Alipurduar: ১৬ দিনে পড়ল আন্দোলন! চাকরির স্থায়ীকরণের দাবিতে অনড় করোনা যোদ্ধারা
Covid Warriors: সাংসদ জন বার্লা অবস্থানে বসে করোনা যোদ্ধাদের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁদের আশ্বাস দেন পাশে থাকার।
আলিপুরদুয়ার: এই নিয়ে একটানা ১৬ দিন। এখনও চলছে করোনা যোদ্ধাদের (Covid Warrior) অবস্থান বিক্ষোভ। পুজোর আগে থেকে চাকরি পুর্নবহালের দাবিতে অবস্থান-বিক্ষোভ চালাতে থাকে তাঁরা। পুজো শেষ হয়ে যাওয়ার পরও জারি রয়েছে তাঁদের আন্দোলন। এদিনের আন্দোলনে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি সাংসদ জন বার্লা।
চাকরি প্রার্থীদের আন্দোলন নিয়ে বিজেপি সাংসদ বলেন, “ওদের সঙ্গে কথা বললাম। করোনার সময় ওরা জীবন রেখে কাজ করছেন। আর এখন ওদের চাকরি নেই। ওদের জনানো হয়েছে মাত্র ১০ জনকে নেওয়া হবে। আর বাকিরা কী করবে? তাঁদের ভবিষ্যৎ কী? জেলাশাসক কোনও কথাই শুনছেন না। আমি কেন্দ্রকে বিষয়টি বলব। এরা প্রত্যেকদিন লড়াই করছে। তবুও রাজ্য সরকার শুনছে না। পুজোর মধ্যে ওরা বসে আছে। এতদিন মানুষের সেবা করার ফল কী পেল ওরা?”
এদিন, সাংসদ অবস্থানে বসে করোনা যোদ্ধাদের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁদের আশ্বাস দেন পাশে থাকার। অন্যদিকে, এক বিক্ষোভকারী জানান, “উনি আমাদের সঙ্গে কথা বললেন। দেখি এইবার ঠিক কী হয়।”
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে এই অবস্থান এক বিক্ষোভকারী জানিয়েছিলেন,”আলিপুরদুয়ার এর বিজেপি বিধায়করা আমাদের সঙ্গে দেখা করে পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন।” তিনি আরও বলেন, “আমাদের কেন ছাঁটাই করা হল তা বার বার জানতে চেয়েও আমরা জানতে পারিনি।সব জেলায় লোক নেওয়া হয়েছে।কিন্তু আলিপুরদুয়ার এ কেন নেওয়া হচ্ছে না বলে তিনি অভিযোগ করেন।
এই ব্যাপারে আলিপুরদুয়ারের এর বিজেপি বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল(Suman Kanjilal) বলেন,”কোভিড যোদ্ধারা এখানে আন্দোলন করছেন তাদের চাকুরী ফিরে পেতে।এটা উদ্বেগজনক। তাঁদের কর্মের অনিশ্চয়তা প্রশ্ন উঠছে।আমরা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক এর সঙ্গে দেখা করেছি।তিনি সদুত্তর দিতে পারেনি।এখনও কোভিড মুক্ত হয়নি আলিপুরদুয়ার। এখানে ১০ জন নিয়োগ করা হয়েছে।বাকীরা কি করবেন?এই বিষয়টি আমরা বিধানসভায় তুলব।আমরা আন্দোলন কারীদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাঁরা কোভিড আবহে কাজ করেছেন। ১০ জনকে রাখা হয়েছে। কোভিড যোদ্ধাদের কাজে লাগানো হয়েছে। তাঁদের বাদ দেওয়া হল। কোভিড লড়াই এখন ও শেষ হয়নি। সেই জায়গায় কর্মি ছাটাই কেন হল। অন্য জেলায় কোভিড যোদ্ধাদের বাদ দেওয়া হয়নি। আলিপুরদুয়ারে বাদ দেওয়া হয়েছে।”
চাকরিপ্রার্থীদের অবস্থান আজকের নয়। ২০১৪ সালে টেট পরীক্ষায় (TET Examination) উত্তীর্ণ হয়েছেন। কিন্তু, মেলেনি চাকরি। টানা ৭ বছর ধরে বেকারত্বের যন্ত্রণা কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে তাঁদের। অবশেষে রাজ্য শিক্ষা দফতরের প্রতিমন্ত্রী পরেশচন্দ্র অধিকারীর বাড়ির সামনে মেখলিগঞ্জে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি প্রার্থীরা। এদিন সকালে, মন্ত্রীর বাড়িতে তাঁরা একটি ডেপুটেশন দিতে যান। বিক্ষোভের ঘটনায় ১৭জন আন্দোলনকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে বঞ্চিত। কিছুদিন আগেও তাঁরা মন্ত্রী পরেশচন্দ্রের বাড়িতে ডেপুটেশন দিতে আসেন। কিন্তু তখন তিনি বাড়িতে নেই বলে বিক্ষোভকারীদের চলে যেতে বলা হয়। মন্ত্রী বাড়িতে রয়েছেন জেনেই ফের তাঁর বাড়ির সামনে জমায়েত করেন চাকরিপ্রার্থীরা। একটি স্মারকলিপি জমা দিতে যান। অভিযোগ, তখনই মন্ত্রীর বাড়ির সামনের নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁদের হঠিয়ে দেয়। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় পুলিশ। নামানো হয় র্যাফ।
বিক্ষোভকারীদের কথায়, ২০২০ সালে মুখ্যমন্ত্রী নবান্ন থেকে ঘোষণা করেছিলেন, ২০১৪ সালের কুড়ি হাজার টেট (TET Examination)পাশ প্রার্থীকে প্রথমে ১৬, ৫০০ জন এবং পরে বাকিদের দফায় দফায় নিয়োগ করবে রাজ্য সরকার। কিন্তু ১২,৫০০ জন নিয়োগের পর বাকিদের নিয়োগ করা হচ্ছে না।
আরও পড়ুন: Jalpaiguri: বেগুন ক্ষেত থেকে উদ্ধার হাতির দেহ, মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা