AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Bhangar: ভুল বুঝিয়ে টিপ সই, বার্ধক্য ভাতা দেওয়ার নাম করে বৃদ্ধার জমি লিখিয়ে নেওয়ার চেষ্টা উপপ্রধানের

Bhangar: বার্ধক্য ভাতা দেওয়ার নাম করে ওই বৃদ্ধাকে ভাঙড় বিএলআরও অফিসে নিয়ে যান উপপ্রধান তথা তৃণমূল নেতা নিত্যগোপাল মণ্ডল। ঘটনার কথা জানতে পারে ছুটে আসেন বৃদ্ধার ভাইপো।

Bhangar: ভুল বুঝিয়ে টিপ সই, বার্ধক্য ভাতা দেওয়ার নাম করে বৃদ্ধার জমি লিখিয়ে নেওয়ার চেষ্টা উপপ্রধানের
ছবি - ভুল বুঝিয়ে জমি হাতানোর চেষ্টা
| Edited By: | Updated on: May 26, 2022 | 6:49 PM
Share

ভাঙড়: বার্ধক্য ভাতার টাকা (old age allowance)পাইয়ে দেওয়ার নাম করে জমি লিখিয়ে নেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ। কাঠগড়ায় পঞ্চায়েতের উপপ্রধান। এমনই চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে ভাঙড়ের (Bhangar) বামনঘাটায়। অভিযোগের তীর বামনঘাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান নিত্যগোপাল মণ্ডলের বিরুদ্ধে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, বামনঘাটা গ্রামের উর্মিলা নস্করের বিয়ে হয় ভাঙড় থানার মাধবপুরে। স্বামী মারা যাওয়ার পর এক ছেলেকে নিয়ে কোনওরকমে কষ্ট করে সংসার চলছিল বৃদ্ধার। অভিযোগ, বৃদ্ধার দুরাবস্থার সুযোগ নিতে ফন্দি আঁটেন বামনঘাটার উপ প্রধান। 

বার্ধক্য ভাতা দেওয়ার নাম করে ওই বৃদ্ধাকে ভাঙড় বিএলআরও অফিসে নিয়ে যান উপপ্রধান তথা তৃণমূল নেতা নিত্যগোপাল মণ্ডল। অভিযোগ সেখানেই বার্ধক্য ভাতা দেওয়ার নাম করে বৃদ্ধার পৈত্রিক সম্পত্তি লিখিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূল নেতার দাবি, “অর্থের বদলে আমার কাছে জমি বিক্রি করতে চেয়েছিলেন ওই বৃদ্ধা। উনি সম্পর্কে আমার দিদি হন। আমি সেই মত আইন অনুযায়ী জমি লেখাতে এসেছিলাম। কিন্ত হঠাৎই বৃদ্ধার ভাইপোরা এসে আমাকে মারধর করে। আমি পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছি। পুলিশ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে”।

এ প্রসঙ্গে উর্মিলা নস্করের দাবি, ”আমাকে বলে তোমাকেও বিধবা ভাতা দেব। আমাকে সমস্ত ব্যবস্থা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয় নিত্যগোপাল। এদিকে বয়সের কারণে আমি তো ঠিকঠাক হাঁটতে পারি না। তাই আমাকে গাড়ি করে নিয়ে আসে। যখন নিয়ে আসে আমি জিজ্ঞেস করি কোথায় যাচ্ছি আমরা? এসে দেখি একেবারে ভাঙরে বিএলআরও অফিসে নিয়ে এসেছে। এখানে নিয়ে এসে টিপ সই নিয়ে নিচ্ছিল। জোর করে জমি লিখিয়ে নিচ্ছিল”। ঘটনা প্রসঙ্গে বৃদ্ধার ভাইপো জয়দেব মন্ডল বলেন, ”বামনঘাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান আমার পিসিকে বার্ধক্য ভাতার টাকা দেবে বলে তুলে নিয়ে আসে। জোর করে জমি লিখিয়ে নিচ্ছিল। আমি এসে বাধা দিয়েছি। পিসিকে নিয়ে ভাঙড় থানায় যাই। উপপ্রধানের পদাধিকার বলে গ্রামের আরও অনেক মানুষের সঙ্গেও উনি এটা করেছেন। আমরা এই অন্যায়ের বিচার চাই”।