Alipurduar: ‘৩-৪ দিন কিচ্ছু খেতে পায়নি..’, বেডে শুয়েই স্বামীর মৃত্যু যন্ত্রণার কথা শোনাচ্ছেন কালচিনির চা শ্রমিক স্ত্রী

Alipurduar: আট বছর বন্ধ ছিল কালচিনির মধু চা বাগান। সেখানেই কাজ করতেন ধানি। কিন্তু, চা বাগান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চরম দুর্দশার মধ্যে কাটতে থাকে দিন। ঠিক মতো করে দু’বেলা খাবারও জোটেনি। বাড়তে থাকে শারীরিক অসুস্থতা।

Alipurduar: ‘৩-৪ দিন কিচ্ছু খেতে পায়নি..’, বেডে শুয়েই স্বামীর মৃত্যু যন্ত্রণার কথা শোনাচ্ছেন কালচিনির চা শ্রমিক স্ত্রী
লতাবাড়ি গ্রামীন হাসপাতালে ভর্তি আশা রানি ওরাওImage Credit source: TV-9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 07, 2024 | 9:11 PM

আলিপুরদুয়ার: কখনও খুলছে, কখনও বন্ধ হচ্ছে।  এখনও একটানা বন্ধ থাকছে মাসের পর মাস। বেহাল দশা উত্তরের একের পর এক চা বাগানের। কাজ না থাকায় কার্যত পরিবার নিয়ে পথে বসার জোগাড় হয়েছে হাজার হাজার চা শ্রমিকদের। এরইমধ্যে কিছুদিন আগেই বন্ধ হয়ে যাওয়া চা বাগানের শ্রমিকদের দেড় হাজার টাকা অনুদান দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও এই সামান্য টাকায় আদৌও কোনও সুরাহা হবে কিনা সেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল। এরইমধ্যে আলিপুরদুয়ারের কালচিনির এক চা শ্রমিকের অনাহারে মৃত্যুর খবর নতুন করে শোরগোল তৈরি হয়ে হয়েছে উত্তরবঙ্গের প্রশাসনিক মহলে। মৃত ধানি ওরাওয়ের স্ত্রী আশা রানি ওরাও-ও অসুস্থ। তিনিও ভর্তি হাসপাতালে।  

আট বছর বন্ধ ছিল কালচিনির মধু চা বাগান। সেখানেই কাজ করতেন ধানি। কিন্তু, চা বাগান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চরম দুর্দশার মধ্যে কাটতে থাকে দিন। ঠিক মতো করে দু’বেলা খাবারও জোটেনি। বাড়তে থাকে শারীরিক অসুস্থতা। এদিকে ২০২২ সালের মার্চে ফের খোলে চা বাগানটি। সূত্রের খবর, শারীরিক অসুস্থতার কারণে আর সেখানে কাজ পাননি ধানি। এদিকে পরিবারের আর্থিক অবস্থা ততদিনে আরও খারাপ হয়ে গিয়েছে। কোনওরকমে পলিথিনিরচাপিয়ে ভাঙাচোরা বাড়িতে দিন কাটাচ্ছিল ধানির পরিবার। কিন্তু, আরও বড় যে বিপদ অপেক্ষা করছিল তা কে জানত! ২ ফেব্রুয়ারি মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়েন ধানি। 

শিলিগুড়িতে সাংবাদিক সম্মেলন করে তাঁর মৃত্যুর খবর দেয় পশ্চিমবঙ্গ চা মজদুর সমিতি। দেওয়া হয় বিবৃতি। সেখানেই স্পট বলা হয় অনাহারের কারণেই মৃত্যু হয়েছে ধানির। এ খবর সামনে আসতেই শোরগোল পড়ে যায় প্রশাসনিক মহলে। কালচিনির লতাবাড়ি গ্রামীন হাসপাতালে ভর্তি ধানি ওরাও এর স্ত্রী আশা রানী ওরাও। স্বামী হারিয়ে শোকে পাথর তিনিও। বলছেন, ও তো এমনিতে অসুস্থ ছিল। সে কারণেই চা বাগানে কাজও পায়নি। মৃত্যুর আগে তারপর তিন-চারদিন না খেয়ে ছিল। বাড়িতে খাবার মতো কিছুই ছিল না। পাড়া-প্রতিবেশীরা কিছু দিলে তা খেতে পেতাম। আধার কার্ড না থাকায় রেশনও পেতাম না। ভরসা বলতে ওই প্রতিবেশীরাই। 

ঘটনায় সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন বিজেপি বিধায়ক মনোজ টিজ্ঞা। বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী তো ঘন ঘন উত্তরবঙ্গ সফরে যাচ্ছেন। কিন্তু, চা বাগানে যাচ্ছেন না। শ্রমিকরা সঙ্কটে দিন কাটাচ্ছেন। চা বাগানের ভোট পেতে চাইছেন মমতা। কিন্তু, চা বাগানের জন্য আন্তরিক নন।”