Viral Video: স্ত্রীকে চপস্টিকের সাহায্যে নুডলস খেতে শেখালেন স্বামী, বাধ্য ছাত্রীর মত তা নিমেষে শিখে নিলেন স্ত্রী
চপস্টিকের ব্যবহারে এখনও অনেকেই কিন্তু সড়গড় নন। তবে স্বামীর কাছে চপস্টিক ধরার কায়দা শিখে খুবই খুশি স্ত্রী
আমাদের সবাইকে একসঙ্গে বেঁধে রাখার ক্ষমতা রয়েছে একমাত্র খাবারেরই। খাবারের মাধ্যমেই কোনও দেশের সংস্কৃতির সঙ্গে আমাদের পরিচয় গড়ে ওঠে। থাই থেকে চাইনিজ থেকে কোরিয়ান- এখন খুব সহজেই এই সব খাবার পাওয়া যায় সহজে বসেই। বর্তমানে কোরিয়ান খাবারের স্বাদে মজেছেন শহরবাসী। শহরের বিভিন্ন আউটনেটে ভিড় দেখলেই তা মালুম হয়। এছাড়াও চাইনিজ খাবারও কিন্তু আজ আমাদের নিত্যদিনের সঙ্গী। চাইনিজ খাবার ছোট থেকে বড় সকলেরই খুব পছন্দ।
যদিও আমাদের এখানে চাইনিজ খাবার বলে যা বিক্রি হয় তার সঙ্গে অথেন্থিক চাইনিজ খাবারের কিন্তু কোনও মিল নেই। সুশি থেকে নুডলস- যে কোনও রেস্তোরাঁতে এই দুটি পদ চেখে দেখতে গেলে আপনাকে কিন্তু চামচের বদলে দেওয়ীা হবে চপস্টিক। আর চপস্টিক দিয়ে এইসব খাবারের স্বাদ যত ভাল আস্বাদন করা যায় তা অন্য কোনও কিছু দিয়ে কিন্তু হয় না। এছাড়াও অনেকেই আজকাল রমেন বানিয়ে খান বাড়িতে। রমেন খেতেও কিন্তু ভরসা সেই চপস্টিক।
রেস্তোরাঁয় গিয়ে চামচ, কাঁটাচামচের সঙ্গে দেওয়া থাকে চপস্টিকও। কিন্তু অনেকেই চপস্টিকের ব্যবহার জানেন না বলে তা এড়িয়ে যান। তবে আজকাল সিনেমার পর্দায় কিন্তু এই চপস্টিক ব্যবহারের চল বেড়েছে। কিন্তু তাতেও যে সকলে রেস্তোরাঁয় গেলেই হাতে তুলে নিচ্ছেন চপস্টিক তা কিন্তু দেখা যাচ্ছে না।
সম্প্রতি গোয়ালিয়রের একটি রেস্তচোরাঁর ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেখানেই দেখা গিয়েছে স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে রেস্তোরাঁয় খেতে গিয়েছেন ওই ব্যক্তি। কিন্তু তাঁর স্ত্রী চপস্টিক ব্যবহারে মোটেও দক্ষ নন। এরপর ওই ব্যক্তি নিজের হাতে স্ত্রীকে চপস্টিকের ব্যবহার শেখান। কীভাবে তার সাহায্যে নুডলস তুলতে হয় তাও শেখান। আর স্বামী ওকবার শেখাতেই কিন্তু তা রপ্ত করে ফেলেন স্ত্রী। তারপর নিজেই তিনি দক্ষ হাতে খেতে শুরু করেন চপস্টিক দিয়ে।
View this post on Instagram
এই ভিডিয়ো আলোড়ন তুলেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এখনও পর্যন্ত ১০ লক্ষ মানুষ সেই ভিডিয়ো দেখেছেন। লাইক শেয়ারের সংখ্যাও কিন্তু নেহাত কম নয়। তবে ভিডিয়োটি ভাইরাল হওয়ার পর অনেকেই কুরুচিকর মন্তব্য পেশ করেছেন। কিন্তু তাতে একটুও চটে যাননি ওই মহিলা। তিনি সবার উদ্দেশ্যে একটি পোস্ট করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেখানেই তিনি লেখেন, আমাদের পাশে থাকার জন্য আপনাদের অসংখ্য ধন্যবাদ। আমার কাছে এটি দারুণ একটি অভিজ্ঞতা। সেদিন আমরা খুব ভাল সময় কাটিয়েছি। সেই সঙ্গে খাবারও ভীষণ ভাল ছিল।