Viral Video: ‘এই বয়সে প্রেম করছিস?’ মেয়ের প্রেমিক আছে জেনে মায়ের বেধড়ক মারধর, নেটিজ়েনদের মন খারাপ!
Viral Video Today: মেয়ে যে প্রেম করে, জানা ছিল না মায়ের। যখনই তিনি তা জানতে পারলেন, প্রথমেই মেয়ের গালে সপাটে একটা চড় কষালেন। তারপরই শুরু হল বেধড়ক মারধর। কম বয়সী মেয়েটি অঝোরে কান্নাকাটি করতে থাকে। মাকে এরকম অত্যাচার না করার অনুরোধ জানাতে থাকে। কিন্তু কে কার কথা শোনে!
Latest Viral Video: প্রেম বড়ই ব্যক্তিগত। তাতে নাক গলানোর অধিকার কারও নেই। কিন্তু তারপরেও দুজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের প্রেমে পড়া, প্রেম করা, ঘনিষ্ঠ হওয়া নিয়ে বহু মানুষের আপত্তি থাকে। অনেক প্রেম পরিণতি পায় না। অনেক ক্ষেত্রে সম্পর্কের (Relationship) পরিণতিপ্রাপ্তির পথে মূল বাধা হয়ে দাঁড়ায় প্রেমিক বা প্রেমিকার বাড়ির লোকজনই। কিছু পরিবারের ক্ষেত্রে প্রেমের জন্য সন্তানদের কাছে আগাম নিষেধাজ্ঞাও দেওয়া থাকে। এমন অনেক ভিডিয়োই আমাদের নজরে আসে, যেখানে প্রেম করার জন্য সন্তানদের শাস্তি দেন মা (Mother,) বাবা বা পরিবারের অন্য কেউ। সেরকমই একটা ভিডিয়ো ফের হাজির হয়েছে, যা দেখলে প্রেম করেন এমন মানুষজনের চোখে জল চলে আসতে পারে। কেন প্রেম করে সে, কেন প্রেমিক রয়েছে তার, মহিলা তাঁর মেয়েকে (Daughter) এই সব প্রশ্নবাণ ছুড়ে দিয়ে শারীরিক নির্যাতন করছেন। ভিডিয়োটি দেখার পরে অনেকেরই মন ভেঙে গিয়েছে।
মেয়ে যে প্রেম করে, জানা ছিল না মায়ের। যখনই তিনি তা জানতে পারলেন, প্রথমেই মেয়ের গালে সপাটে একটা চড় কষালেন। তারপরই শুরু হল বেধড়ক মারধর। কম বয়সী মেয়েটি অঝোরে কান্নাকাটি করতে থাকে। মাকে এরকম অত্যাচার না করার অনুরোধ জানাতে থাকে। কিন্তু কে কার কথা শোনে! মহিলা তাঁর মেয়েকে জোর করে টানতে টানতে নিয়ে যান একটি ঘরে। কখনও মার, কখনও বকাবকি চলতেই থাকে। মেয়েটি কাকুতি-মিনতি করতে থাকে আর সামনেই দাঁড়িয়ে থাকা আর এক আত্মীয়কে বলতে থাকে, ‘আমি কিছু করিনি। আঙ্কল প্লিজ়…!’
Kalesh b/w A Girl and a Family after they find out she have boyfriend pic.twitter.com/n4UdZSAZl0
— Ghar Ke Kalesh (@gharkekalesh) June 25, 2023
মেয়েটির মা ছাড়াও সেখানে ছিল তাঁর দাদাও। সম্ভবত সেই এসে বোনের এই প্রেমের ঘটনাটি জানায়। টুইটারে Ghar Ke Kalesh নামক একটি পেজ থেকে ভিডিয়োটি শেয়ার করা হয়েছে। ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে ভিডিয়োটি। তবে মানুষজন ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। প্রেম করেন এমন মানুষজনের হৃদয় ভেঙেছে ভিডিয়োটি দেখার পরে। এর মধ্যেই ভিডিয়োর ভিউ 1 লাখ ছাপিয়ে গিয়েছে। নেটিজ়েনদের একাংশ এই ঘটনা চাক্ষুষ উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। বলেছেন, মা-বাবার এমনতর কাজ তাঁদের সন্তানদের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি করে।
একজন লিখছেন, ‘ঠিক এই ভয়ের কারণেই মেয়েরা কখনই তাঁদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে পরিবারের মানুষজনের সঙ্গে কথা বলেন না।’ আর একজন যোগ করলেন, ‘এই ধরনের মা-বাবাদেরই শেষ বয়সটা বৃদ্ধাশ্রমে কাটাতে হয়।’ তৃতীয় জনের বক্তব্য, ‘এই মহিলার বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানো উচিত। এই ঘটনাকে শিশু নির্যাতন ছাড়া আর কিছু বলা যায় না। কোনও কারণ নেই তা-ও শাস্তি পেতে হচ্ছে একটা বাচ্চা মেয়েকে।’