Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Death: নেশার ‘চাট’ নিতে সন্তর্পণে দোকানে প্রবেশ, মুদিখানা খুলতেই যুবকের মৃতদেহ পেলেন মালিক!

Mystery Death: মৃত তুফানের বাবা হারাধন দাসের দাবি, কারও প্ররোচনায় নেশা করার জন্য ছেলে হয়ত বিড়ি, চানাচুর ইত্যাদি বার করতে ওই দোকানে ঢুকেছিল।

Death: নেশার 'চাট' নিতে সন্তর্পণে দোকানে প্রবেশ, মুদিখানা খুলতেই যুবকের মৃতদেহ পেলেন মালিক!
নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 07, 2021 | 6:30 PM

পূর্ব বর্ধমান: স্থানীয়দের কাছে খবর পেয়েছিলেন তাঁর দোকানে চুরি হয়েছে। সকাল সকাল ছুটে এসে তড়িঘড়ি দোকান খুলেছিলেন মুদিখানার মালিক। তার পর যা দেখলেন তাতে ভিরমি খাওয়ার জোগাড়। দেখেন, দোকানের ভিতর সংজ্ঞাহীন অবস্থায় পড়ে রয়েছে এক যুবক। দেহে তার প্রাণই নেই! দোকানদারের চিলচিৎকারে তখন জড়ো হয়েছেন স্থানীয়রা। দোকানের ভিতর থেকে অপরিচিত যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য পূর্ব বর্ধমানের ভাতারের দাসপাড়ায়।

ভাতারের ভাটাকুল গ্রামে দাসপাড়া এলাকা। এখানেই একটি মুদিখানার দোকান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন জনৈক নির্মল কুণ্ডু। স্থানীয়দের কাছে শোনেন তাঁর দোকানে নাকি চুরি হয়েছে। তাই রবিবার সাতসকালে নির্মল ছুটে মুদিখানা দোকানে। কিন্তু দোকান খুলে চক্ষুস্থির নির্মলের। ও কী! দেখেন দোকানের দরজার পাশে পড়ে রয়েছে একটি যুবকের মৃতদেহ! সবাইকে ডাকেন নির্মলবাবু। তড়িঘড়ি খবর দেন ভাতার থানায়। পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে। কিন্তু কীভাবে সে ঢুকল এবং কেমন করেই বা তার মৃত্যু হল, তাই নিয়েই উঠছে প্রশ্ন।

পরে ওই মৃতের পরিচয় জানা গিয়েছে। তাঁর নাম তুফান দাস, বয়স ২৬- এর কোঠায়। মৃত তুফানের বাবা হারাধন দাসের দাবি, কারও প্ররোচনায় নেশা করার জন্য ছেলে হয়ত বিড়ি, চানাচুর ইত্যাদি বার করতে ওই দোকানে ঢুকেছিল। স্থানীয়দের ধারনা, সে সময় দোকানে খোলা থাকা বৈদ্যুতিক তারের সংস্পর্শে তুফানের মৃত্যু হয়েছে।

দোকান মালিক নির্মল কুণ্ডু জানান, প্রতিদিনের মতো শনিবার রাত ৯ টা নাগাদ দোকান বন্ধ করে তিনি বাড়ি চলে যান। সকালে খবর পান তাঁর দোকানে চুরি হয়েছে। এসে দেখেন দোকানের খড়ের চালের ছাউনির অংশ খোলা। তড়িঘড়ি দোকান খোলেন। তার পর দেখেন দোকানের সামনে মুদিখানা সামগ্রী ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে। তার একটু দূরে দাসপাড়ার বাসিন্দা তুফান দাসের মৃতদেহ পড়ে! তবে কী কারণে তুফানের মৃত্যু হয়েছে তা তিনি বুঝে উঠতে পারছেন না বলে দাবি করেছেন।

জানা গিয়েছে, তুফান পেশায় শ্রমিকের কাজ করতেন। মন্তেশ্বরে মণ্ডল গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে থাকতেন তিনি। মাস দু’য়েক আগে ভাটাকুল নিজের গ্রামে এসেছেন। শনিবার রাতে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় বাড়িতে ঢোকেন। স্ত্রীর সঙ্গে ঝামেলা হলে অভিমান করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। পরিবারের লোকজন রাতভর খোঁজাখুঁজি করেও তাঁর সন্ধান পাননি বলে দাবি। এর পর রবিবার সকালে পরিবারের লোকজন জানতে পারে মুদিখানা দোকানের ভিতর থেকে তুফানের মৃতদেহ উদ্ধার করেন তাঁরা। বাড়িতে বাবা-মা, স্ত্রী ও দুই সন্তান রয়েছে তুফানের। এখন কী কারণে তাঁর মৃত্যু হল, তাঁর সঙ্গে আর কে কে ছিল, তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

আরও পড়ুন: TMC-ISF Clash: মুড়িমুড়কির মতো ইটবৃষ্টি, ভাঙড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাঁদানে গ্যাস ছুড়ল পুলিশ!