
বাঁকুড়া: ভোটের দামামা বাজতেই শাসকদলের অস্বস্তি বাড়িয়েই চলেছে কোন্দল কাঁটা। অঞ্চল সভাপতির নাম প্রকাশ্যে আসতেই তৃণমূল কর্মীদের একাংশের ক্ষোভ আছড়ে পড়ল গ্রামে। টাকার বিনিময়ে পদ বিক্রি করা হয়েছে এই অভিযোগ তুলে ক্ষোভে ফেটে পড়লেন এলাকার তৃণমূল কর্মীরা। অবিলম্বে অপসারিত অঞ্চল সভাপতিকে পুনরায় ওই পদে বসানোর দাবিতে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় তৃনমূল কর্মীরা। প্রয়োজনে বিষয়টি নিয়ে তাঁরা দলের রাজ্য নেতৃত্বের কাছে যাওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন। বিষয়টিকে তেমন আমল দিতে নারাজ নব নির্বাচিত অঞ্চল সভাপতি। তবে পাল্টা কটাক্ষ করতে ছাড়ছে না তৃণমূল কংগ্রেস। বিজেপির দাবি, গোটা দলটাই তো দুর্নীতিতে যুক্ত। দুর্নীতির টাকার ভাগ বাটোয়ারা নিয়েই এখন তৃণমূলের অন্দরে এই দ্বন্দ্ব।
এদিকে বিধানসভা নির্বাচনের আগে সম্প্রতি তৃণমূলের বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলার বিভিন্ন অঞ্চলে অঞ্চল সভাপতি পদে ব্যপক রদবদল করা হয়েছে। বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাটি ব্লকের লছমনপুর অঞ্চলে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি পদ থেকে দিলীপ মণ্ডলকে সরিয়ে ওই পদে বসানো হয় ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান সভাকর মণ্ডলকে। এতেই ক্ষোভের সঞ্চার এলাকার তৃণমূল কর্মীদের একাংশের মধ্যে। বিক্ষুব্ধ তৃণমূল কর্মী গনেশ কুন্ডু, কল্যাণ প্রসাদ নায়েকদের দাবি পঞ্চায়েত প্রধান থাকাকালীন সভাকর মণ্ডল তৎকালীন অঞ্চল সভাপতির সঙ্গে যোগসাজস করে ব্যপক দুর্নীতি করেছেন। দলের কর্মীদের সামান্য সম্মানটুকুও দেননি।
টাকার বিনিময়ে অঞ্চল সভাপতি পদ বিক্রি করা হয়েছে এই অভিযোগ তুলে স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা বেলাপাড়া গ্রামে প্রবল বিক্ষোভও দেখান। তাঁদের দাবি অবিলম্বে অঞ্চল সভাপতি বদলের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা না হলে সেক্ষেত্রে আগামীদিনে তাঁরা রাজ্য নেতৃত্বের দ্বারস্থ হবেন। নব নির্বাচিত অঞ্চল সভাপতি তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁর পাল্টা দাবি নিজেদের স্বার্থ ক্ষুণ্ণ হওয়ার কারণেই তৃনমূলের ওই অংশ বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন। অন্যদিকে তীব্র কটাক্ষবাণ শানিয়েছেন বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউরী। তাঁর সাফ কথা, তৃণমূলের এই কোন্দল আসলে দুর্নীতির টাকার ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে দ্বন্দ্বেরই ফসল।