Bangla Bandh: রাত পোহালেই বাংলা বনধ, বড় প্রভাবের আশঙ্কা জঙ্গলমহলে
Bangla Bandh: বুধবার ১২ ঘণ্টা বাংলা বনধের সমর্থনে বাঁকুড়ায় পথে নামতে দেখা গেল আদিবাসী ফোরামের সদস্যদের। এদিন বাঁকুড়ার রানী বাঁধ-সহ জঙ্গলমহলের বিভিন্ন প্রান্তে হল বাইক মিছিল।
বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া: রাত পোহালেই বাংলা বনধ (Bangla Bandh)। কুড়মিদের আন্দোলনের (Kurmi Protest) কাছে রাজ্য সরকার নতি স্বীকার করে সিআরআই রিপোর্টে বদল ঘটাতে পারে। এমন আশঙ্কা থেকে এবার আদিবাসীরা (Adivasi) রাজ্য সরকারকে পাল্টা চাপে রাখতে চাইছে। ডাক দেওয়া হয়েছে বনধের। আশঙ্কা করা হচ্ছে আদিবাসী তকমা পেয়ে যেতে পারে অ-আদিবাসীরাও। সঙ্গে রয়েছে আরও বেশ কিছু দাবি-দাওয়া। এরইমধ্যে ২৫টি আদিবাসী সংগঠনের সম্মিলিত মঞ্চ ইউনাইটেড ফোরাম অফ অল আদিবাসী অর্গানাইজেশনের তরফে বুধবার ১২ ঘণ্টার বাংলা বনধের ডাক দেওয়া হয়েছে। এদিন দিনভর যার প্রস্তুতি চলল জঙ্গলমহলে।
সকাল ৬ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত বুধবার চলবে বাংলা বনধ। সর্বাধিক প্রভাব পড়তে পারে বাঁকুড়া-সহ জঙ্গলমহলের জেলাগুলিতে। এছাড়াও বীরভূম, হুগলি, নদিয়া এবং উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলায় প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। তবে বনধে ছাড় দেওয়া হয়েছে রেল পরিষেবাকে। এ ছাড়াও দমকল, দুধের গাড়ি, অ্যাম্বুলেন্স সহ বিভিন্ন জরুরি পরিষেবাকে বনধের আওতার বাইরে রাখা হয়েছে।
বড় প্রভাব পড়তে চলেছে জঙ্গলমহলে
বুধবার ১২ ঘণ্টা বাংলা বনধের সমর্থনে বাঁকুড়ায় পথে নামতে দেখা গেল আদিবাসী ফোরামের সদস্যদের। এদিন বাঁকুড়ার রানিবাঁধ-সহ জঙ্গলমহলের বিভিন্ন প্রান্তে বাইক মিছিল করে জঙ্গলমহলের মানুষকে এই বনধে সামিল হওয়ার আহ্বান জানান ফোরামের কর্মীরা। যদিও ফোরামের দাবি, রেল পরিষেবা এই বনধের আওতার বাইরে থাকলেও সড়ক পরিবহণ, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান, দোকান বাজার বন্ধ থাকবে। এরপরও দাবি পূরণ না হলে আগামীদিনে আরও বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে ফোরামের নেতৃত্বরা।
বাংলা বনধের চূড়ান্ত প্রস্তুতি শুরু করে দিল পুরুলিয়ার আদিবাসী সংগঠনগুলিও। এদিন দিনভর দেখতে পাওয়া গেল সেই ছবিও। বনধ সফল করার বার্তা নিয়ে এদিন সকাল থেকেই পুরুলিয়া শহরে প্রচার শুরু করে আদিবাসী সংগঠনের সদস্যরা। হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধেও। পুরুলিয়া, বাঁকুড়া ছাড়াও বড় প্রভাব পড়তে পারে পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামেও। অন্যদিকে, বীরভূমের সিউড়ির আবদারপুরের কাছে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে পথ অবরোধ করে এই ধর্মঘটের শুরু হবে বীরভূমে। উপস্থিত থাকবেন আদিবাসী গাঁওতার বীরভূম জেলার সম্পাদক রবিন সোরেন। জানা যাচ্ছে এমনটাও।