BJP MLA Security: দু’দিন আগে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে হুমকির অভিযোগ তুলেছিলেন, নিরাপত্তা বাড়ল বিষ্ণুপুরের বিজেপি বিধায়কের
BJP MLA: গত বুধবারই বিস্ফোরক অভিযোগ তোলেন চার বিধায়ক তন্ময় ঘোষ, সৌমেন রায়, বিশ্বজিৎ দাস, কৃষ্ণ কল্যাণী।
বাঁকুড়া: বিজেপির টিকিটে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের বিধায়ক হয়েছিলেন তন্ময় ঘোষ। এর আগে তৃণমূলে ছিলেন তিনি। একুশের ভোট মিটতে আবারও তৃণমূলেই তাঁর ‘ঘরওয়াপসি’ হয়। এ নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয় বিজেপির অন্দরে। তাঁদের দলের টিকিটে জিতে কেন কেউ অন্য দলের হাত শক্ত করবে, তা নিয়ে বারবার সরব হন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। গত বুধবার সেই শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধেই হুমকি দেওয়ার অভিযোগ তোলেন তন্ময় ঘোষ। এই অভিযোগের পরই বিধানসভার অধ্যক্ষ বলেছিলেন, যতটা সম্ভব নিরাপত্তা দেওয়া হবে বিধায়ককে। এরইমধ্যে জেলা পুলিশের তরফে ঘোষণা করা হল, ওয়াই ক্যাটাগরির নিরাপত্তা পাবেন তন্ময় ঘোষ।
গত বুধবারই বিস্ফোরক অভিযোগ তোলেন চার বিধায়ক তন্ময় ঘোষ, সৌমেন রায়, বিশ্বজিৎ দাস, কৃষ্ণ কল্যাণী। তাৎপর্যপূর্ণভাবে এই চারজনই বিজেপির টিকিটে জেতা জনপ্রতিনিধি। তাঁরা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তোলেন। তাঁদের অভিযোগ ছিল, শুভেন্দু অধিকারী আয়কর দফতরকে তাঁদের পিছনে লাগিয়ে দেবেন বলেছেন, গুলি করে দেওয়ার কথাও বলেছেন। এরপরই বৃহস্পতিবার বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের অভিযোগ তোলেন তন্ময় ঘোষ-সহ চার বিধায়ক।
এরপরই তাৎপর্যপূর্ণভাবে বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তন্ময় ঘোষের বাড়িতে এক এএসআই-সহ মোট চারজন সশস্ত্র পুলিশ মোতায়েন করে বাঁকুড়া জেলা পুলিশ। বাঁকুড়া জেলা পুলিশের দাবি, আপাতত বিষ্ণুপুরের বিধায়ককে এই ওয়াই ক্যাটাগরির নিরাপত্তা দেওয়া হবে। প্রসঙ্গত, বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা ছেড়েছিলেন তন্ময় ঘোষ। তারপর থেকে তাঁর নিরাপত্তার দায়িত্ব সামলে আসছে রাজ্য পুলিশ।
বাঁকুড়া শহরের নামজাদা ব্যবসায়ী তন্ময় ঘোষ এক সময় তৃণমূলে থাকলেও একুশের ভোটে ঘাসফুলের টিকিট না পেয়ে বিজেপিতে যান। বিষ্ণুপুরে বিজেপি তাঁকে প্রার্থী করলে তৃণমূলের শুভাশিস বটব্যালকে হারিয়ে জয়ী হন তিনি। বিধায়ক তন্ময় ঘোষের কথায়, “আমরা চার বিধায়কের মধ্যে তিনজনই নবনির্বাচিত। আমরা চাই বিধানসভায় বাজেট অধিবেশনে অংশ নিতে, নতুন কিছু শিখতে। বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর বাজেটের উপরে মূল্যবান যে বক্তব্য তা শুনতে চাই। কিন্তু দেখা যাচ্ছে বিরোধী দলনেতা প্রথম দিন থেকে শুধু বয়কট এবং বিশৃঙ্খলা তৈরি করে চলেছেন। তিনি তাঁর বক্তব্যে মিথ্যা তথ্য পরিবেশন করছেন। আমরা এরই প্রতিবাদ করেছিলাম। তাতেই বিরোধী দলনেতা ধৈর্য হারিয়ে আমাকে, আমাদের বলছেন গুলি করে মেরে দেবেন। বলছেন, আয়কর নোটিস পাঠাবেন। আমরা বিষয়টি অধ্যক্ষকে জানাই। উনি সংশ্লিষ্ট জায়গায় কথা বলে যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার নিয়েছেন।”
আরও পড়ুন: Dubrajpur Case: পরণে শুধু প্যান্টটুকুই, দু’টো শরীরে তখনও লেগে রং! উৎসবের দিনে এও ছিল কপালে?
আরও পড়ুন: Swasthasathi Card: স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে ‘না’! স্বাস্থ্যভবনে চিঠি দিল ২০টি বেসরকারি হাসপাতাল