Guillain Barre Syndrome: বঙ্গে হানা গিলেন-ব্যারির! বিরল স্নায়ুরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্য়ু ভাটপাড়ার কিশোরের
Guillain Barre Syndrome: গত ১৭ই জানুয়ারি বেলেঘাটা শিশু হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি করা হয় ভাটপাড়া পৌরসভার আতপুরের বাসিন্দা বছর দশেকের দেব কুমার সাউকে। দিন কয়ের মৃত্যুর সঙ্গে চলে পাঞ্জা লড়াই। এরপর হাল ছেড়ে দেয় তার শরীর। গত ২৬ জানুয়ারি গুলেন-বারি সিন্ড্রোমের আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় তার।

কলকাতা: বঙ্গে এবার এই বিরল স্নায়ু রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল দুই রোগীর। এক জন ভাটপাড়া পৌরসভা এলাকার। অন্য জন, ধনিয়াখালি এলাকার। একজন কিশোর, অন্য জন মাঝ বয়সী। দু’জনেই আপাতত মৃত। মৃত্যুর আগে উপসর্গও ছিল প্রায় একই রকম। মহারাষ্ট্র পেরিয়ে বাংলাতেও হানা গিলেন-ব্যারি-সিন্ড্রোমের।
গত ১৭ই জানুয়ারি বেলেঘাটা শিশু হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি করা হয় ভাটপাড়া পৌরসভার আতপুরের বাসিন্দা বছর দশেকের দেব কুমার সাউকে। দিন কয়ের মৃত্যুর সঙ্গে চলে পাঞ্জা লড়াই। এরপর হাল ছেড়ে দেয় তার শরীর। গত ২৬ জানুয়ারি গিলেন-ব্যারি সিন্ড্রোমের আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় তার।
পরিবার সূত্রে খবর, ১৫ তারিখ প্রথম অসুস্থ হয়ে পড়ে সেই কিশোর। কোনও খাবার তো দূর, সামান্য জলটুকু নামছিল তার গলা দিয়ে। প্রথমে স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর সেখান থেকে তাকে রেফার করে দেওয়া হয় কলকাতায়। সাগর দত্ত হাসপাতাল হয়ে ভর্তি হয় বেলেঘাটা শিশু হাসপাতালে। আর সেখানেই মৃত্যু হয় সেই কিশোরের।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, গিলেন-ব্যারি সিন্ড্রোমেই মৃত্যু হয়েছে সেই কিশোরের। বিরল রোগের আক্রান্ত হয়ে গলার স্নায়ু নষ্ট হয়ে যায় তার। যার জেরে মৃত্যু হয় বলেই দাবি চিকিৎসকদের।
অন্যদিকে, একই কাণ্ড ধনিয়াখালির খাঁজুরদহ এলাকায়। এদিন স্থানীয় চিকিৎসকের পরামর্শে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয় এলাকার বাসিন্দা সতীনাথ লোহারকে। সেই চিকিৎসকের আশঙ্কা, গিলেন-ব্যারি সিন্ড্রোমে আক্রান্ত হয়েছেন সেই রোগী। কিন্তু পরামর্শ মোতাবেক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও ইতিমধ্যেই তার মৃত্যু ঘটেছে বলে খবর।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, রোগীকে মৃতই নিয়ে আসে পরিবার। তবে কোনও রোগ নয়, শ্বাসকষ্ট জনিত কারণে মৃত্যু হয়েছে তার। অবশ্য, তার শরীরে আদৌ সেই বিরল রোগ দানা বেঁধেছিল কিনা সেই প্রসঙ্গে এখনও কোনও তথ্য মেলেনি।
এদিন মৃতের পরিবার তরফে জানা যায়, গত দু’দিন ধরেই ভুগছিলেন তিনি। পিছু ছাড়ছিল ডায়রিয়া। সেই জন্য ওষুধও খাচ্ছিলেন। কিন্তু সমস্যা বাড়ে শরীরে ভারসাম্য হারাতে থাকেন সতীনাথ। বিপদ বুঝে যান চিকিৎসকের কাছে। তিনি সরাসরি রেফার করে দেন কলকাতায়। কিন্তু তাতেও প্রাণে বাঁচানো সম্ভব হয়নি তাঁকে।
উল্লেখ্য, গুলেন-বারিতে আক্রান্ত হয়ে শিশু মৃত্যুর ঘটনায় ভাটপুরের আতপুর অঞ্চলে যেতে চলেছে পৌরসভার মেডিক্যাল অফিসার ও স্বাস্থ্যকর্মীদের একটি দল। সেই অঞ্চলের ১০০ জন শিশুর নমুনা সংগ্রহ ও শারীরিক পরীক্ষানিরীক্ষা করবে তারা।

