Bankura TMC Leader: ছোট-বড়-মাঝারি নেতাদের চাই বাড়তি নিরাপত্তা, মাওবাদী আনাগোনা বাড়তেই ‘ভয়ে কাঁটা’ শাসকদল
Bankura: সূত্রের খবর, মাওবাদী নেতা আকাশ ও অজয় জঙ্গলমহলে লুকিয়ে থেকে নিজেদের সংগঠন বৃদ্ধির চেষ্টা চালাচ্ছে।
বাঁকুড়া: সাম্প্রতিক বাঁকুড়া সহ জঙ্গলমহলের জেলাগুলিতে বাড়ছে মাওবাদীদের আনাগোনা। গোয়েন্দা সূত্রে, এমন খবর পাওয়ার পরই জঙ্গলমহলে শাসকদলের ছোট,বড়, মাঝারি নেতাদের মধ্যে নিজেদের নিরাপত্তা বৃদ্ধির আবেদন জানানোর হিড়িক শুরু হয়েছে। জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যে নিরাপত্তারক্ষী চেয়ে বাঁকুড়ার পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত আবেদন জানিয়েছেন রানিবাঁধ ব্লকের পাঁচ তৃণমূল নেতা। এই ঘটনা জঙ্গলমহলে মাওবাদী সক্রিয়তা বৃদ্ধির খবরেই সিলমোহর দিল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এদিকে, গোটা বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। গোটা ঘটনায় শাসক দলকেই একহাত নিয়েছেন বিরোধী দলগুলি।
জঙ্গলমহলের জেলাগুলিতে সাম্প্রতিক কালে মাওবাদী গতিবিধি বৃদ্ধি পেয়েছে। সূত্রের খবর, মাওবাদী নেতা আকাশ ও অজয় জঙ্গলমহলে লুকিয়ে থেকে নিজেদের সংগঠন বৃদ্ধির চেষ্টা চালাচ্ছে। কয়েকদিন আগে পর্যন্ত জঙ্গলমহলের বিভিন্ন জায়গায় মাওবাদী নামাঙ্কিত পোস্টার উদ্ধার হয়েছে, বেলপাহাড়িতে ল্যান্ডমাইন উদ্ধার ও মাওবাদীদের ডাকা ৮ এপ্রিলের বনধের ভালো সাড়া, সমস্থটাই মিলিয়ে জঙ্গলমহল জুড়ে ফের চেপে বসছে মাওবাদী আতঙ্ক।
এদিকে,মানুষের মনে আতঙ্ক ফের চেপে বসলেও জঙ্গলমহলে মাওবাদীদের উপস্থিতি কোনও ভাবেই স্বীকার করতে চায়নি রাজ্যের শাসক দল। তা সে পোস্টার উদ্ধারই হোক বা বনধের প্রভাব, সব কিছুই বিরোধীদের কারসাজি বলে উল্লেখ করে এসেছে রাজ্যের শাসক দল।
কিন্তু এবার মাওবাদীদের গতিবিধি বৃদ্ধির খবরে সিলমোহর দিল রানিবাঁধ ব্লকের খোদ শাসক দলের ছোট, বড় ও মাঝারি নেতাদের একাংশ। ইতিমধ্যেই রানিবাঁধের পাঁচ তৃণমূল নেতা নিজেদের ব্যাক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী নিয়োগের জন্য জেলা পুলিশ সুপারের কাছে আবেদন জানিয়েছেন বলে খবর। বাঁকুড়া জেলা পরিষদের সদস্য চিত্ত মাহাতো এতদিন একজন ব্যাক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী পেতেন। তিনি তাঁর নিরাপত্তারক্ষীর সংখ্যা বৃদ্ধির লিখিত আবেদন জানিয়েছেন বলে সূত্রের খবর।
যদিও, জেলা পুলিশ এখনও পর্যন্ত সেই আবেদন পাওয়ার কথা স্বীকার করেনি। এদিকে শাসক দলের নেতাদের এই নিরাপত্তারক্ষী নিয়োগের আবেদন নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিরোধী বিজেপি। বিজেপির দাবি জঙ্গলমহলে শাসক দলের নেতারা পাহাড় প্রমাণ দুর্নীতি করেছে। সে কারণেই তাঁরা এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছে। তৃণমূলের জেলা নেতারা বিষয়টিকে আমল দিতে নারাজ। তাঁদের বক্তব্য মানুষই তাঁদের নিরাপত্তা দেবে।