Leopard Attack: পাঁচিল থেকে লাফ বাড়ির কর্তার উপর, তারপরই নজর গেল গিন্নির দিকে… প্রাণপণে ছাড়ানোর চেষ্টা, গলা শুকিয়ে কাঠ
Alipurduar: পুলিশ, বনকর্মী সকলেই আসেন খবর পেয়ে। দু'জনকে শীলবাড়িহাট স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। সাতজন ভর্তি আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে।
আলিপুরদুয়ার: প্রকাশ্য দিবালোকে ভয়ঙ্কর কাণ্ড। লোকালয়ে ঢুকে পড়ল চিতাবাঘ। শুধু লোকালয়ে ঢুকে পড়াই নয়, একেবারে মানুষের উপর হামলে পড়ে সেই চিতাবাঘটি। আচড়ে খামচে এক করে। রক্তাক্ত হন আটজন গ্রামবাসী। চিতাবাঘকে ফাঁদে ফেলতে এসে জখম হতে হয় এক বনকর্মীকেও। রবিবার আলিপুরদুয়ারের শীলবাড়িহাটে এই ঘটনা ঘটে। জখমদের শীলবাড়িহাট ও আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, জলদাপাড়া জঙ্গল থেকে চিতাবাঘটি বেরিয়ে এসেছে।
শীলবাড়িহাটের বাসিন্দাদের কথায়, এর গ্রামবাসীর বাড়ির পিছনে গর্ত ছিল। সেখানেই ঘাপটি মেরে বসেছিল চিতাবাঘটি। সমীর ওরাওঁ নামে এক যুবকের কথায়, “ঘিরে ফেলা হয়েছিল চিতাবাঘটাকে। তার মধ্যে থেকেও ফাঁক খুঁজে বেরিয়ে যায়। আমরা সকলে বাড়িতেই ছিলাম। হইহই শুনে ঘর থেকে বেরিয়ে আসি। হঠাৎ দেখি পাঁচিলের উপর থেকে ঝাঁপ মেঝেতে। আমার দাদার উপর গিয়ে পড়ে। বৌদির উপরও ঝাঁপায়। বনদফতর ঘেরাওয়ের চেষ্টা করছিল। কিন্তু চিতাবাঘটাও তাল খুঁজে ঠিক পালায়।”
স্থানীয় আরেক বাসিন্দা নিখিল পোদ্দার বলেন, পুলিশ, বনকর্মী সকলেই আসেন খবর পেয়ে। দু’জনকে শীলবাড়িহাট স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। সাতজন ভর্তি আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে। আহতদের দেখতে রবিবার রাতে আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে যান তৃণমূলের জেলা সভাপতি প্রকাশচিক বরাইক। তিনি আহতদের সঙ্গে কথা বলেন। কারও চিকিৎসার কোনও ত্রুটি হবে না বলে জানান তিনি। এদিকে চিতাবাঘটি এখনও এলাকা ছাড়েনি। একটি গর্তে লুকিয়ে আছে বলে জানা গিয়েছে। ওই এলাকা জাল দিয়ে ঘেরা। তারপরও আতঙ্কে চোখের পাতা এক করতে পারছেন না গ্রামবাসী।