AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Viral Video: মা দৃষ্টিহীন; বাচ্চাটা পড়ে গেল রেললাইনে, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শিশুর প্রাণ বাঁচালেন রেলকর্মী

Viral Video Today: ছোট্ট ছেলেটি রেলওয়ে ট্র্য়াকে পড়ে গিয়েছিল, মায়ের হাত ধরে হাঁটতে-হাঁটতে। কিন্তু তাঁর মা দৃষ্টিহীন। সেই সময় রেলওয়ে পয়েন্টম্যান ময়ূর শেলকে নিজের প্রাণ বিপন্ন করে 6 বছরের একটি বাচ্চাকে নতুন জীবন দিয়ে সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছিলেন।

Viral Video: মা দৃষ্টিহীন; বাচ্চাটা পড়ে গেল রেললাইনে, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শিশুর প্রাণ বাঁচালেন রেলকর্মী
দেবদূত নাকি নায়ক, কী বলে ডাকবেন ময়ূর শেলকে-কে?
| Edited By: | Updated on: Mar 22, 2023 | 12:06 PM
Share

Latest Viral Video: ‘রোজ কত কী ঘটে যাহা তাহা…!’ তার মধ্যে কিছু নায়কোচিত ঘটনা আমাদের মন জিতে নেয়। সেই সব নায়করা প্রতিদিন মানুষকে উজ্জিবীত করেন, চারপাশে আজও যে অনেক ভাল মানুষ আছেন, চোখে আঙুল দিয়ে বুঝিয়ে দেন তাঁরা। তেমনই এক নায়কের নাম ময়ূর শেলকে (Mayur Shelke)। থানে রেলস্টেশনের তিনি একজন পয়েন্টসম্যানের (Railway Pointsman) কাজ করেন। সম্প্রতি রেলমন্ত্রক তাঁকে সংবর্ধনা দিয়েছে। 2021 সালে ময়ূর শেলকে নামের ওই ব্যক্তি একটি বাচ্চার প্রাণ বাঁচিয়েছিলেন। ঘটনার ভিডিয়ো এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক ভাইরাল। আর তার ক্রেডিটটা নিয়ে নেবেন প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার ভিভিএস লক্ষ্মণ (VVS Laxman)।

অকুতোভয় শেলকে নিজের প্রাণ বিপন্ন করে 6 বছরের একটি বাচ্চাকে নতুন জীবন দিয়ে সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছিলেন। দুর্ভাগ্যজনক এক দিনে ছোট্ট ছেলেটি থানের সেন্ট্রাল রেলওয়ের ভাঙ্গানি স্টেশনের রেলওয়ে ট্র্যাকে পড়ে গিয়েছিল। সেই সময়ই পিছন থেকে একটি ট্রেন আসছিল। ছেলেটির মা দৃষ্টিহীন। ছেলে যে পড়ে গিয়েছে, তা অসহায় সেই মহিলা বুঝতে পেরেছিলেন ঠিকই। সে কোথায় পড়েছে, তাঁকে বাঁচিয়ে নিয়ে আসার কোনও পথই খুঁজে পাচ্ছিলেন না মহিলা। সেই সময় দেবদূত হিসেবে ওই মা-সন্তানের জীবনে হাজির হন ময়ূর শেলকে নামের ওই পয়েন্টসম্যান। রেললাইন ধরেই দৌড়তে-দৌড়তে গিয়ে তিনি বাচ্চাটির প্রাণ বাঁচান।

ভিভিএস লক্ষ্মণ এই ভিডিয়োটি টুইটারে পোস্ট করে লিখছেন, “ময়ূর শেল্কের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই, যিনি নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে একজন দৃষ্টিহীন মায়ের 6 বছরের শিশুর জীবন বাঁচিয়েছিলেন। রেলওয়ের তরফ থেকে ময়ূরের জন্য নগদ পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছিল। সেই টাকার অর্ধেকটাই ময়ূর সেই বাচ্চাটির পড়াশোনার জন্য দান করেছিল। ময়ূরের মূল্যবোধে গর্বিত।”

লক্ষ্মণের শেয়ার করা ভিডিয়োতে দেখা গেল, রেলওয়ে স্টেশনে মায়ের হাত ধরে হাঁটছিল ছোট্ট ছেলেটি। কিন্তু মা যেহেতু দৃষ্টিহীন। হঠাৎই ছেলেকে নিয়ে হাঁটতে-হাঁটতে তিনি রেলওয়ে ট্র্যাকের দিকে এগিয়ে যান। ছেলেটা যখনই নিচে পড়ে যায়, তখন তিনি বুঝতে পারেন, ভুল পথে হাঁটছিলেন। পরিস্থিতি এতটাই ভয়ঙ্কর হয়ে যায় যে, স্টেশনে দাঁড়িয়ে তখন অসহায় মায়ের কিংকর্তব্যবিমূঢ় অবস্থা। এদিকে ট্রেনও হর্ন বাজাতে বাজাতে স্টেশনের দিকেই আস্তে আস্তে এগিয়ে আসে। সেই সময় পয়েন্টসম্যান ময়ূর দূর থেকে দৌড়তে-দৌড়তে গিয়ে বাচ্চাটিকে প্রাণে বাঁচান।

রেলওয়ে দফতর তাঁকে যে নগদ টাকা দিয়েছে, তা নিয়ে তিনি করবেন? সংবাদমাধ্যম PTI-কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে ময়ূর দাবি করেন, “আমি বুঝতে পেরেছি যে, এই বাচ্চাটি দরিদ্র পরিবারের। তাকে যথাযথ শিক্ষা দিয়ে শিক্ষিত করার আর্থিক ক্ষমতা তার মায়ের নেই। তাই, আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, যে পরিমাণ অর্থ পুরস্কার হিসেবে পেয়েছি, তার অর্ধেক টাকা বাচ্চাটির পড়াশোনার জন্য দিয়ে দেব।”

প্রাক্তন ভারতীয় ব্যাটার লক্ষ্মণের দৌলতে অনেকেই আবার নতুন করে চিনলেন ময়ূর শেরকে নামের ব্যক্তিটিকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁকে কেউ ‘আজকের নায়ক’ বলেছেন। কেউ আবার তাঁকে ‘দেবদূত’ আখ্যাও দিয়েছেন।