Balurghat Hospital News: রাজ্যের সব হাসপাতালকে পিছনে ফেলে শ্রেষ্ঠ হল বালুরঘাট জেলা সদর হাসপাতাল
পিছিয়ে পড়া বাংলাদেশ সংলগ্ন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার সদর হাসপাতে সুষ্ঠু চিকিৎসা পরিষেবা দিয়ে স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে এই সেরা শিরোপা মিলেছে। রবিবার বিষয়টি জানাজানি হতেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের মধ্যে খুশির হাওয়া। এর আগে আরও এক'বার এই শিরোপা পেয়েছিল বালুরঘাট জেলা হাসপাতাল। এবার মিলিয়ে মোট দুবার এই পুরস্কার পেল বালুরঘাট জেলা সদর হাসপাতাল
সুশ্রী কায়াকল্প প্রতিযোগিতায় রাজ্যের সব হাসপাতালকে পিছনে ফেলে শ্রেষ্ঠ অর্থাৎ প্রথম স্থান অধিকার করল দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট জেলা সদর হাসপাতাল। পিছিয়ে পড়া বাংলাদেশ সংলগ্ন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার সদর হাসপাতে সুষ্ঠু চিকিৎসা পরিষেবা দিয়ে স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে এই সেরা শিরোপা মিলেছে। রবিবার বিষয়টি জানাজানি হতেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের মধ্যে খুশির হাওয়া। এর আগে আরও এক’বার এই শিরোপা পেয়েছিল বালুরঘাট জেলা হাসপাতাল। এবার মিলিয়ে মোট দুবার এই পুরস্কার পেল বালুরঘাট জেলা সদর হাসপাতাল৷
প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে ‘ন্যাশনাল হেলথ সিস্টেম রিসোর্স সেন্টার’ হাসপাতাল গুলির বিভিন্ন পরিষেবা সম্পর্কে পর্যবেক্ষণ করে। সেই প্রকল্পের নাম ‘সুশ্রী কায়াকল্প’। এই প্রকল্পে প্রসূতি ও শিশু মৃত্যু হ্রাস, হাসপাতালের আউটডোর, ইন্ডোর, অপারেশন থিয়েটারের পরিচ্ছন্নতা এবং সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের বায়ো মেডিক্যাল ওয়েস্ট, প্রশাসনিক কার্যকলাপ মিলিয়ে মোট আটটি বিভাগের উপরে গুরুত্ব দেওয়া হয়। সেই নিয়েই স্বাস্থ্য দপ্তর প্রাথমিক, গ্রামীণ, মহকুমা ও জেলা স্তরের সমস্ত হাসপাতালের মূল্যায়ন করে। গত পড়শু স্বাস্থ্য ভবনের তরফে ফলাফলের তালিকা প্রকাশ করা হয়। আর ফলাফল প্রকাশ হতেই উচ্ছ্বসিত বালুরঘাট জেলা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ।
জানা গেছে, রাজ্যের ১৩টি জেলা হাসপাতাল, ৩০টি মহকুমা, ১৬টি স্টেট জেনারেল হাসপাতাল, ২৭৪টি গ্রামীণ ও ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং ৫৭৬টি প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রকে পর্যবেক্ষণ করে স্বাস্থ্য দপ্তর। এরপরই গতকাল অর্থাৎ শনিবার ২০২২-২৩ সালের ‘সুশ্রী কায়াকল্প’-এর তালিকা প্রকাশ করে স্বাস্থ্য দফতর। সেখানেই দেখা যাচ্ছে, বালুরঘাট জেলা হাসপাতাল প্রথম স্থান পেয়েছে। বালুরঘাট হাসপাতাল পেয়েছে ৯৫.২৯% নাম্বার। তবে গতবারের রাজ্য সেরা এম আর বাঙুর এবারেও পেয়েছে ৯৬.২৯ % নাম্বার।যেহেতু তারা গত বছরের চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল, সেই ক্ষেত্রে এবারে তাদের আরো ৫ শতাংশ নম্বর বেশি পাবার নিয়ম। কিন্তু তা অর্জন করতে পারেনি এমআর বাঙুর। তাই তালিকায় দ্বিতীয় হয়েও বালুরঘাট প্রথম পুরস্কার পেয়েছে। কলকাতা তো বটেই, রাজ্যের হাসপাতাল গুলির সাথে টেক্কা দিয়ে প্রথম হওয়ায় বালুরঘাট হাসপাতাল পাবে ৫০ লক্ষ টাকা। সেই টাকা হাসপাতালে পরিকাঠামোগত উন্নয়ন ও উন্নত রোগী পরিষেবার কাজে ব্যবহার করতে পারবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলে জানা গিয়েছে। এদিকে বালুরঘাট সদর হাসপাতাল প্রথম স্থানে থাকলেও, উত্তরবঙ্গের অন্য কয়েকটি হাসপাতালও তালিকায় ঠাঁই পেয়েছে। শিলিগুড়ি হাসপাতাল রয়েছে চারে, ৭ রয়েছে কালিম্পং হাসপাতাল, ৮ রয়েছে আলিপুরদুয়ার হাসপাতাল, ১১ তে রয়েছে দার্জিলিং হাসপাতাল। এই হাসপাতাল গুলি পাবে ৩ লক্ষ টাকা করে।
এদিকে এই পুরস্কার ২০১৮ সালে পেয়েছিল বালুরঘাট সদর হাসপাতাল। রাজ্যের মধ্যে প্রথম হয়। তবে করোনার পর থেকে এই হাসপাতাল ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পারেনি। পরিষেবা তলানিতে নেমে গিয়েছিল বলেই অভিযোগ। আর এখান থেকেই চ্যালেঞ্জ নিয়ে বালুরঘাট সদর হাসপাতালকে ঘুরে দাঁড় করাতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন বর্তমান হাসপাতাল সুপার কৃষ্ণেন্দু বিকাশ বাগ। পাশাপাশি পুরো হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সব রকম সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়৷ যার ফল স্বরূপ এবারেও প্রথম স্থান অধিকার করল বালুরঘাট জেলা হাসপাতাল৷
এবিষয়ে বালুরঘাট জেলা হাসপাতালের সুপার কৃষ্ণেন্দু বিকাশ বাগ বলেন, দক্ষিণ দিনাজপুরের মত প্রান্তিক জেলাতে, গত পড়শু এই ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। সেই রিপোর্ট গতকাল এসে পৌঁছেছে। এর আগে ২০১৮ সালে এই পুরস্কার পেয়েছিল হাসপাতাল। তারপর এবার এই পুরস্কার মিলেছে৷ এর জন্য ৫০ লাখ টাকা তারা পাবেন। যা হাসপাতালের উন্নয়নের কাজে ব্যবহার করা হবে। এমন প্রান্তিক জেলার হাসপাতাল রাজ্যে প্রথম হওয়াতে আমরা খুবই গর্বিত। যে পরিষেবা গুলো আমরা দেওয়ার চেষ্টা করছি মানুষকে, এই মূল্যায়ন এর ফলে তা আমাদের আরও উৎসাহ জোগাবে। এই ফলাফলের কৃতিত্ব শুধু মাত্র কর্মীদের। পুরস্কারের টাকা দিয়ে রোগীদের জন্য উন্নত পরিষেবা দেওয়ার পরিকল্পনা করছি।