Mother-Son: মা-ছেলের কাণ্ড দেখে চোখ কপালে উঠল বাবার, পাড়ার লোক বিশ্বাসই করতে পারছেন না…
Bankura: বিষ্ণুপুর শহরের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বিশ্বাসপাড়া এলাকার বাসিন্দা তারাপদ অধিকারী। তিনি বলেন, "দুপুর ১২টা সাড়ে ১২টা নাগাদ পুজো করে ঘরে ফিরেছি। বাড়িতে কারও সাড়াশব্দ নেই। দরজা খুলে ঘরে ঢুকেই দেখি বউ ঝুলছে। আমি তো আঁতকে উঠেছি। এরপর দেখি ছেলেও ঝুলছে।"
বাঁকুড়া: পুরোহিতের কাজ করেন। রবিবার সকালে পুজো করতে বেরিয়েছিলেন বিষ্ণুপুরের তারাপদ অধিকারী। বেরোনোর আগে ছেলের কথায় খটকা লেগেছিল বটে। তবে এমন কাণ্ড ঘটবে ভাবতেই পারছেন না। বাড়ি ফিরে দেখেন ঘরের ভিতর স্ত্রীর ঝুলন্ত দেহ। এরপর ছাদে উঠতে গিয়ে দেখেন ঝুলছে ছেলেও। মা-ছেলের ভয়ানক পরিণতিতে হতবাক পাড়ার লোকজনও। বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর শহরের বিশ্বাসপাড়ায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে এই ঘটনায়। খবর দেওয়া হয় বিষ্ণুপুর থানা। পুলিশ এসে দেহ দু’টি উদ্ধার করে নিয়ে যায়। মানসিক অবসাদের কারণেই এই ঘটনা বলে মনে করছে পুলিশ। নিহতদের নাম রীতা অধিকারী (৫০), সুমন অধিকারী (২৩)।
বিষ্ণুপুর শহরের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বিশ্বাসপাড়া এলাকার বাসিন্দা তারাপদ অধিকারী। তিনি বলেন, “দুপুর ১২টা সাড়ে ১২টা নাগাদ পুজো করে ঘরে ফিরেছি। বাড়িতে কারও সাড়াশব্দ নেই। দরজা খুলে ঘরে ঢুকেই দেখি বউ ঝুলছে। আমি তো আঁতকে উঠেছি। ঘর থেকে বেরিয়ে এসে দেখছি ছেলের জুতো রাখা। ওকে নাম ধরে ডাকলাম, সাড়া নেই। এরপর আমি উপরে উঠতে যাব দেখি ছেলেও ঝুলছে। কেন এরকম করল বুঝতেই পারছি না। আজ আমার সকাল থেকেই একটা খটকা লাগছিল। আমাকে ছেলে বলছে আমি যে পুজো করি সেগুলি তুমি সব করে দেবে। তাতে ওর মা আবার সায়ও দিল। ছেলে বলল, আমাদের কারও শরীর ভাল নেই।”
পাড়ার লোকজন বলছেন, কী করে এই ঘটনা বোঝাই গেল না। তবে মানসিক অবসাদ ছিল বলে এক বাক্যে মানছেন সকলেই। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছন কাউন্সিলর শঙ্খজিৎ রায়। তাঁর কথায়, “বেলা ১টা ২০ নাগাদ খবর পাই বাবলুবাবুর ছেলে, বউ আত্মঘাতী হয়েছেন। আমি জানতাম দু’জন দীর্ঘদিন ধরে মানসিক রোগী ছিলেন। চিকিৎসাধীনও ছিলেন। পরে এসে শুনি আজ আত্মহত্যা করেছেন।”