারী হয়ে দলকে টেনে তোলেন রাজীব-জায়া। শুধু দলকে টেনে তোলা নয়, দেশে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকার গঠনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন গান্ধী পরিবারের এই বধূ।
শুধু রাজনৈতিক ক্ষেত্র নয়, সাংসারিক ও পারিবারিক জীবনেও প্রকৃত ভারতীয় বধূ হিসাবে নিজেকে প্রমাণ করেছেন ইতালির কন্যা সনিয়া গান্ধী। রাজীব গান্ধীর অকাল প্রয়াণের পর দুই ছোট ছোট ছেলে, মেয়ে রাহুল আর প্রিয়ঙ্কাকে কার্যত একা হাতেই বড় করেছেন।
জন্মসূত্রে ইতালির নাগরিক হওয়ায় রাজনীতির ময়দানে অনেক ব্যক্তিগত কটাক্ষেরও শিকার হতে হয়েছে সনিয়া গান্ধীকে। বিদেশিনী তকমাও পেয়েছেন। যদিও কর্মক্ষেত্র থেকে ভাষা, আদব-কায়দা, পোশাক, সংস্কৃতি – সবক্ষেত্রেই নিজেকে সম্পূর্ণ ভারতীয় হিসাবে তুলে ধরেছেন ইতালির মেইনো। শাড়ি ছাড়া অন্য পোশাকে কখনও প্রকাশ্যে তাঁকে দেখা যায়নি। দেশবাসীরও যে মন জয় করেছেন তা পরপর লোকসভা ভোটে তাঁর জয় থেকেই স্পষ্ট। যদিও সমস্ত সুযোগ থাকা সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেননি তিনি। তবে আজও শতাব্দী প্রাচীন দলের প্রাচীর হয়ে রক্ষা করছেন। সভানেত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ালেও আজও জাতীয় কংগ্রেসে তাঁর গুরুত্ব অপরিসীম।

Read More

সামনে আসবে ঐতিহাসিক সত্য? সনিয়া গান্ধীর থেকে চিঠি ফেরত চাইছে মোদী সরকার

Jawahar Nehru's Letter: ১৯৭১ সালে জওহরলাল নেহেরুর কন্যা ইন্দিরা গান্ধী এই চিঠিগুলি মিউজিয়ামের হাতে তুলে দিয়েছিলেন সুরক্ষিত রাখার জন্য। ২০০৮ সালে জওহরলাল নেহেরুর লেখা চিঠিগুলি প্যাক করে ৫১টি বক্সে সনিয়া গান্ধীর কাছে পাঠানো হয়।