Naihati: বাড়িতে বসেই খুন হয়েছিলেন অমরনাথ, দুষ্কৃতীদের ভয়াবহ শাস্তি দিল আদালত
Naihati: সালটা ২০১৯-এর ৯ অক্টোবর। নিজের বাড়িতে খুন হন বছর আটচল্লিশের অমরনাথ তেওয়ারি। দুষ্কৃতীদের তোলা আদায় করতে এসে না পেয়ে গুলি করে খুন করেছিল দুষ্কৃতীরা। সেই খুনের ঘটনায় নৈহাটি থানার পুলিশ তদন্তে নেমে শ্যাম বিহারী যাদব,আমোদ চৌধুরী,অনিল যাদব,চন্দন যাদব. অমন তেওয়ারি,অনিল রায়কে গ্রেফতার করে পুলশ।
নৈহাটি: তোলাবাজির প্রতিবাদ করায় খুন হয়েছিলেন। পরবর্তীতে গ্রেফতার হয় দুষ্কৃতীরা। পাঁচ বছর পর সেই মামলার নিষ্পত্তি। অভিযুক্তদের দোষী সাব্যস্ত করল ব্য়ারাকপুর আদালত। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল আদালত।
সালটা ২০১৯-এর ৯ অক্টোবর। নিজের বাড়িতে খুন হন বছর আটচল্লিশের অমরনাথ তেওয়ারি। দুষ্কৃতীদের তোলা আদায় করতে এসে না পেয়ে গুলি করে খুন করেছিল দুষ্কৃতীরা। সেই খুনের ঘটনায় নৈহাটি থানার পুলিশ তদন্তে নেমে শ্যাম বিহারী যাদব,আমোদ চৌধুরী,অনিল যাদব,চন্দন যাদব. অমন তেওয়ারি,অনিল রায়কে গ্রেফতার করে পুলশ।
এরপর অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে খুন ও আগ্নেয়াস্ত্র আইনে মামলা রুজু হয়। তারপর চোদ্দ জনের সাক্ষ্যপ্রমাণের পর ১১ ডিসেম্বর দোষী সাব্যস্ত করা হয় তাদের। আজ প্রত্যেককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয় ব্যারাকপুর আদালতের এডিজে থার্ড কোর্টের মহামান্য বিচারক অয়ন বন্দ্যোপাধ্যায়। আদালতের এই রায়ে স্বাভাবিকভাবেই খুশি নিহত অমরনাথ তেওয়ারির পরিবার।
মৃতের ছেলে আশু তিওয়ারি বলেন, “ওই দুষ্কৃতীগুলো পাড়ার মধ্যে তোলাবাজি করত। আমার বাবা গাড়ির ড্রাইভার ছিল। মা লোনের কাজ করত। ওরা এসে মাসে চল্লিশ হাজার টাকা চেয়েছিল। আমার পাঁচ হাজার টাকা মাসে আয় হয় না। চল্লিশ হাজার টাকা কোথা থেকে দেব। ওই নিয়ে অশান্তি। তারপরের দিনই বাবা বাড়িতে ছিল। সেইগুলি করে খুন করে।”