AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Anubrata Mondal: তথ্য প্রমাণের অভাব, বেকসুর খালাস অনুব্রত মণ্ডল

Anubrata Mondal: মঙ্গলকোটে রাজনৈতিক হিংসার মামলায় কোর্টে স্বস্তি অনুব্রতর। 

Anubrata Mondal: তথ্য প্রমাণের অভাব, বেকসুর খালাস অনুব্রত মণ্ডল
অনুব্রত মণ্ডলকে বেকসুর খালাস
| Edited By: | Updated on: Sep 09, 2022 | 11:53 AM
Share

কলকাতা: তথ্য প্রমাণের অভাব। বেকসুর খালাস করা হল অনুব্রত মণ্ডলকে। মঙ্গলকোটে রাজনৈতিক হিংসার মামলায় কোর্টে স্বস্তি অনুব্রতর। তথ্য প্রমাণের অভাবে খালাস কেষ্ট সহ আরও ১৫ জন। এমপিএমএলএ আদালতের বাইরে দাঁড়িয়ে অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবী সৌভিক বাসু ঠাকুর বললেন, ‘সত্যমেব জয়তে…সত্য়ের জয় হচ্ছে। আমি ক্লায়েন্ট বেকসুর খালাস ঘোষণা করেছে আদালত। ওঁর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ ছিল, মঙ্গলকোটে মল্লিকপুর গ্রামে রাজনৈতিক হিংসায় সরাসরি জড়িত ছিলেন। আসলে ওঁর ভাবমূর্তিটা নষ্ট করা চেষ্টা হয়েছিল। এই মামলা থেকে তাঁকে মুক্তি দেওয়া হল।’ সাক্ষীরা সাক্ষ্য দিয়েছিলেন, তথ্য প্রমাণ আদালতে পেশ করা হয়েছিল, সব কিছুর ভিত্তিতে এদিন এমপিএমএলএ আদালত অনুব্রত-সহ ১৫ জনকে বেকসুর খালাস করে দেয়।

এদিন কাকতালীয়ভাবে সকাল থেকেই অনুব্রত মণ্ডলের মধ্যে আত্মবিশ্বাস ধরা পড়ছিল। “জেলে কেউ সারাজীবন থাকে না, ছাড়া পায়। নিশ্চই ছাড়া পাব।” আসানসোল থেকে কলকাতায় আসার সময় আত্মবিশ্বাসী অনুব্রত মণ্ডল এমনটাই বলেছিলেন। তার আগে সাতসকালেই আসানসোল জেল থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অনুব্রত বলেন, “দিদি পাশে আছে, এটাই এনাফ!” অনুব্রত মণ্ডল নিজের পক্ষে বেশ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে এদিন সাংবাদিকদের কাছে সওয়াল করেছিলেন।  আদালত তথ্য প্রমাণের অভাবেই তাঁকে বেকসুর খালাস করল এই মামলা।

মামলার প্রেক্ষাপট এক যুুগ আগে মঙ্গলকোট ও কেতুগ্রামের রাজনৈতিক টালমাটাল পরিস্থিতির মাঝেই একটি রাজনৈতিক হিংসার ঘটনা ঘটে। গ্রামে বোমাবাজি হয়। সেসময় কেবুলাল নামে এক সিপিএম কর্মীর হাত উড়ে যায়। তিনি সেদিন দলীয় কার্যালয় থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। সেই বোমাবাজির ঘটনায় মূল অভিযুক্তের তালিকায় ছিল অনুব্রত মণ্ডলের নাম। এছাড়াও শেখ শাহনাওয়াজ,তাঁর ভাই কাজল শেখ, আজাদ মুন্সি( যিনি বর্তমানে মৃত) ও অনুব্রত ঘনিষ্ঠ কেরিম খান-সহ ১৫ জনের নামে মঙ্গলকোট থানায় অভিযোগ দায়ের করে সিপিআইএম। প্রথমে এই মামলা কাটোয়া আদালতে বিচারাধীন ছিল। পরে এমপি এমএলএ আদালতে পাঠানো হয়। গত ২৫ আগস্ট বিধাননগর আদালতে অনুব্রতর প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট ইস্যু হয়। এরপর ১ সেপ্টেম্বর আদালতে হাজিরা দেন অনুব্রত সহ মোট ১৫ জন অভিযুক্ত। তথ্য প্রমাণ যাচাইয়ের জন্য এদিন ফের হাজিরা দিতে বলা হয় তাঁকে। সব কিছু খতিয়ে দেখে উপযুক্ত তথ্য প্রমাণের অভাবে অনুব্রতকে বেকসুর খালাস করে আদালত।