AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Alipurduar: সৎকারের আগেই বদলে গেল মৃতদেহ! পুলিশের ভূমিকায় অন্য গন্ধ পাচ্ছে বিজেপি

Alipurduar Case: প্লাস্টিকে মোড়ানো মৃতদের মুখ খুলতেই দেখা যায় সেটা আসলে এক অন্য ব্যক্তির। পরিবারের দাবি, এই দেহ কোনওভাবেই রবীন্দ্র দাসের নয়। এ নিয়ে শোরগোল শুরু হতেই চাপানউতোর শুরু হয়ে যায় হাসপাতালেও।

Alipurduar: সৎকারের আগেই বদলে গেল মৃতদেহ! পুলিশের ভূমিকায় অন্য গন্ধ পাচ্ছে বিজেপি
ব্যাপক চাঞ্চল্য এলাকায় Image Credit: TV 9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Oct 26, 2025 | 11:19 AM
Share

আলিপুরদুয়ার: এক্কেবার অবাক কাণ্ড আলিপুরদুয়ারে। মর্গ থেকেই বদলে গেল মৃতদেহ। চাঞ্চল্যকর ঘটনা আলিপুরদুয়ারের জেলা হাসপাতালে। ঘটনায় শোরগোল কুমারগ্রাম ব্লকের কামাখ্যগুড়ি এলাকায়। ওই এলাকাতেই বাড়ি রবীন্দ্র দাসের (৪৫)। থাকতেন কামাখ্যাগুড়ি সুপার মার্কেট এলাকায়। কাজ করতেন একটি হোটেলে। সম্প্রতি তাঁর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। শনিবার সকালে কামাক্ষ্যাগুড়ি আউট পোস্টের পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে পাঠায় । কিন্তু ময়নাতদন্তের পর তাঁর পরিবারের লোকজন যখন মৃতদেহ বাড়িতে নিয়ে আসে তখনই একেবারে হইচই শুরু হয়ে যায়। 

প্লাস্টিকে মোড়ানো মৃতদের মুখ খুলতেই দেখা যায় সেটা আসলে এক অন্য ব্যক্তির। পরিবারের দাবি, এই দেহ কোনওভাবেই রবীন্দ্র দাসের নয়। এ নিয়ে শোরগোল শুরু হতেই চাপানউতোর শুরু হয়ে যায় হাসপাতালেও। কিন্তু হাসপাতালের কর্মীরা রবীন্দ্র দাসের দেহ কাদের হাতে তুলে দিয়েছেন তা শুরুতে তাঁরা বলতে পারেননি বলে জানাচ্ছেন পরিবারের সদস্যরা। খবর পেয়ে আসে কুমারগ্রাম থানার পুলিশ। অভিযোগ, দ্রুত সেই দেহ সৎকারও করে দেওয়া হয়। পুলিশের অতিসক্রিয়তা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন মৃতের পরিবারের সদস্যরাও। একইসঙ্গে চাপানউতোর শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলেও। প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে বিরোধীরা। 

কেন এত দ্রুততার সঙ্গে পুরো ঘটনা খতিয়ে না দেখে পুলিশ ওই রহস্যজনক দেহটি দাহ করে দিল সেই প্রশ্ন তুলছে বিজেপি। অন্য় গন্ধ পাচ্ছেন কুমারগ্রামের বিজেপি বিধায়ক মনোজ ওরাও। তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, “ময়নাতদন্তের পর যখন দেহ এল দেখা এল এটা আসলে ওই ব্যক্তিরই নয়। ভাবতে পারছেন। পরিবারের লোকজন আপত্তি জানালে প্রশাসনের লোকজন বলে আধঘণ্টার মধ্যে দেহ দিয়ে দেব। কিন্তু গিয়ে দেখা যায় তা পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে।” সূত্রের খবর, রবীন্দ্র দাসের দেহ চলে গিয়েছিল ফালাকাটার এক স্বজনহারা পরিবারের কাছে। তাঁদের পরিবারের মৃত ব্যক্তির দেহ পাঠানো হয়েছিল তাঁদের কাছে। এখানেই পুলিশের পাশাপাশি মর্গের কর্মীদের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।