Bankura: লোকসভা নির্বাচনের আগে বাঁকুড়ায় তৃণমূলে ভাঙন
Bankura: জেলার বাঁকুড়া দুনম্বর ব্লকের জুনবেদিয়া অঞ্চলে তৃনমূলের 'দিদিকে বলো' কর্মসূচির দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা মহম্মদ সামিম ও বুথ এজেন্ট বংশী সূত্রধর আজ তৃণমূল ছেড়ে বিজেপির পতাকা কাঁধে তুলে নেন।
বাঁকুড়া: লোকসভা নির্বাচনের আগে ফের তৃণমূলে ভাঙন। দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ দেখিয়ে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিলেন তৃণমূলের দুই নেতা। বৃহস্পতিবার বাঁকুড়ার একটি বেসরকারি হোটেলে বিজেপির একটি দলীয় কর্মসূচিতে ওই দুই নেতার হাতে বিজেপির পতাকা তুলে দেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার। তৃণমূলের দাবি, যোগ দেওয়া দুই নেতা দলের কোনও পদে ছিলেন না। বিজেপি নিজেদের কর্মীকেই ফের দলে যোগদান করিয়ে নাটক করছে।
লোকসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলে ভাঙন অব্যহত বাঁকুড়া জেলায়। জেলার বাঁকুড়া দুনম্বর ব্লকের জুনবেদিয়া অঞ্চলে তৃনমূলের ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচির দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা মহম্মদ সামিম ও বুথ এজেন্ট বংশী সূত্রধর আজ তৃণমূল ছেড়ে বিজেপির পতাকা কাঁধে তুলে নেন।
দল বদল করে দুজনেই তৃণমূল নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। তাঁদের দাবি তৃণমূলের নেতারা দুর্নীতি ও স্বজনপোষণে যুক্ত। তার প্রতিবাদেই তাঁরা দল ছেড়েছেন। যোগদানকারী মহম্মদ সামিম বলেন, “তৃণমূল তো গরিবের চাল চুরির দুর্নীতিতে যুক্ত। তাই আমি স্বেচ্ছায় দল ছাড়লাম।” কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকারের দাবি, তৃণমূলের দুর্নীতির প্রতিবাদে এভাবেই নীচু তলার কর্মীরা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি অভিমুখে যাচ্ছে। তিনি বলেন, “আসলে তৃণমূলের লোকই এখন বুঝতে পারছে গোটাটাই দুর্নীতি। কয়েক জন মিলে ভাগ বাটোয়ারা করে খাচ্ছেন। তার কিছু অংশ ওপরে যাচ্ছে।” তৃণমূল দলবদলুদের নিজেদের নেতা বলে মানতে নারাজ। তাঁদের দাবি, নিজেদের দলের লোকের হাতে পতাকা ধরিয়ে যোগদানের নাটক করছে বিজেপি। তৃণমূল নেতার বক্তব্য, “যে নামগুলো বললেন, সেরকম আমাদের দলে নেতৃস্থানীয় কেউ নেই। তৃণমূলের এত দুর্দিন হয়ে যায়নি, যে নেতারা বিজেপিতে যাবে এখান থেকে।”