Bankura: হল থেকেই লুকিয়ে মোবাইলে প্রশ্নের ছবি তুলে পাঠিয়ে দেয় বাইরে… প্রথমার্ধ্বেই ফাঁস পরীক্ষার প্রশ্নপত্র! শ্রীঘরে পরীক্ষার্থী

বাঁকুড়া: প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় আটক হওয়া পরীক্ষার্থীর সূত্র ধরে তাঁর এক সহযোগী পরীক্ষার্থীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। আদালতে গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি পদে নিয়োগের পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় বড় মোড়। এক পরীক্ষার্থীকে গ্রেফতার করল বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর থানার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে ধৃতের নাম ফিরোজ শেখ। বাড়ি মালদহের মোথাবাড়ি এলাকায়। পরীক্ষাকেন্দ্রের বাইরে বসে ধৃত বিষ্ণুপুর শিবদাস গার্লস হাইস্কুলে পরীক্ষারত এক পরীক্ষার্থীকে টেলিফোনে উত্তর পাঠানোর চেষ্টা করছিলেন বলে অভিযোগ।

গত ২৩ ফেব্রুয়ারি আদালতের জুডিসিয়ারি স্টাফ রিক্র্যুটমেন্টের গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি পদে নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা ছিল। পরীক্ষার প্রথমার্ধ্বে গ্রুপ সি ও দ্বিতীয়ার্ধ্বে গ্রুপ ডি পদের পরীক্ষা ছিল। এই পরীক্ষার দ্বিতীয়ার্ধ্বে পরীক্ষার হলে দুটি মোবাইল সহ বিষ্ণুপুর শিবদাস গার্লস হাইস্কুল কেন্দ্রে ধরা পড়ে শেখ মাজেদুর রহমান নামের মালদার এক পরীক্ষার্থী।

ওই পরীক্ষার্থীকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হলে তাঁকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের মুখে ধৃত পরীক্ষার্থী স্বীকার করে নেন, পরীক্ষা শুরুর সময়ই পরীক্ষার হল থেকেই গোপনে স্মার্টফোনে প্রশ্নপত্রের ছবি তুলে তিনি পাঠিয়ে দেন মালদার মোথাবাড়ির বাসিন্দা ফিরোজ শেখের মোবাইলে। পরীক্ষার হলের বাইরে অপেক্ষারত ফিরোজ প্রশ্নের উত্তর লিখে তা মেসেজ আকারে মাজেদুরের সঙ্গে থাকা কি- প্যাড ফোনে পাঠানোর পরিকল্পনা করেছিলেন।

কিন্তু পুলিশ জানিয়েছে উত্তর পাওয়ার আগেই পরীক্ষার হলে মাজেদুর দুটি মোবাইল ফোন সহ ধরা পড়ে যাওয়ায় গোটা পরিকল্পনা বানচাল হয়ে যায়। মাজেদুরকে গ্রেফতার করার পর গোটা পরিকল্পনার কথা জানতে পারে পুলিশ এবং তারপরেই মাজেদুরের সহযোগী ফিরোজ শেখের সন্ধান শুরু করে পুলিশ। বিশেষ সূত্রে খবর পেয়ে গতকাল মালদহের মোথাবাড়িতে হানা দিয়ে বিষ্ণুপুর থানার পুলিশ ফিরোজ শেখকে গ্রেফতার করে। ধৃত ফিরোজ নিজেও ওই পরীক্ষার প্রথমার্ধ্বে গ্রুপ সি পদের জন্য অপর একটি পরীক্ষাকেন্দ্রে পরীক্ষা দিয়েছিল বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। আজ ধৃতকে বিষ্ণুপুর মহকুমা আদালতে পেশ করা হবে।