AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Alipurduar: ‘জুতো দিয়ে পেটাব…’, রাত সাড়ে ১১টায় ওয়ার্ডে ঢুকেছিলেন, হাসপাতালের সুপারকেই কিল-চড়-ঘুষি আয়াদের! কী করছিলেন তিনি?

Alipurduar: হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কিছু দিন ধরেই সুপারের কাছে আয়া কর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা পড়ছিল। সে বিষয়ে পদক্ষেপ করতেই বিক্ষোভ।  বুধবার রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ হাসপাতাল সুপার পরিতোষ মণ্ডল ওয়ার্ডে ঢুকে যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, সেই সমস্ত আয়া কর্মীদের বের করে দিতে যান।

Alipurduar: 'জুতো দিয়ে পেটাব...', রাত সাড়ে ১১টায় ওয়ার্ডে ঢুকেছিলেন, হাসপাতালের সুপারকেই কিল-চড়-ঘুষি আয়াদের! কী করছিলেন তিনি?
হাসপাতালের সুপারকেই 'মার' আয়াদের Image Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: May 23, 2024 | 12:29 PM
Share

আলিপুরদুয়ার : হাসপাতালে রোগীর পরিবারের সঙ্গে দুর্ব্যবহার, অনৈতিকভাবে বেশি টাকা চেয়ে নেওয়া, এ ধরনের একাধিক অভিযোগ তো ছিলই। কিন্তু হাসপাতালের আয়ারা পেরলেন সীমা। হাসপাতালের সুপারকেই বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল আয়াদের বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি এমন হল, যে সুপারকে উদ্ধার করতে হাসপাতালে যেতে হল পুলিশকে। তাঁকে বাঁচাতে নার্সদের হস্টেলে রাখল পুলিশ। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে। প্রহৃত সুপারের নামে পরিতোষ মণ্ডল।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কিছু দিন ধরেই সুপারের কাছে আয়া কর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা পড়ছিল। সে বিষয়ে পদক্ষেপ করতেই বিক্ষোভ।  বুধবার রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ হাসপাতাল সুপার পরিতোষ মণ্ডল ওয়ার্ডে ঢুকে যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, সেই সমস্ত আয়া কর্মীদের বের করে দিতে যান।

অভিযোগ, সে সময়েই হাসপাতালের আয়ারা সুপারকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখান। তাঁর ওপর চড়াও হন। পড়ে কিল-চড়-ঘুষি। সুপারকে আক্রান্ত হতে দেখে হাসপাতালের কর্মীরা থানায় খবর দেন।  খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সুপারকে উদ্ধার করে জেলা হাসপাতালের নার্সিং ট্রেনিংয়ের ছাত্রী আবাসে রাখেন। রাত দুটো পর্যন্ত চলে এই উত্তেজনা।

জানা গিয়েছে, আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে ২৫০ জন আয়া কর্মী রয়েছেন। বেশ কিছু দিন ধরে তাঁদের বিরুদ্ধে অনৈতিক কাজের অভিযোগ উঠছিল।

হাসপাতাল সুপার পরিতোষ মন্ডল বলেন, “হাসপাতালে আয়াদের নিষিদ্ধ করা হয়েছে।রোগীদের পরিবারের কাছ থেকে আয়ারা টাকা নেয়। আজ আমার অফিসে তালা মারে।এদিন ওয়ার্ডে গিয়েছিলাম,আয়াদের বের করে দিই। আমাকে গালিগালাজ করে।মারধর করে।”

এই ঘটনায় আবার কংগ্রেস সভাপতি শান্তুনু দেবনাথ বলেন, “আমরা হাসপাতালে গিয়ে দেখি,  আয়াদের ধাক্কা দিয়ে বের করে দেন সুপার। আমাদের ধাক্কা ধাক্কি করে। নেশাগ্রস্ত অবস্থায় সুপার রয়েছেন।” সুপারের অপসারণের দাবি তুলেছেন তিনি।