Hit and Run Law: ‘খতিয়ে দেখুন অধিকাংশ ক্ষেত্রে দুর্ঘটনার দায় গাড়ি চালকদের নয়’, এবার জেলাশাসকদের দফতরে পড়ল স্মারকলিপি
বিক্ষোভকারীদের দাবি দুর্ঘটনার সেই সমস্ত কারণ খতিয়ে দেখে তা না শুধরে কেন্দ্রের সরকার জোর করে নতুন পরিবহন আইন লাগু করছে কেন্দ্র। নতুন এই আইন লাগু হলে দেশের ২২ কোটি পেশাদার গাড়ি চালক জীবন জীবিকার অস্তিত্বের সঙ্কটে পড়বে।
বাঁকুড়া: ট্রাফিক নিয়ম ও নীতির ভুলভ্রান্তি শুধরে দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণের পরিবর্তে নতুন পরিবহন আইন চাপিয়ে দেওয়ার প্রতিবাদে বাঁকুড়ার জেলা শাসকের দফতরে বিক্ষোভে ফেটে পড়লেন গাড়ির চালকরা। সর্ব চালক কল্যাণ সংঘ নামের একটি সংগঠনের তরফে বাঁকুড়া শহরে প্রতিবাদ মিছিল করে চালকরা হাজির হন জেলাশাসকের দফতরে। সেখানে বেশ কিছুক্ষণ বিক্ষোভ দেখানোর পাশাপাশি জেলা শাসককে নিজেদের দাবির সমর্থনে স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
এদিন বাঁকুড়ার জেলা শাসকের দফতরে বিক্ষোভ দেখানো বিভিন্ন গাড়ির চালকদের দাবি দেশে মূলত ২২ টি কারণে পথ দুর্ঘটনা দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। খতিয়ে দেখলে দেখা যাবে অধিকাংশ দুর্ঘটনার পিছনে রয়েছে ট্রাফিক পুলিশ, পরিবহন দফতর-সহ বিভিন্ন সরকারি দফতরের কর্মী ও আধিকারিকদের স্বেচ্ছাচারিতা ও দেশের পরিবহন নীতি।
বিক্ষোভকারীদের দাবি দুর্ঘটনার সেই সমস্ত কারণ খতিয়ে দেখে তা না শুধরে কেন্দ্রের সরকার জোর করে নতুন পরিবহন আইন লাগু করছে কেন্দ্র। নতুন এই আইন লাগু হলে দেশের ২২ কোটি পেশাদার গাড়ি চালক জীবন জীবিকার অস্তিত্বের সঙ্কটে পড়বে। এই অবস্থায় অবিলম্বে নতুন আইন প্রত্যাহার করা না হলে আগামীদিনে দেশ জুড়ে আরও বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিক্ষোভকারী গাড়ি চালকরা।
প্রসঙ্গত, কেন্দ্রের নয়া পরিবহণ নীতিতে ‘হিট অ্যান্ড রানে’র ক্ষেত্রে বিশেষ পদক্ষেপ করা হচ্ছে। অভিযুক্ত চালকের ১০ বছরের জেল ও সাত লক্ষ টাকা জরিমানা হবে। আগে এই অভিযোগে জামিনযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করা হত। কিন্তু এখন জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু হবে। প্রতিবাদে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে আন্দোলন, প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন ট্রাক চালকরা। কলকাতা থেকে একাধিক জেলায় তার আঁচ পড়েছে। জাতীয় সড়ক অবরোধ করে দেখানো হচ্ছে বিক্ষোভ। কোথাও জ্বালানো হচ্ছে টায়ার। পুলিশ গিয়ে লাঠিচার্জ করে অবরোধ তুলে দিচ্ছে বটে, তবে নিজেদের দাবিতে অনড় গাড়িচালকরা।