Shocking Video: মাথা হেঁট! কলেজে ঢুকে অধ্যাপককে ফেলে পেটালেন ডাক্তারবাবু
Professor Beaten in College: আলিপুরদুয়ারের বীরপাড়া কলেজে ঢুকে অধ্যাপককে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল এক বহিরাগতের বিরুদ্ধে। তাও আবার একেবারে অধ্যক্ষ মহাশয়ের ঘরের মধ্যেই। প্রহৃত অধ্যাপককে হাতের কনুই দিয়ে চেয়ে দেওয়ালের সঙ্গে ঠেসে দেওয়া হয়েছিল। গোটা তাণ্ডবের দৃশ্য ধরা পড়েছে অধ্যক্ষের ঘরে বসানো সিসিটিভি ক্যামেরায়।
বীরপাড়া: শিক্ষা ক্ষেত্রে একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগে শোরগোল গোটা রাজ্যে। এসবের মধ্যেই আরও এক মাথা হেঁট করে দেওয়ার মতো ঘটনা। আলিপুরদুয়ারের বীরপাড়া কলেজে ঢুকে অধ্যাপককে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল এক বহিরাগতের বিরুদ্ধে। তাও আবার একেবারে অধ্যক্ষ মহাশয়ের ঘরের মধ্যেই। প্রহৃত অধ্যাপককে হাতের কনুই দিয়ে চেয়ে দেওয়ালের সঙ্গে ঠেসে দেওয়া হয়েছিল। গোটা তাণ্ডবের দৃশ্য ধরা পড়েছে অধ্যক্ষের ঘরে বসানো সিসিটিভি ক্যামেরায়। সেই ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ ইতিমধ্যেই এসেছে টিভি নাইন বাংলার হাতে।
ঘটনাটি ঘটেছিল গতকাল দুপুরে। কলেজের ভিতরে সেই সময় পরীক্ষা চলছিল। তারই মধ্যে বহিরাগত এক ব্যক্তি কীভাবে কলেজ ক্যাম্পাসে, তাও আবার অধ্যক্ষের ঘরে ঢুকে, এমন তাণ্ডব চালাল, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বিভিন্ন মহলে। গতকালের ওই ঘটনার পর থেকে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন কলেজের অধ্যাপক ও অধ্যাপিকারা। বিষয়টি নিয়ে এখনও আইনি কোনও পদক্ষেপ করা না হলেও, অধ্যক্ষের কাছে লিখিত নালিশ জানিয়েছেন বীরপাড়া কলেজের অধ্যাপকরা। গতকালের ঘটনার প্রেক্ষিতে বুধবার দুপুরে বীরপাড়া কলেজে বৈঠকে বসেছে কর্তৃপক্ষ।
জানা যাচ্ছে, আলিপুরদুয়ারের বীরপাড়া কলেজে গতকাল ইন্দিরা গান্ধী জাতীয় মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা চলছিল। সেই পরীক্ষা চলাকালীনই এক অধ্যাপক ও এক অধ্যাপিকার মধ্যে বিবাদ হয়েছিল বলে খবর। সেখান থেকেই গোলমালের সূত্রপাত বলে খবর। এরপরই বিকেলে পরিস্থিতি আরও চরমে পৌঁছায়। বহিরাগত এক ব্যক্তি কলেজে অধ্যক্ষের ঘরে ঢুকে ওই অধ্যাপকের উপর চড়াও হন বলে অভিযোগ। প্রাথমিকভাবে অভিযোগ উঠে আসছে, যে বহিরাগত অধ্যক্ষের ঘরে ঢুকে মারধর করেছিলেন, তিনি মাথাভাঙা হাসপাতালের এক চিকিৎসক।
কিন্তু কলেজের গোলমালে আচমকা চিকিৎসকের উদয় হল কোথা থেকে? এখনও পর্যন্ত প্রাথমিকভাবে যা জানা যাচ্ছে, যে অধ্যাপিকার সঙ্গে আক্রান্ত অধ্যাপক বিবাদে জড়িয়েছিলেন, সেই অধ্যাপিকার স্বামী হলেন মাথাভাঙা হাসপাতালের এই চিকিৎসক। আক্রান্ত অধ্যাপকের দাবি, অধ্যাপিকা এক পরীক্ষার্থীর খাতা আটকে রেখেছিলেন। দীর্ঘক্ষণ খাতা আটকে রাখা হয়েছিল বলে দাবি। এরপর ওই আক্রান্ত অধ্যাপক সেই খাতা পরীক্ষার্থীকে দেন এবং পরে সেই পরীক্ষার খাতা অধ্যক্ষের কাছে জমা দেওয়া হয়। কেন ওই অধ্যাপিকাকে না জানিয়ে পরীক্ষার্থীর কাছে খাতা ফেরত দিয়ে দেওয়া হয়েছিল, সেই নিয়েই বিবাদ শুরু হয়। জানা যাচ্ছে, সেই বিষয়টি অধ্যাপিকা তাঁর স্বামীকে জানান এবং এরপরই বিকেলে এই তাণ্ডব ঘটে।
যদিও এই বিষয়টি নিয়ে এখনও পর্যন্ত ওই অধ্যাপিকা বা তাঁর চিকিৎসক স্বামীর কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। কলেজের অধ্যক্ষও বর্তমানে বৈঠকে রয়েছেন, ফলে তাঁরও কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও পর্যন্ত মেলেনি।